জোহানেসবার্গের বাসোনিয়া এস্টেটে মায়ার বিলাসী বাংলো থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাভেলা মাসোন্ডো সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, বেডরুমে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক মহিলার দেহ পড়ে রয়েছে। মাথায় গুলির ক্ষত। তাঁর পাশেই একটি আগ্নেয়াস্ত্র পড়েছিল। প্যারামেডিকস ওই মহিলাকে মৃত হলে ঘোষণা করেছেন।’’
জোহানেসবার্গ পুলিশের পাশাপাশি মায়ার মৃত্যু নিয়ে নিজের মতো করে তদন্তে নেমেছেন কাইল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পুলিশের প্যাথোলজিস্টকে দিয়ে মায়ার দেহের ময়নাতদন্তে আপত্তি তুলেছেন তিনি। কাইল জানিয়েছেন, মায়ার ময়নাতদন্তের জন্য এক জন প্যাথোলজিস্টকে ভাড়া করেছেন তিনি। যদিও কবে মায়ার ময়নাতদন্ত করা হবে, তা নিয়ে বিশেষ কিছু জানাননি কাইল।
মায়ার অকালমৃত্যুর খবরে স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্য-সহ আত্মীয়-পরিজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘খবরটা পাওয়ার পর থেকে আমাদের মোবাইল বেজেই চলেছে। এই মুহূর্তে ইউরোপে রয়েছি। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার যেতে পারছি না। ফলে আমাদের হাত-পা বাঁধা। মায়ার দেহ মর্গে পড়ে রয়েছে আর আমাদের কোনও ধারণাই নেই, ওখানে ঠিক কী হচ্ছে!’’
যদিও মায়ার ওই আত্মীয়ের দাবি, ‘‘মায়া আত্মহত্যা করতে পারেন, তা আমার কখনই মনে হয়নি। উনি খুব খোলা মনের মানুষ ছিলেন।’’ মায়া এবং কাইলের সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন ওই আত্মীয়। তাঁর মতে, ‘‘পরস্পরের প্রতি অগাধ ভালবাসা ছিল। ওঁদের মধ্যে এমন কিছু সমস্যা ছিল না যাতে মায়া নিজেকে শেষ করে দিতে পারেন। তেমন কোনও ইঙ্গিতও পাইনি। ফলে এটা খুবই আশ্চর্যের!’’
মায়ার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কট্টর দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার্স-এর নেতা তথা মায়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জুলিয়াস মালেমা। সাংবাদিকদের সম্মেলন করে তিনি বলেন, ‘‘কাইলের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। তবে মায়া আর আমি বন্ধু ছিলাম। অত্যন্ত উদারমনস্ক ছিলেন মায়া। দেশের জন্য নানা পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।’’
ইনস্টাগ্রামে মায়ার শেষ পোস্টটি ছিল ২২ নভেম্বর। ওই পোস্টে উত্তর ম্যাসেডোনিয়ার বিদেশমন্ত্রী বুয়ার ওসমানির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল মায়াকে। ওই পোস্টে মায়া জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে জন্মভূমির কূটনৈতিক সুসম্পর্ক গড়ে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই ওসমানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। যদিও সে লক্ষ্যপূরণের অনেক আগেই থেমে গেলেন মায়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy