সকলে যখন মেসি এবং এমবাপের পারফরম্যান্স নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছিলেন, তার মধ্যেই বিতর্কের ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন মার্তিনেস। পুরস্কার নেওয়ার মঞ্চে উঠে তিনি যে ভঙ্গিমা করেছিলেন, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ সমর্থন করেছেন, কেউ আবার বিরোধিতা করেছেন। মার্তিনেসের এই কাণ্ড নিয়ে যখন হইচই চলছে, ঠিক সেই সময়েই তাঁকে নিয়ে কয়েকটি টুইট করেন জরডেট। ফাইল চিত্র।
জরডেটের দাবি, পেনাল্টি শুটআউটের শুরু থেকেই ফ্রান্সকে স্নায়ুর চাপে রেখেছিলেন মার্তিনজে। পেনাল্টি বক্সে ঢুকেই এমন ভাব করছিলেন যে, তিনি যেন ওই বক্সের সম্রাট। ফ্রান্স গোলরক্ষক লরিস টস জিতলেও তাঁর আগে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে যান মার্তিনেস। সেখানে দাঁড়িয়ে লরিসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। টসে জিতে যেখানে আগে গোলপোস্টে যাওয়ার কথা লরিসের, সেখানে তার আগেই সেই জায়গা ‘দখল’ করে মার্তিনেস অপেক্ষা করেছিলেন। ভাবখানা এমন যেন, কাতারের ওই মাঠ তাঁর হোমগ্রাউন্ড, আর সেই হোমগ্রাউন্ডে লরিসকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন! ফাইল চিত্র।
আর একটি টুইটে জরডেট দাবি করেছেন, পেনাল্টির শুরুতেই প্রতিপক্ষের লক্ষ্যকে বার বার নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মার্তিনেস। পেনাল্টি নেওয়ার জন্য ফ্রান্সের পালা আসতেই মার্তিনেস গোলপোস্ট ছেড়ে পেনাল্টি পয়েন্টে চলে আসছিলেন। বক্সের ভিতরে যেখান থেকে পেনাল্টি মারার কথা, সেই দাগ ঠিক জায়গায় দেওয়া হয়েছে কি না, রেফারিকে বার বার জিজ্ঞাসা করছিলেন তিনি। এমবাপে যখন পেনাল্টি মারতে আসেন, তখনও রেফারিকে জিজ্ঞাসা করেন। ফলে এমবাপে বলটি ঠিক জায়গায় বসাচ্ছেন কি না রেফারি সেটি দেখার পর মার্তিনেসকে আঙুল তুলে সঙ্কেত দেন। এটাও প্রতিপক্ষের মনোসংযোগ নাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল ছিল তাঁর। ফাইল চিত্র।
ফরাসি ফুটবলার কোম্যান পেনাল্টি শুটের জন্য আসতেই ঠিক জায়গায় বল বসানো হয়েছে কি না তা নিয়ে আবার রেফারিকে দেখতে বলেন। ফলে রেফারি আবার ছুটে যান দেখতে যে বলটি ঠিক জায়গায় বসানো রয়েছে কি না। আর এ ভাবেই পোনাল্টি বক্সকে নিজের মতো ‘পরিচালনা’র একটা কৌশল তৈরি করেছিলেন মার্তিনেস। যা প্রতিপক্ষের ফোকাস নাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। কোম্যান পেনাল্টি থেকে জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন। মার্তিনেস সেই গোল বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। ফাইল চিত্র।
জরডেটের দাবি, সাধারণত প্রথম পেনাল্টি বাঁচানোর পর উল্লাসে ফেটে পড়তে দেখা যায় না গোলরক্ষকদের। কিন্তু মার্তিনেস ব্যতিক্রম ছিলেন। গবেষণা বলছে, বিপুল উল্লাস আত্মবিশ্বাস, প্রতিপত্তি এবং শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্কেত দেয়। যা দলের সতীর্থদের মনোবল বাড়ায়, প্রতিপক্ষের মনোবলে প্রভাব ফেলে। তাই প্রথম পেনাল্টি বাঁচিয়েই তা উদ্যাপন ছিল মার্তিনেসের চতুর কৌশল। ফাইল চিত্র।
জরডেটের দাবি, অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি যখন পেনাল্টি মারতে আসেন, মার্তিনেস আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তিনি কী করতে পারেন আর কী পারেন না। তাই চুয়োমেনিকে শট নিতে আসতে দেখেই পেনাল্টি পয়েন্টে চলে যান মার্তিনেস। বলটা তুলে নেন এমন ভাবে যেন সেটি তাঁরই। বলটি হাতে নিয়ে স্টেডিয়ামের দিকে তাকিয়ে সমর্থকদের আওয়াজ তোলার জন্য তাতাতে থাকেন তিনি। চুয়োমেনি এবং রেফারি দু’জনেই তখন অপেক্ষা করছিলেন। ফাইল চিত্র।
এর পর আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার পারাদেস যখন পেনাল্টি শট মারতে আসেন, মার্তিনেস নিজে গিয়ে তাঁর হাতে বলটা তুলে দেন। জরডেটের দাবি, মার্তিনেস বুঝেছিলেন, চুয়োমেনির সঙ্গে তিনি যা করেছেন, পারাদেসের সঙ্গেও ফ্রান্স গোলরক্ষক লরিস সেই একই কাজ করতে পারেন। তাই লরিসকে সুযোগ না দিয়ে আগেভাগেই বলটি নিয়ে পারাদেসের হাতে তুলে দেন মার্তিনেস। ফাইল চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy