OnlyFans becomes most revenue-efficient company, beats NVIDIA, Apple, Meta dgtl
Onlyfans
কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে এক নম্বরে অনলিফ্যানস! এনভিডিয়া, অ্যাপ্ল, মেটার মতো সংস্থাকে টেক্কা দিল দুষ্টু ওয়েবসাইট
অনলিফ্যানসের স্বাধীন বিষয়স্রষ্টার সংখ্যা প্রায় ২১ লক্ষ। অনুরাগীদের জন্য দুষ্টু ছবি-ভিডিয়ো তৈরি এবং বিক্রি করে সাবস্ক্রিপশন এবং টিপসের মাধ্যমে সরাসরি অর্থ উপার্জন করে তারা। মোট আয়ের ৮০ শতাংশ পান এই বিষয়স্রষ্টারা।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:১৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
রাজস্ব-দক্ষতার দিক থেকে প্রযুক্তি সংস্থা এনভিডিয়া, অ্যাপ্ল এবং মেটাকে টেক্কা দিল প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইট অনলিফ্যান্স! ব্রিটেন-ভিত্তিক দুষ্টু এই ওয়েবসাইটই নাকি এখন বিশ্বের সবচেয়ে রাজস্ব-দক্ষ (রেভেনিউ-এফিশিয়েন্ট) সংস্থা।
০২১৬
তেমনটাই উঠে এসেছে আর্থিক এবং বিপণন সংস্থা বারচার্টের রিপোর্টে। বারচার্টের ওই রিপোর্ট বলছে, বিশ্বব্যাপী যে কোনও সংস্থার চেয়ে অনলিফ্যান্স কর্মীপ্রতি বেশি আয় করে।
০৩১৬
রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মীপ্রতি তিন কোটি ৭৬ লক্ষ ডলার আয় করে দুষ্টু তারকাদের প্ল্যাটফর্মটি, যা এনভিডিয়া, অ্যাপল় এবং মেটার মতো ‘জায়ান্ট’ প্রযুক্তি সংস্থাকে বিশাল ব্যবধানে পিছনে ফেলে দিয়েছে।
০৪১৬
সেমিকন্ডাক্টর ‘জায়ান্ট’ এনভিডিয়ার কর্মীপ্রতি গড় আয় ৩৬ লক্ষ ডলার। রাজস্ব-দক্ষ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংস্থাটি।
০৫১৬
এর পর তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কার্সার, অ্যাপ্ল এবং মেটা। ওই তিন সংস্থার কর্মীপ্রতি আয় যথাক্রমে ৩৩, ২৪ এবং ২২ লক্ষ ডলার। তারও পরে রয়েছে গুগ্ল এবং ওপেনএআই।
০৬১৬
কিন্তু রাজস্ব-দক্ষ বলতে কী বোঝায়? এর অর্থ একটি সংস্থা কতটা কার্যকর ভাবে টাকা, সময়, শ্রম বা অন্য ব্যবহৃত সম্পদের সাপেক্ষে বেশি আয় করে।
০৭১৬
লক্ষ লক্ষ স্বাধীন বিষয়স্রষ্টা (কন্টেন্ট ক্রিয়েটর) অনলিফ্যানসে প্রতিনিয়ত ছবি এবং ভিডিয়ো আপলোড করেন। দুষ্টু বিষয়় (কন্টেন্ট) তৈরির সংস্থায় কাজ করেন মোট ৪২ জন কর্মী। সংস্থার বার্ষিক আয় ১৩০ কোটি ডলারেরও বেশি। ফলে কর্মীপ্রতি সংস্থার আয় প্রায় ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ডলার।
০৮১৬
অনলিফ্যানসের স্বাধীন বিষয়স্রষ্টার সংখ্যা প্রায় ২১ লক্ষ। অনুরাগীদের জন্য দুষ্টু ছবি-ভিডিয়ো তৈরি এবং বিক্রি করে সাবস্ক্রিপশন এবং টিপ্সের মাধ্যমে সরাসরি অর্থ উপার্জন করেন তাঁরা। মোট আয়ের ৮০ শতাংশ পান ওই বিষয়স্রষ্টারা। কমিশন হিসাবে আয়ের ২০ শতাংশ নিজেদের কাছে রাখে অনলিফ্যানস।
০৯১৬
২০২৪ অর্থবর্ষে অনুরাগীরা পর্নোগ্রাফি-বান্ধব প্ল্যাটফর্মে খরচ করেছিলেন ৭২২ কোটি ডলার। এর অর্থ হল, এর থেকে বিষয়স্রষ্টারা আয় করেছেন ৫৮০ কোটি ডলার। অনলিফ্যানস আয় করেছে ১৪১ কোটি ডলার, যা মোট রাজস্বের ২০ শতাংশ।
১০১৬
কিন্তু এই বিষয়স্রষ্টারা সংস্থার কর্মচারী হিসাবে গণ্য হন না। অন্য দিকে, সংস্থার মূল কর্মীর সংখ্যা মোটে ৪২। এই ৪২ জন কর্মী সংস্থার ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত কাঠামো এবং অন্যান্য বিষয়ে নজর দেন।
১১১৬
কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে অনলিফ্যানস এগিয়ে থাকলেও সংস্থাটির মোট আয় অ্যাপ্ল, গুগ্লের মতো প্রধান প্রযুক্তি সংস্থাগুলির থেকে অনেক কম। অ্যাপ্ল, গুগ্ল, মেটা এবং মাইক্রোসফ্টের মতো সংস্থাগুলির কর্মীপ্রতি আয় কম হলেও বার্ষিক মোট আয় অনেক বেশি।
১২১৬
কর্মীর সংখ্যা কম হওয়ায় কর্মীদের পিছনে খরচের তুলনায় অনলিফ্যানসের আয় হয় বেশি। ফলে কর্মীপ্রতি আয়ও বেশি। কিন্তু এনভিডিয়া, অ্যাপ্ল বা মেটার ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। প্রযুক্তি সংস্থাগুলির আয় যেমন বেশি, তেমন কর্মীর সংখ্যাও অনেক। ফলে কর্মীপ্রতি আয় তুলনামূলক ভাবে কম।
১৩১৬
গত পাঁচ বছরে অনলিফ্যানসের উত্থান হয়েছে নজরে পড়ার মতো। সংস্থার মাধ্যমে বিষয়স্রষ্টাদের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে।
১৪১৬
একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে অনলিফ্যানসে কন্টেন্ট বিক্রি হয়েছিল ৫৫৫ কোটি ডলারের। ২০২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬৬৩ কোটি ডলার। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ৯ শতাংশ বেড়ে মোট আয় ৭২২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
১৫১৬
অনলিফ্যানসের রাজস্ব কর্মক্ষমতা প্ল্যাটফর্ম-ভিত্তিক ব্যবসায়িক মডেলগুলির লাভ কেমন হয় তা তুলে ধরেছে। সরাসরি নির্মাতা থেকে ভোক্তা লেনদেনকে সহজতর করে এই প্ল্যাটফর্মগুলি। প্ল্যাটফর্মগুলি কেবল পরিকাঠামো এবং লেনদেনে হস্তক্ষেপ করে। বাকি পুরোটাই নির্ভর করে স্বাধীন বিষয়স্রষ্টা এবং তাঁদের অনুরাগীদের উপর।
১৬১৬
পণ্য বিকাশ, হার্ডঅয়্যার উত্পাদন বা গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রযুক্তি সংস্থাগুলির তুলনায় এই সব প্ল্যাটফর্মে অনেক কম কর্মী প্রয়োজন। ফলে কর্মীপ্রতি উপার্জন হয় তুলনামূলক ভাবে বেশি।