Meet mother of famous bollywood actress who had an extra marital affair with married co actor dgtl
Rekha’s Mother Pushpavalli
আইনজীবীর সঙ্গে সংসার ভাঙে, পরকীয়ায় জড়ান বিবাহিত অভিনেতার সঙ্গে, স্ত্রীর মর্যাদা পাননি বলি নায়িকার অভিনেত্রী মা
গুঞ্জন শোনা যায় যে, নায়িকার সন্তানের দায় নিতে অস্বীকার করেছিলেন প্রেমিক সহ-অভিনেতা। নায়িকার দ্বিতীয় কন্যার জন্মের কয়েক মাস আগে নাকি দক্ষিণের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে গোপনে বিয়ে করে ফেলেছিলেন সেই নায়ক।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ১২:০৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
শিশু অভিনেত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে। চল্লিশ থেকে ষাটের দশকে বড় পর্দায় কেরিয়ার গড়ে তুলেছিলেন তিনি। মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেও বিশেষ খ্যাতি পাননি। পার্শ্বচরিত্র অথবা দ্বিতীয় নায়িকা হিসাবে অভিনয় করে গিয়েছেন। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও বার বার বিচ্ছেদ এবং বিশ্বাসঘাতকতার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল অভিনেত্রী পুষ্পাভাল্লির জীবনে। বিবাহবিচ্ছেদ, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে আবার দ্বিতীয় বার সংসার বাঁধা— বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রেখার মা ছিলেন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু।
০২১৫
১৯২৬ সালের জানুয়ারি মাসে অন্ধ্রপ্রদেশের পেন্তাপুড়ু গ্রামে জন্ম পুষ্পাভাল্লির। তাঁর সম্পূর্ণ নাম কান্দালা বেঙ্কট পুষ্পাভাল্লি তায়ারাম্মা। শৈশব থেকেই অভিনয় করতে শুরু করেন পুষ্পাভাল্লি। মাত্র ন’বছর বয়সে ‘সম্পূর্ণ রামায়ণম’ নামের একটি দক্ষিণী ছবিতে সীতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
০৩১৫
মাত্র তিন দিনের জন্য ‘সম্পূর্ণ রামায়ণম’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন পুষ্পাভাল্লি। তিন দিনের পারিশ্রমিক হিসাবে সেই সময় ৩০০ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। মুখ্যচরিত্রে তখন অভিনেতারা যে পরিমাণ পারিশ্রমিক পেতেন, পুষ্পাভাল্লি প্রায় তার সমান উপার্জন করেছিলেন।
০৪১৫
১৯৩৬ সালে মুক্তি পায় ‘সম্পূর্ণ রামায়ণম’ ছবিটি। তার পর একাধিক তামিল এবং তেলুগু ছবিতে শিশু অভিনেত্রী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন পুষ্পাভাল্লি। অভিনয়ের জন্য পড়াশোনার ক্ষতি হত তাঁর। নিয়ম মেনে স্কুলেও যেতে পারতেন না তিনি। কিন্তু অভিনয় ছাড়ার ইচ্ছা ছিল না পুষ্পাভাল্লির।
০৫১৫
১৯৪০ সালে রঙ্গচারী নামে এক আইনজীবীকে বিয়ে করেছিলেন পুষ্পাভাল্লি। বিয়ের পর এক কন্যা এবং এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর কেরিয়ারে কোনও ছেদ পড়েনি। বরং বিয়ের দু’বছর পর ফিল্মজগতে ভাল পরিচিতি তৈরি হয়েছিল পুষ্পাভাল্লির।
০৬১৫
১৯৪২ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘বালা নাগাম্মা’ নামের তেলুগু ভাষার একটি ছবি। পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন পুষ্পাভাল্লি। এই ছবিতে তাঁর অভিনয় দেখার পর ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে কেরিয়ারে নতুন সূর্য উঠলেও পুষ্পাভাল্লির সংসারে চিড় ধরে গিয়েছিল।
০৭১৫
স্বামী এবং সন্তান নিয়ে সংসার থাকলেও সেই সংসারে বনিবনা হচ্ছিল না পুষ্পাভাল্লির। আইনি বিবাহবিচ্ছেদের নিয়ম না থাকায় ১৯৪৬ সাল থেকে রঙ্গচারীর কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন নায়িকা। অবশ্য, সংসার ভাঙার পর আবার রঙিন হয়ে উঠেছিল পুষ্পাভাল্লির জীবন।
০৮১৫
১৯৪৭ সালে ‘মিস্ মালিনি’ নামের তামিল ভাষার ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল পুষ্পাভাল্লিকে। ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু তা নায়িকার ব্যক্তিগত জীবনকে অন্য মোড়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল।
০৯১৫
‘মিস্ মালিনি’ ছবিতে পুষ্পাভাল্লির সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন জেমিনি গণেশন নামে এক দক্ষিণী অভিনেতা। পেশাগত সূত্রে দু’জনের আলাপ হলেও সেই পরিচিতির জল বহু দূর গড়িয়েছিল। ১৯৪৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চক্রধারী’ নামের তামিল ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দু’জনে। সেই ছবির নায়িকা ছিলেন পুষ্পাভাল্লি। ছোটখাটো একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জেমিনি।
১০১৫
পুষ্পাভাল্লির সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হওয়ার পাশাপাশি কেরিয়ারের রেখচিত্রও ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছিল জেমিনির। কিন্তু কেরিয়ারের গ্রাফ উল্টো খাতে বইতে শুরু করেছিল নায়িকার। জেমিনি বড় পর্দায় নায়কের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছিলেন। অন্য দিকে, বড় পর্দায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছিল পুষ্পাভাল্লিকে। কেরিয়ার দুই তারকাকে বিপরীত দিকে নিয়ে গেলেও সম্পর্কের টানে তাঁরা কাছাকাছিই ছিলেন।
১১১৫
কম বয়সে আলামেলু নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন জেমিনি। পুষ্পাভাল্লির সঙ্গে যখন নায়কের আলাপ হয়েছিল, তখন তিনি ছ’বছরের সন্তানের পিতা। কানাঘুষো শোনা যায়, বিবাহিত জেনেও জেমিনির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন নায়িকা। পরে তিনি অন্তসত্ত্বাও হয়ে পড়েছিলেন।
১২১৫
বলিপাড়ার অধিকাংশের দাবি, জেমিনির সঙ্গে সম্পর্ক থেকেই রেখা এবং রাধা নামে দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন পুষ্পাভাল্লি। কিন্তু আইনত পুষ্পাভাল্লি ছিলেন রঙ্গচারীর স্ত্রী। অন্য দিকে জেমিনিও ছিলেন বিবাহিত। তাই নিজেদের সম্পর্ককে সামাজিক মান্যতা দিতে পারেননি তাঁরা।
১৩১৫
গুঞ্জন শোনা যায় যে, রেখার জন্মের পর নাকি পুষ্পাভাল্লির সন্তানের দায় নিতে অস্বীকার করেছিলেন জেমিনি। পুষ্পাভাল্লির দ্বিতীয় কন্যা রাধার জন্মের কয়েক মাস আগে নাকি সাবিত্রী নামে দক্ষিণের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে গোপনে বিয়ে করে ফেলেছিলেন জেমিনি।
১৪১৫
পুষ্পাভাল্লির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল জেমিনির। দুই সন্তানের সঙ্গেও কালেভদ্রে দেখা করতে যেতেন নায়ক। এমনকি, পুষ্পাভাল্লিকে কোনও রকম ভাবে নাকি আর্থিক সহায়তাও করতে চাননি জেমিনি। কেরিয়ার সামলে একা হাতে দুই সন্তানকে বড় করে তুলেছিলেন পুষ্পাভাল্লি।
১৫১৫
দক্ষিণের সিনেমাটোগ্রাফার কে প্রকাশকে পরে বিয়ে করেছিলেন পুষ্পাভাল্লি। বিয়ের পর দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন নায়িকা। ১৯৬৯ সালে শেষ বারের মতো বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ১৯৯১ সালে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন তিনি।