Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Parliament Security Breach

সংসদ-হানায় অভিযুক্তদের কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ এমফিল ডিগ্রিধারী, কেউ বা ই-রিকশাচালক!

তাঁরা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা রাজ্যের বাসিন্দা। কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল এক। সংসদে হানা দেওয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:১৫
Share: Save:
০১ ২০
তাঁরা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা রাজ্যের বাসিন্দা। কেউ উত্তরপ্রদেশ, কেউ কর্নাটক, কেউ হরিয়ানা, কেউ আবার মহারাষ্ট্রের। কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল এক। সংসদে হানা দেওয়া। তাঁরা হলেন, সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, নীলম আজ়াদ, অমল শিন্ডে, ভিকি শর্মা এবং ললিত ঝা।

তাঁরা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা রাজ্যের বাসিন্দা। কেউ উত্তরপ্রদেশ, কেউ কর্নাটক, কেউ হরিয়ানা, কেউ আবার মহারাষ্ট্রের। কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল এক। সংসদে হানা দেওয়া। তাঁরা হলেন, সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, নীলম আজ়াদ, অমল শিন্ডে, ভিকি শর্মা এবং ললিত ঝা।

০২ ২০
বুধবার সংসদ ভবনের দর্শক আসনের গ্যালারি থেকে নীচে ঝাঁপ দেন দুই যুবক। তার পর জুতো থেকে রংবোমা বার করে ছুড়ে মারেন। আচমকা এই হামলায় সংসদ ভবনের ভিতরে হুলস্থুল পড়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাংসদরা। যদিও হানা দেওয়া দুই যুবককে ধরে ফেলেন সাংসদরাই। লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন দুপুর ১টা নগাদ এই ঘটনা ঘটে। সংসদ কক্ষে ধৃত ওই দুবকের এক জন হলেন সাগর শর্মা, অন্য জন মনোরঞ্জন ডি।

বুধবার সংসদ ভবনের দর্শক আসনের গ্যালারি থেকে নীচে ঝাঁপ দেন দুই যুবক। তার পর জুতো থেকে রংবোমা বার করে ছুড়ে মারেন। আচমকা এই হামলায় সংসদ ভবনের ভিতরে হুলস্থুল পড়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাংসদরা। যদিও হানা দেওয়া দুই যুবককে ধরে ফেলেন সাংসদরাই। লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন দুপুর ১টা নগাদ এই ঘটনা ঘটে। সংসদ কক্ষে ধৃত ওই দুবকের এক জন হলেন সাগর শর্মা, অন্য জন মনোরঞ্জন ডি।

০৩ ২০
সাগর শর্মা। বয়স ২৭। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা দিল্লিতেই। তবে আদিবাড়ি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। সেখানেই বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। সাগরের মা রানি শর্মা জানিয়েছেন, পড়াশোনায় খুব একটা ভাল ছিলেন না তাঁর পুত্র। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তার পর লেখাপড়ায় ইতি টানেন। সাগরের বোন দশম শ্রেণিতে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার পর সাগর তাঁর বাবার সঙ্গে কাঠমিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন।

সাগর শর্মা। বয়স ২৭। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা দিল্লিতেই। তবে আদিবাড়ি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। সেখানেই বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। সাগরের মা রানি শর্মা জানিয়েছেন, পড়াশোনায় খুব একটা ভাল ছিলেন না তাঁর পুত্র। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তার পর লেখাপড়ায় ইতি টানেন। সাগরের বোন দশম শ্রেণিতে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার পর সাগর তাঁর বাবার সঙ্গে কাঠমিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন।

০৪ ২০
সাগরের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন বাবার সঙ্গে কাজ করার পর প্রথমে দিল্লি যান। তার পর সেখান থেকে বেঙ্গালুরু। সেখানেই থাকা শুরু করেন। দীর্ঘ সময় সেখানে থাকার পর লখনউয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা কমিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি সাগরের আত্মীয়দের। রামজিলাল নগর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর গিরীশ মিশ্রের দাবি, সাগর সম্পর্কে এলাকায় কেউ বিশেষ কিছু জানেন না। তবে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

সাগরের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন বাবার সঙ্গে কাজ করার পর প্রথমে দিল্লি যান। তার পর সেখান থেকে বেঙ্গালুরু। সেখানেই থাকা শুরু করেন। দীর্ঘ সময় সেখানে থাকার পর লখনউয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা কমিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি সাগরের আত্মীয়দের। রামজিলাল নগর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর গিরীশ মিশ্রের দাবি, সাগর সম্পর্কে এলাকায় কেউ বিশেষ কিছু জানেন না। তবে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

০৫ ২০
সাগরের মা রানি তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পুত্রের সঙ্গে মঙ্গলবার শেষ কথা হয়েছিল তাঁর। বাড়িতে সাগর জানিয়েছিলেন একটি প্রতিবাদ সভায় যাচ্ছেন। দু’তিন দিন পর ফিরবেন। কিন্তু তার পরই রানি জানতে পারেন সংসদে যে হানার ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনায় ধরা পড়েছেন সাগর। পুত্র যে এই কাজ করতে পারে বিশ্বাসই করতে পারছেন না রানি। তিনি জানান, সাগর ই-রিকশা চালাচ্ছিলেন গত কয়েক বছর ধরে।

সাগরের মা রানি তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পুত্রের সঙ্গে মঙ্গলবার শেষ কথা হয়েছিল তাঁর। বাড়িতে সাগর জানিয়েছিলেন একটি প্রতিবাদ সভায় যাচ্ছেন। দু’তিন দিন পর ফিরবেন। কিন্তু তার পরই রানি জানতে পারেন সংসদে যে হানার ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনায় ধরা পড়েছেন সাগর। পুত্র যে এই কাজ করতে পারে বিশ্বাসই করতে পারছেন না রানি। তিনি জানান, সাগর ই-রিকশা চালাচ্ছিলেন গত কয়েক বছর ধরে।

০৬ ২০
সংসদহানার আর এক অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি। তিনিও সাগরের সঙ্গে সংসদ ভবনের ভিতরে ছিলেন। মনোরঞ্জনের বয়স ৩৪। বেঙ্গালুরু কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরেও চাকরি নিয়ে মাথা ঘামাতেন না তিনি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, মনোরঞ্জনের মুখে সব সময় সমাজসেবা, ভাল কাজ করার কথাই শোনা গিয়েছে। সেই ছেলে যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবে, পরিবার, আত্মীয়স্বজন থেকে পাড়াপড়শিরা কেউই মেলাতে পারছেন না।

সংসদহানার আর এক অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি। তিনিও সাগরের সঙ্গে সংসদ ভবনের ভিতরে ছিলেন। মনোরঞ্জনের বয়স ৩৪। বেঙ্গালুরু কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরেও চাকরি নিয়ে মাথা ঘামাতেন না তিনি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, মনোরঞ্জনের মুখে সব সময় সমাজসেবা, ভাল কাজ করার কথাই শোনা গিয়েছে। সেই ছেলে যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবে, পরিবার, আত্মীয়স্বজন থেকে পাড়াপড়শিরা কেউই মেলাতে পারছেন না।

০৭ ২০
মনোরঞ্জনের বাবা দেবরাজ গৌড়া। পেশায় কৃষক। তিনি জানিয়েছেন, মনোরঞ্জন বেশির ভাগ সময় বই নিয়েই পড়ে থাকতেন। তবে তার পাশাপাশি ঘন ঘন মাইসুরু, কখনও বেঙ্গালুরু এবং কখনও আবার দিল্লিও যেতেন। কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, এ বিষয়টি কাউকে বলতেন না বলে দাবি দেবরাজের। তিনি বলেন, “মনোরঞ্জন কোনও দামি পোশাক পরতে চাইত না। তবে বই কেনার জন্য টাকা খরচ করত। ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বাড়ির কারও সঙ্গে আলোচনা করত না। বাড়ির কারও কাছে টাকাপয়সাও চাইত না।” সংসদ হানায় মনোরঞ্জনের নাম উঠে আসার পর তাঁর বাবা বলেন, “আমার ছেলে সত্যি যদি দেশবিরোধী কাজ করে থাকে, তা হলে ওর শাস্তি পাওয়া উচিত।”

মনোরঞ্জনের বাবা দেবরাজ গৌড়া। পেশায় কৃষক। তিনি জানিয়েছেন, মনোরঞ্জন বেশির ভাগ সময় বই নিয়েই পড়ে থাকতেন। তবে তার পাশাপাশি ঘন ঘন মাইসুরু, কখনও বেঙ্গালুরু এবং কখনও আবার দিল্লিও যেতেন। কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, এ বিষয়টি কাউকে বলতেন না বলে দাবি দেবরাজের। তিনি বলেন, “মনোরঞ্জন কোনও দামি পোশাক পরতে চাইত না। তবে বই কেনার জন্য টাকা খরচ করত। ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বাড়ির কারও সঙ্গে আলোচনা করত না। বাড়ির কারও কাছে টাকাপয়সাও চাইত না।” সংসদ হানায় মনোরঞ্জনের নাম উঠে আসার পর তাঁর বাবা বলেন, “আমার ছেলে সত্যি যদি দেশবিরোধী কাজ করে থাকে, তা হলে ওর শাস্তি পাওয়া উচিত।”

০৮ ২০
মারিমালাপ্পা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে মাইসুরুতে সেন্ট জোসেফ কলেজ ভর্তি হন। তার পর বেঙ্গালুরু থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন মনোরঞ্জন। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, পুত্রের লেখাপড়ার জন্য হাসানের অর্কলগুর থেকে পশ্চিম মাইসুরুর বিজয়নগরে চলে এসেছিলেন ১৫ বছর আগে। মনোরঞ্জনের বাবা দাবি করেছেন, পুত্রকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করানোর জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া সহযোগিতা করেছিলেন।

মারিমালাপ্পা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে মাইসুরুতে সেন্ট জোসেফ কলেজ ভর্তি হন। তার পর বেঙ্গালুরু থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন মনোরঞ্জন। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, পুত্রের লেখাপড়ার জন্য হাসানের অর্কলগুর থেকে পশ্চিম মাইসুরুর বিজয়নগরে চলে এসেছিলেন ১৫ বছর আগে। মনোরঞ্জনের বাবা দাবি করেছেন, পুত্রকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করানোর জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া সহযোগিতা করেছিলেন।

০৯ ২০
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরে সমাজমাধ্যমে খুব সক্রিয় হয়ে ওঠেন মনোরঞ্জন। ওই মাধ্যমে বেশ কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিংহ নামে একটি ফ্যান পেজের সদস্যও মনোরঞ্জন। তাঁর বাবার দাবি, পুত্র কখনও দেশবিরোধী কোনও কাজে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু কেন সংসদে হানা দিতে গেলেন, তা ভেবে কূলকিনারা করতে পারছেন না মনোরঞ্জনের বাবা দেবরাজ।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরে সমাজমাধ্যমে খুব সক্রিয় হয়ে ওঠেন মনোরঞ্জন। ওই মাধ্যমে বেশ কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিংহ নামে একটি ফ্যান পেজের সদস্যও মনোরঞ্জন। তাঁর বাবার দাবি, পুত্র কখনও দেশবিরোধী কোনও কাজে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু কেন সংসদে হানা দিতে গেলেন, তা ভেবে কূলকিনারা করতে পারছেন না মনোরঞ্জনের বাবা দেবরাজ।

১০ ২০
সাগর এবং মনোরঞ্জনের সঙ্গে সংসদ হানায় অন্য অভিযুক্ত নীলম আজাদ। হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা নীলম। এমফিল ডিগ্রিধারী বছর সাইত্রিশের নীলম পাশ করেছেন ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট)। সাগর এবং মনোরঞ্জন যখন সংসদের ভিতরে হানা দিয়েছিলেন, তখন নীলম এবং আরও এক সঙ্গী অমল শিন্ডে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের হাতেও রংবোমা ছিল। পুলিশ তাঁদেরও গ্রেফতার করে। তাঁরা সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’।

সাগর এবং মনোরঞ্জনের সঙ্গে সংসদ হানায় অন্য অভিযুক্ত নীলম আজাদ। হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা নীলম। এমফিল ডিগ্রিধারী বছর সাইত্রিশের নীলম পাশ করেছেন ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট)। সাগর এবং মনোরঞ্জন যখন সংসদের ভিতরে হানা দিয়েছিলেন, তখন নীলম এবং আরও এক সঙ্গী অমল শিন্ডে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের হাতেও রংবোমা ছিল। পুলিশ তাঁদেরও গ্রেফতার করে। তাঁরা সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’।

১১ ২০
দুই ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠ নীলম। তাঁর মা সরস্বতী সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মেয়ে উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু চাকরি পাচ্ছিল না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকত। মাঝেমধ্যেই বলত, আমার মরে যাওয়া উচিত।” তাঁর দাদা আবার বলেন, “নীলম বিএ, এমএ এবং এমফিল করেছে। নেটও পাশ করেছে। কিন্তু চাকরি না পেয়ে প্রচণ্ড হতাশ ছিল। মাস ছয়েক আগে জিন্দে চলে গিয়েছিল। সেখানে শিক্ষকের চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।”

দুই ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠ নীলম। তাঁর মা সরস্বতী সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মেয়ে উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু চাকরি পাচ্ছিল না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকত। মাঝেমধ্যেই বলত, আমার মরে যাওয়া উচিত।” তাঁর দাদা আবার বলেন, “নীলম বিএ, এমএ এবং এমফিল করেছে। নেটও পাশ করেছে। কিন্তু চাকরি না পেয়ে প্রচণ্ড হতাশ ছিল। মাস ছয়েক আগে জিন্দে চলে গিয়েছিল। সেখানে শিক্ষকের চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।”

১২ ২০
নীলমের আত্মীয়দের দাবি, বরাবরই প্রতিবাদী স্বভাবের মেয়ে নীলম। ২০২১ সালে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যখন মহিলা কুস্তিগীরদের হেনস্থার অভিযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না, আন্দোলন চলে, তাতেও নীলম অংশ নিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই সময় দিল্লি পুলিশের হাতে আটকও হয়েছিলেন।

নীলমের আত্মীয়দের দাবি, বরাবরই প্রতিবাদী স্বভাবের মেয়ে নীলম। ২০২১ সালে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যখন মহিলা কুস্তিগীরদের হেনস্থার অভিযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না, আন্দোলন চলে, তাতেও নীলম অংশ নিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই সময় দিল্লি পুলিশের হাতে আটকও হয়েছিলেন।

১৩ ২০
নীলমের মা সরস্বতী বলেন, “২০১৫ সালে দোতলা থেকে পড়ে গিয়ে শিরদাঁড়ায় চোট পেয়েছিল মেয়ে। তার পর তিন বছর শয্যাশায়ী ছিল। ওর স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়। বিয়ে করতে চাইত না। তবে বরাবরই দুঃস্থ মানুষদের জন্য, তাঁদের অধিকারের জন্য সরব হয়েছে নীলম। কিন্তু ও যে এ রকম একটা পদক্ষেপ করবে ভাবতে পারছি না।”

নীলমের মা সরস্বতী বলেন, “২০১৫ সালে দোতলা থেকে পড়ে গিয়ে শিরদাঁড়ায় চোট পেয়েছিল মেয়ে। তার পর তিন বছর শয্যাশায়ী ছিল। ওর স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়। বিয়ে করতে চাইত না। তবে বরাবরই দুঃস্থ মানুষদের জন্য, তাঁদের অধিকারের জন্য সরব হয়েছে নীলম। কিন্তু ও যে এ রকম একটা পদক্ষেপ করবে ভাবতে পারছি না।”

১৪ ২০
অভিযুক্তদের মধ্যে আর এক জন হলেন অমল শিন্ডে। তিনি মহারাষ্ট্রের লাতুরের বাসিন্দা। বছর পঁচিশের এই যুবককে বুধবার দেখা গিয়েছে সংসদ ভবনের বাইরে। নীলমের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। ক্ষেতমজুরের সন্তান। স্বপ্ন সেনা এবং পুলিশে চাকরি করা। বার বার চেষ্টা করেও কোনও পরীক্ষাতেই পাশ করতে পারেননি।

অভিযুক্তদের মধ্যে আর এক জন হলেন অমল শিন্ডে। তিনি মহারাষ্ট্রের লাতুরের বাসিন্দা। বছর পঁচিশের এই যুবককে বুধবার দেখা গিয়েছে সংসদ ভবনের বাইরে। নীলমের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। ক্ষেতমজুরের সন্তান। স্বপ্ন সেনা এবং পুলিশে চাকরি করা। বার বার চেষ্টা করেও কোনও পরীক্ষাতেই পাশ করতে পারেননি।

১৫ ২০
অমলের বাবা ধনরাজ শিন্ডে বলেন, “পুলিশের পরীক্ষা আছে, এ কথা বলে গত ৯ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। অমল খুব ভাল দৌড়ায়। পুলিশ কিংবা সেনায় কাজ করার প্রবল ইচ্ছা ওর। কিন্তু কেন ও সংসদে গেল জানি না। আমরা মজুরের কাজ করি। পুলিশ আমাদের কাছে ওর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। কিন্তু ওদেরও জানিয়েছি এ বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানি না।”

অমলের বাবা ধনরাজ শিন্ডে বলেন, “পুলিশের পরীক্ষা আছে, এ কথা বলে গত ৯ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। অমল খুব ভাল দৌড়ায়। পুলিশ কিংবা সেনায় কাজ করার প্রবল ইচ্ছা ওর। কিন্তু কেন ও সংসদে গেল জানি না। আমরা মজুরের কাজ করি। পুলিশ আমাদের কাছে ওর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। কিন্তু ওদেরও জানিয়েছি এ বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানি না।”

১৬ ২০
ধনরাজ আরও বলেন, “অমল আরও পড়াশোনা করতে চাইত। কিন্তু অভাবের সংসার তাই টাকা জোগাড় করতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে মজুরের কাজ শুরু করেছিল।” তাঁর আফসোস, “যদি ও বেঁচে যায়, তা হলে গ্রামে ফিরবে। যদি না আসে, তা হলে ধরে নেব আমাদের কোনও পুত্র ছিল না।” অমল দলিত পরিবারের সন্তান। মা-বাবা এবং দুই ভাই রয়েছে পরিবারে।

ধনরাজ আরও বলেন, “অমল আরও পড়াশোনা করতে চাইত। কিন্তু অভাবের সংসার তাই টাকা জোগাড় করতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে মজুরের কাজ শুরু করেছিল।” তাঁর আফসোস, “যদি ও বেঁচে যায়, তা হলে গ্রামে ফিরবে। যদি না আসে, তা হলে ধরে নেব আমাদের কোনও পুত্র ছিল না।” অমল দলিত পরিবারের সন্তান। মা-বাবা এবং দুই ভাই রয়েছে পরিবারে।

১৭ ২০
সংসদ হানার অন্যতম অভিযুক্ত ভিকি শর্মা। তাঁকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ভিকির স্ত্রী বৃন্দাকেও। সংসদ হানার আগে গুরুগ্রামে ভিকির বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন সাগর, মনোরঞ্জন, নীলম এবং অমল। আদতে হিসারের বাসিন্দা ভিকি।

সংসদ হানার অন্যতম অভিযুক্ত ভিকি শর্মা। তাঁকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ভিকির স্ত্রী বৃন্দাকেও। সংসদ হানার আগে গুরুগ্রামে ভিকির বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন সাগর, মনোরঞ্জন, নীলম এবং অমল। আদতে হিসারের বাসিন্দা ভিকি।

১৮ ২০
কিন্তু ১৯৯০ সাল থেকে থাকছেন গুরুগ্রামে। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, ভিকি মানসিক ভাবে স্থিতিশীল নন। ভিকির এক কন্যাসন্তানও আছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গুরুগ্রামে ভিকি ‘জংলি’ নামেই পরিচিত। শহিদ-এ-আজম ভগৎ সিংহ সেবা সমিতির সঙ্গে জড়িত ভিকি। পুলিশ সূত্রে খবর, সংসদে হানার ছক নাকি কষা হয়েছিল এই ভিকির বাড়িতেই।

কিন্তু ১৯৯০ সাল থেকে থাকছেন গুরুগ্রামে। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, ভিকি মানসিক ভাবে স্থিতিশীল নন। ভিকির এক কন্যাসন্তানও আছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গুরুগ্রামে ভিকি ‘জংলি’ নামেই পরিচিত। শহিদ-এ-আজম ভগৎ সিংহ সেবা সমিতির সঙ্গে জড়িত ভিকি। পুলিশ সূত্রে খবর, সংসদে হানার ছক নাকি কষা হয়েছিল এই ভিকির বাড়িতেই।

১৯ ২০
পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউনের সময় চাকরি চলে গিয়েছিল ভিকির। তার পরে নানা রকম নেশা করা শুরু করেন। প্রতিবেশীরাও ভিকির জ্বালায় অতিষ্ঠ। সারা দিন নেশায় চুর হয়ে থাকেন ভিকি। এমনই দাবি প্রতিবেশীদের। সম্প্রতি কোনও একটি সংস্থায় গাড়িচালকের কাজ পেয়েছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউনের সময় চাকরি চলে গিয়েছিল ভিকির। তার পরে নানা রকম নেশা করা শুরু করেন। প্রতিবেশীরাও ভিকির জ্বালায় অতিষ্ঠ। সারা দিন নেশায় চুর হয়ে থাকেন ভিকি। এমনই দাবি প্রতিবেশীদের। সম্প্রতি কোনও একটি সংস্থায় গাড়িচালকের কাজ পেয়েছিলেন।

২০ ২০
সংসদে হানার অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা। পাঁচ জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও পলাতক ললিত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বুধবার দুপুরে সংসদে রংবোমা ফাটানোর পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন এই ললিতই। তিনি এক জন সমাজকর্মী এবং কাজ করতেন পশ্চিমবঙ্গের এক এনজিওতে। তদন্তকারীরা ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছেন, এই ললিতই শুরু থেকে গোটা ঘটনাটি আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। এমনকি, সংসদে হানার ঘটনার আগে গত কয়েক দিন ধরে যখন হানাদারেরা দিল্লিতে এসে পৌঁছচ্ছিল, তখন তাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন ললিতই।

সংসদে হানার অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা। পাঁচ জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও পলাতক ললিত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বুধবার দুপুরে সংসদে রংবোমা ফাটানোর পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন এই ললিতই। তিনি এক জন সমাজকর্মী এবং কাজ করতেন পশ্চিমবঙ্গের এক এনজিওতে। তদন্তকারীরা ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছেন, এই ললিতই শুরু থেকে গোটা ঘটনাটি আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। এমনকি, সংসদে হানার ঘটনার আগে গত কয়েক দিন ধরে যখন হানাদারেরা দিল্লিতে এসে পৌঁছচ্ছিল, তখন তাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন ললিতই।

সব ছবি: পিটিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE