কাশ্মীরে হামলার উদ্দেশ্যে জড়ো হচ্ছে একটি বিশেষ গোষ্ঠী। এমন খবর কানে আসতেই তদন্তে নামে কাশ্মীর পুলিশ। তিন সপ্তাহ আগে অক্টোবরের শেষের দিকে সেই ঘটনার আঁচ পায় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠরকে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ। অভিযোগ, শ্রীনগরে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন তিনি।
বিস্ফোরণের পর প্রশ্ন উঠলেও ফরিদাবাদের বিস্ফোরক মজুতের ঘটনার সঙ্গে দিল্লির কোনও যোগসূত্র রয়েছে তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য দেয়নি দিল্লি পুলিশ। গত কয়েক দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীর (শ্রীনগর, অনন্তনাগ, গান্দরবল এবং শোপিয়ান) এবং ফরিদাবাদ জুড়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ‘হোয়াইট কলার’ মডিউলটির হদিস পায়।
সোমবার সন্ধ্যায় যে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটির নম্বরপ্লেট হরিয়ানার। সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওই গাড়িটির বর্তমান ‘মালিক’ ছিলেন পুলওয়ামার এক চিকিৎসক। নাম উমর মহম্মদ। ফরিদাবাদ কাণ্ডে গ্রেফতার দুই চিকিৎসক মুজ়াম্মিল ও আদিলের সঙ্গেও তাঁর যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি উঠছে সংবাদ প্রতিবেদনে। এই তিন চিকিৎসক একই মডিউলের অংশ ছিলেন বলেও দাবি উঠেছে।
উমর, আদিল এবং মুজ়াম্মিল। তিন জনই চিকিৎসক। মুজ়াম্মিলের এক মহিলা সহযোগী লখনউ থেকে গ্রেফতার হওয়া শাহিনও পেশায় চিকিৎসক। আদিল প্রথমে অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চাকরি করতেন। তার পর সহারনপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার জন্য চলে আসেন। মুজ়াম্মিল গত তিন বছর ধরে আল ফালাহ স্কুল অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
মুজ়াম্মিল যে হাসপাতালে কাজ করতেন সেখানকারই সহকর্মী মহিলা চিকিৎসক ছিলেন শাহিন। জানা যায়, তিনি মুজ়াম্মিলের সহযোগী ছিলেন। তাঁর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেল। পরে লখনউ থেকে ওই মহিলা চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফরিদাবাদে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন মুজ়াম্মিল। সেই বাড়িতেই ৩৬০ কেজি আরডিএক্সের মশলা উদ্ধার করে পুলিশ।
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই গাড়িটির বর্তমান ‘মালিক’ পুলওয়ামার চিকিৎসক উমর মহম্মদ। গাড়িটিকে ঘণ্টা তিনেক এক ভাবে লালকেল্লার কাছে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ওই সময়ে গাড়িচালককে এক বারও গাড়ি থেকে নামতে দেখা যায়নি বলে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে দিল্লি পুলিশ।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ গাড়িটির মালিকানার রেকর্ড খুঁজে বার করে। গাড়িটি সলমনের নামে নিবন্ধিত বলে জানা যায়। পুলিশ সলমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, দেবেন্দ্র নামে এক জনের কাছে গাড়িটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। পরে, সেটি হাতবদল করে আমিরের কাছে চলে যায়। তিনি সেটি তারিককে হস্তান্তর করেন। তারিকের কাছ থেকে গাড়িটি উমর মহম্মদের হাতে আসে। গাড়ির নথিপত্রে বদল ঘটেনি বলে সলমন পুলিশকে জানিয়েছেন।
সামাজিক ও দাতব্য কাজের আড়ালে পেশাদার এবং শিক্ষাবিদদের ‘নেটওয়ার্কের’ মাধ্যমে তহবিল জোগাড় করেছিল তারা। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মডিউলটির সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ গত ২৬ দিন ধরে এই মডিউলটির উপর নজর রাখছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy