Low pressure area likely be formed on Monday over Bay of Bengal dgtl
Cyclone Mocha
কলকাতা থেকে কত দূরে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ সোমবার! তার পরেই কি তাণ্ডব ‘মোকা’র?
সোমবার ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার পর ক্রমে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৩ ১২:০৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পথে ‘মোকা’। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।
০২২০
সোমবার ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার পর ক্রমে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
০৩২০
এ দিকে আন্দামানে ‘মোকা’-র প্রভাব পড়া শুরু হতে পারে সোমবার থেকে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
০৪২০
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে আন্দামানে। মঙ্গলবার ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে।
০৫২০
বুধবার ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হতে পারে আন্দামানে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
০৬২০
আবহাওয়াবিদেরা প্রায় নিশ্চিত, ঘূর্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়ছে ‘মোকা’। কিন্তু কোথায়? সেই নিয়ে ধন্দ এখনও কাটেনি। আছড়ে পড়ার সময় তার গতি কত থাকবে, সেই নিয়েও হাওয়া অফিস এখন নিশ্চিত হতে পারেনি।
০৭২০
হাওয়া অফিস মনে করছে, অন্ধ্রপ্রদেশে এই ‘মোকা’ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তা হলে তামিলনাড়ু, ওড়িশা না কি পশ্চিমবঙ্গ, কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ‘মোকা’?
০৮২০
মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ‘মোকা’ আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশা। এই দুই রাজ্যের যেখানেই আছড়ে পড়ুক ‘মোকা’, বাকি কিছু রাজ্যেও কিন্তু এর প্রভাব পড়বে। তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
০৯২০
‘মোকা’-র প্রভাবে এই রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
১০২০
‘মোকা’ যেখানে আছড়ে পড়তে পারে, সেই সম্ভাব্য অঞ্চল বিশাল। ওড়িশা থেকে মায়ানমার তার গতিপথের মধ্যে পড়ে। মাঝে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ। এই বিশাল অঞ্চলের কোথায় ‘মোকা’ তাণ্ডব চালাবে, এখন সে দিকেই নজর আবহবিদদের।
১১২০
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে, সেটি কলকাতা থেকে ১,৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
১২২০
যদি সেই ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ মায়ানমারের দিকে এগোতে থাকে, তা হলে তা পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশায় ঢুকতে খুব বেশি সময় নেবে না।
১৩২০
এ রকম হলে আরও শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ পাবে ‘মোকা’। কারণ যাত্রাপথ কম হলে শক্তি বাড়ে। তবে যাত্রাপথ যদি দীর্ঘ হয়, সে ক্ষেত্রে এর শক্তি কিছুটা ক্ষয় হতে পারে।
১৪২০
শুধু তাই-ই নয়, সমুদ্রের উপরিভাগের তাপমাত্রা যদি ঝড়ের শক্তিসঞ্চয়ের অনুকূল না হয়, তা হলে স্থলভাগে পৌঁছনোর আগেই ঝড়ের গতি কমে যেতে পারে।
১৫২০
বঙ্গোপসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রা এখন ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ঝড়কে আরও শক্তিশালী করতে পারে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা।
১৬২০
‘মোকা’-র কারণে মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যে সাবধান করেছে হাওয়া অফিস। ৭ মে, রবিবার সন্ধ্যা থেকে মৎস্যজীবীদের সমু্দ্রে যেতে বারণ করেছে হাওয়া অফিস। ১২ তারিখ পর্যন্ত থাকছে নিষেধাজ্ঞা। যাঁরা গভীর সমুদ্রে ইতিমধ্যে চলে গিয়েছেন, তাঁদের রবিবারের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
১৭২০
আন্দামানে সোমবার থেকেই ‘মোকা’র প্রভাব পড়তে শুরু করলেও দক্ষিণবঙ্গে এই মুহূর্তে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উল্টে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
১৮২০
আগামী পাঁচ দিনে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা। রবিবার কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
১৯২০
শনিবার কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
২০২০
পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতেও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে।