গবেষণার ল্যাবে মোটেও ভাল লাগত না স্পার্কির। খাওয়া, ঘুম, মল-মূত্র ত্যাগ সব ওই ছোট্ট খাঁচায়। ছোট্ট স্পার্কি ভয় পেত খুব। দিনের শেষে একটু আদরও জুটত না। সে দেখত, পরীক্ষায় সাড়া দিতে না পারলে কেমন যেন নেতিয়ে পড়ছে বন্ধুরা! কেউ কেউ মারা গেলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিষ্ঠুর ভাবে। তার জায়গায় চলে আসছে অন্য কোনও বিগল।
বিগল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেশ কিছু আইনি ফরমান আছে। স্বাস্থ্যকর খাঁচা, তাদের ঠিকঠাক দেখভাল— নিয়ম আছে অনেক কিছুরই। তবে সে সব কতটা মেনে চলা হয় তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। মূল গোল বাঁধে গবেষণার পরে। এই সব বিগলদের পুনর্বাসন হত না আগে। গবেষণার পর এই বিগলগুলি ভয়ঙ্কর জীবনযাপন করত। অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষার পর অসুস্থ কুকুরদের মেরেও ফেলা হত।
কমপ্যাশন আনলিমিটেড প্লাস অ্যাকশন (কুপা)-এর মাধ্যমে একটি বিগলকে তিনি দত্তক নেন। তখনও গবেষণায় প্রয়োজনীয় কুকুরদের পুনর্বাসন নিয়ে তেমন কড়া কোনও আইন নেই। আইন এল ২০১৫-তে। আইন করে জানানো হল, একটি প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার পরে বা পরীক্ষায় ব্যবহৃত কুকুরের বয়স তিন বছরের মধ্যে হলে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy