Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Cheetah

চিতা না চিতাবাঘ, কী দেখে চিনবেন? দুই প্রাণী দেখতে কিছুটা এক রকম, তফাত কিন্তু অনেক

চিতা আর চিতাবাঘকে দেখতে অনেকটা এক রকম হওয়ায় ভ্রান্তি তৈরি হয়ে থাকে। ইংরেজিতে চিতাবাঘকে বলে ‘লেপার্ড’। চিতা অন্য প্রাণী। চিতা আর চিতাবাঘ চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল তাদের মুখ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪০
Share: Save:
০১ ১৫
আফ্রিকা থেকে আটটি চিতা উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে। জন্মদিনে সেই চিতাদের খাঁচামুক্ত করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে রাখা হয়েছে বিশ্বের এই দ্রুততম প্রাণীদের। কিন্তু, অনেকেই চিতাকে গুলিয়ে ফেলেন চিতাবাঘের সঙ্গে। দু'টি কিন্তু সম্পূর্ণ পৃথক প্রাণী।

আফ্রিকা থেকে আটটি চিতা উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে। জন্মদিনে সেই চিতাদের খাঁচামুক্ত করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে রাখা হয়েছে বিশ্বের এই দ্রুততম প্রাণীদের। কিন্তু, অনেকেই চিতাকে গুলিয়ে ফেলেন চিতাবাঘের সঙ্গে। দু'টি কিন্তু সম্পূর্ণ পৃথক প্রাণী।

০২ ১৫
চিতা আর চিতাবাঘকে দেখতে কিছুটা এক রকম হওয়ায় এই ভ্রান্তি তৈরি হয়ে থাকে। ইংরেজিতে চিতাবাঘকে বলে ‘লেপার্ড’। কিন্তু চিতা অন্য প্রাণী।

চিতা আর চিতাবাঘকে দেখতে কিছুটা এক রকম হওয়ায় এই ভ্রান্তি তৈরি হয়ে থাকে। ইংরেজিতে চিতাবাঘকে বলে ‘লেপার্ড’। কিন্তু চিতা অন্য প্রাণী।

০৩ ১৫
চিতা আর চিতাবাঘ চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল তাদের মুখ। চিতার নাকের দুই ধার বরাবর চোখ থেকে চোয়াল পর্যন্ত থাকে গাঢ় কালো দাগ। লেপার্ড বা চিতাবাঘের মুখে এই দাগ থাকে না।

চিতা আর চিতাবাঘ চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল তাদের মুখ। চিতার নাকের দুই ধার বরাবর চোখ থেকে চোয়াল পর্যন্ত থাকে গাঢ় কালো দাগ। লেপার্ড বা চিতাবাঘের মুখে এই দাগ থাকে না।

০৪ ১৫
এ ছাড়াও যে চিহ্ন চিতা আর চিতাবাঘকে আলাদা করে, তা হল এদের শরীরের কালো ছোপ। চিতার হলদে দেহে কালো ছোপগুলি অত্যন্ত স্পষ্ট এবং গাঢ়। সেই কালো রঙের মাঝে আর কোনও রং দেখা যায় না। কিন্তু চিতাবাঘের দেহের কালো ছোপ অন্য ধরনের। ফুলের মতো এই কালো দাগগুলি ছড়িয়ে থাকে। মাঝে হলুদ রং দেখা যায়। মিশমিশে কালো ছোপ চিতাবাঘের দেহে থাকে না।

এ ছাড়াও যে চিহ্ন চিতা আর চিতাবাঘকে আলাদা করে, তা হল এদের শরীরের কালো ছোপ। চিতার হলদে দেহে কালো ছোপগুলি অত্যন্ত স্পষ্ট এবং গাঢ়। সেই কালো রঙের মাঝে আর কোনও রং দেখা যায় না। কিন্তু চিতাবাঘের দেহের কালো ছোপ অন্য ধরনের। ফুলের মতো এই কালো দাগগুলি ছড়িয়ে থাকে। মাঝে হলুদ রং দেখা যায়। মিশমিশে কালো ছোপ চিতাবাঘের দেহে থাকে না।

০৫ ১৫
চিতাবাঘ গাছে উঠতে পারে। শিকার ধরে তাকে গাছে টেনে তোলে তারা। সেখানেই শিকার সংরক্ষণ করে রাখে। চিতা তা করে না। তারা গাছে উঠতেই পারে না।

চিতাবাঘ গাছে উঠতে পারে। শিকার ধরে তাকে গাছে টেনে তোলে তারা। সেখানেই শিকার সংরক্ষণ করে রাখে। চিতা তা করে না। তারা গাছে উঠতেই পারে না।

০৬ ১৫
চিতাবাঘের নখ বিড়ালের মতো। তারা আপাত ভাবে ধারালো নখ থাবার আড়ালে ঢুকিয়ে রাখে। শিকার ধরার সময় নখ বার করে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু, চিতার নখ অনেকটা কুকুরের মতো। তা বাইরের দিকে বার করাই থাকে। চিতার গাছে চড়তে না পারার অন্যতম কারণ হল নখের এই গড়ন।

চিতাবাঘের নখ বিড়ালের মতো। তারা আপাত ভাবে ধারালো নখ থাবার আড়ালে ঢুকিয়ে রাখে। শিকার ধরার সময় নখ বার করে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু, চিতার নখ অনেকটা কুকুরের মতো। তা বাইরের দিকে বার করাই থাকে। চিতার গাছে চড়তে না পারার অন্যতম কারণ হল নখের এই গড়ন।

০৭ ১৫
স্থলভাগের সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী চিতা। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে তারা। ৩ সেকেন্ডের মধ্যে চিতার গতি শূন্য থেকে ঘণ্টায় ১০৩ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে অনায়াসে। অন্য দিকে, চিতাবাঘের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫৮ কিলোমিটার।

স্থলভাগের সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী চিতা। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে তারা। ৩ সেকেন্ডের মধ্যে চিতার গতি শূন্য থেকে ঘণ্টায় ১০৩ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে অনায়াসে। অন্য দিকে, চিতাবাঘের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫৮ কিলোমিটার।

০৮ ১৫
চিতা এবং চিতাবাঘ, উভয়েই ভাল সাঁতার কাটতে পারে। কিন্তু জলে নামতে চিতার স্বভাবজাত অনীহা রয়েছে। চিতাবাঘের তা নেই।

চিতা এবং চিতাবাঘ, উভয়েই ভাল সাঁতার কাটতে পারে। কিন্তু জলে নামতে চিতার স্বভাবজাত অনীহা রয়েছে। চিতাবাঘের তা নেই।

০৯ ১৫
চিতাবাঘের সন্তান প্রসবের কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। ৯০ থেকে ১০৫ দিন স্ত্রী চিতাবাঘ গর্ভে সন্তানধারণ করে থাকে। এক বারে দু'টি শাবকের জন্ম দেয় তারা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শাবকের সংখ্যা ছ’টিও হতে পারে। স্ত্রী চিতার গর্ভধারণের সময়কাল ৯০ থেকে ৯৮ দিন। তারা এক বারে তিন থেকে চারটি শাবকের জন্ম দিয়ে থাকে।

চিতাবাঘের সন্তান প্রসবের কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। ৯০ থেকে ১০৫ দিন স্ত্রী চিতাবাঘ গর্ভে সন্তানধারণ করে থাকে। এক বারে দু'টি শাবকের জন্ম দেয় তারা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শাবকের সংখ্যা ছ’টিও হতে পারে। স্ত্রী চিতার গর্ভধারণের সময়কাল ৯০ থেকে ৯৮ দিন। তারা এক বারে তিন থেকে চারটি শাবকের জন্ম দিয়ে থাকে।

১০ ১৫
চিতাবাঘ এবং চিতা, উভয়ের ক্ষেত্রেই সদ্যোজাত শাবকের দৃষ্টি থাকে না। চোখ ফুটতে দিন দশেক সময় লাগে।

চিতাবাঘ এবং চিতা, উভয়ের ক্ষেত্রেই সদ্যোজাত শাবকের দৃষ্টি থাকে না। চোখ ফুটতে দিন দশেক সময় লাগে।

১১ ১৫
চিতাবাঘ সাধারণত ঘন জঙ্গলে থাকে। কিন্তু চিতাদের দেখা যায় তৃণভূমিতে। লম্বা লম্বা ঘাসওয়ালা বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, মাঝেমাঝে উঁচু গাছের ছায়া— চিতার বাসযোগ্য এলাকা।

চিতাবাঘ সাধারণত ঘন জঙ্গলে থাকে। কিন্তু চিতাদের দেখা যায় তৃণভূমিতে। লম্বা লম্বা ঘাসওয়ালা বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, মাঝেমাঝে উঁচু গাছের ছায়া— চিতার বাসযোগ্য এলাকা।

১২ ১৫
চিতাবাঘ অবস্থা বিশেষে মানুষখেকো হয়ে উঠতে পারে। অসুস্থ বা আহত হলে মানুষের উপর তারা আক্রমণ করে। অতর্কিতে হামলা করে শিকার করে চিতাবাঘ। জঙ্গলে তৃণভোজী প্রাণীর অভাব হলে চিতাবাঘ লোকালয়ে চলে আসে শিকারের খোঁজে। কিন্তু, চিতা মানুষ মারে না।

চিতাবাঘ অবস্থা বিশেষে মানুষখেকো হয়ে উঠতে পারে। অসুস্থ বা আহত হলে মানুষের উপর তারা আক্রমণ করে। অতর্কিতে হামলা করে শিকার করে চিতাবাঘ। জঙ্গলে তৃণভোজী প্রাণীর অভাব হলে চিতাবাঘ লোকালয়ে চলে আসে শিকারের খোঁজে। কিন্তু, চিতা মানুষ মারে না।

১৩ ১৫
চিতা আর চিতাবাঘের মধ্যে লড়াই লেগেই থাকে। এই দুই প্রকার প্রাণীর সহাবস্থান বিরল নয়। তবে চিতাবাঘের এলাকায় চিতা ঢুকে পড়লেই বিপত্তির শুরু। চিতাকে তাড়া করে চিতাবাঘ। অনেক ক্ষেত্রেই চিতাবাঘের আক্রমণে চিতার মৃত্যু হয়।

চিতা আর চিতাবাঘের মধ্যে লড়াই লেগেই থাকে। এই দুই প্রকার প্রাণীর সহাবস্থান বিরল নয়। তবে চিতাবাঘের এলাকায় চিতা ঢুকে পড়লেই বিপত্তির শুরু। চিতাকে তাড়া করে চিতাবাঘ। অনেক ক্ষেত্রেই চিতাবাঘের আক্রমণে চিতার মৃত্যু হয়।

১৪ ১৫
চিতা সাধারণত দিনের আলোতেই শিকার করে থাকে। রাতে ভাল দেখতে পায় না। তবে চিতাবাঘ রাতেই শিকার ধরতে পছন্দ করে। তাদের চোখের কোষ রাতেই বেশি সংবেদনশীল। সময়বিশেষে অবশ্য দিনেও সুযোগ ছাড়ে না তারা।

চিতা সাধারণত দিনের আলোতেই শিকার করে থাকে। রাতে ভাল দেখতে পায় না। তবে চিতাবাঘ রাতেই শিকার ধরতে পছন্দ করে। তাদের চোখের কোষ রাতেই বেশি সংবেদনশীল। সময়বিশেষে অবশ্য দিনেও সুযোগ ছাড়ে না তারা।

১৫ ১৫
সাত দশক আগে ভারতে চিতা ছিল। তার পর দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এই প্রাণী। শনিবার আফ্রিকা থেকে আনা আটটি চিতাকে যে জঙ্গলে রাখা হয়েছে, সেখানে প্রচুর চিতাবাঘও রয়েছে। অনেকেই তাই আশঙ্কা করছেন, চিতাবাঘের হাতে ভিনদেশি অতিথিদের বিপদ ঘনাতে পারে।

সাত দশক আগে ভারতে চিতা ছিল। তার পর দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এই প্রাণী। শনিবার আফ্রিকা থেকে আনা আটটি চিতাকে যে জঙ্গলে রাখা হয়েছে, সেখানে প্রচুর চিতাবাঘও রয়েছে। অনেকেই তাই আশঙ্কা করছেন, চিতাবাঘের হাতে ভিনদেশি অতিথিদের বিপদ ঘনাতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE