এ যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরী! তুমুল যুদ্ধের মধ্যে গোদের উপর বিষফোড়ার মতো আতঙ্ক ধরাচ্ছে অনাহার। বুলেট থেকে কোনও ক্রমে রেহাই পেলেও নিস্তার নেই। খাবার আর জলের অভাবে বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ ও মহিলাদের। নিত্য দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সেই সংখ্যা। ফলে ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র পালাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এ হেন পরিস্থিতিতে দেবদূতের মতো আবির্ভাব হয়েছে এক বিদ্রোহী নেতার। ‘রবিনহুড’ ইমেজ় তাঁর। সত্যিই কি তাই, না কি পুরোটাই ‘মায়ার খেলা’? ভূমধ্যসাগরের তীরের একফালি জমির আকাশে-বাতাসে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে এই প্রশ্ন।
গত দেড় বছর ধরে চলা ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধে প্যালেস্তাইনের গাজ়াকে ‘নরক কুণ্ড’ বানিয়ে ফেলেছে ইহুদি ফৌজ। তাদের অবরোধের জেরে মানবিক সাহায্যও প্রায় পাচ্ছেন না সেখানকার বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর ‘পরিত্রাতা’ হিসাবে রঙ্গমঞ্চে দেখা মিলেছে ইয়াসের আবু শাবাব নামের এক ব্যক্তির। নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে অনাহার থেকে রক্ষা করার মতো একাধিক প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা গিয়েছে দক্ষিণ গাজ়ার রাফার এই ভূমিপুত্রকে।