২০০৮-এ ‘র’-এর অফিসার মনমোহন শর্মা চিনা শিক্ষিকার ‘হানিট্র্যাপ’-এ পড়ে দেশের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করেছিলেন। ২০০৭-এ ‘র’-এর আরও দুই অফিসার রবি নায়ার এবং কে ভি উন্নিকৃষ্ণণও এই ফাঁদে পড়ে তথ্য ফাঁস করেছিলেন বলে অভিযোগ। ‘হানিট্র্যাপ’-এ পড়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত খবর ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীর বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের একটি রিপোর্টেও উঠে এসেছিল যে, মধুচক্রের ফাঁদে ধরা দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য পাকিস্তানি চরদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন ভারতীয় সেনার কিছু আধিকারিক। রাজস্থান পুলিশের তরফেও দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালের পর থেকে রাজস্থানে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতারির সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমে ওই পাক তরুণীদের নাম বদলে পূজা, মুসকান, হরলিন, ববিতা ইত্যাদি রাখা হয়। এর পর চলে যৌনতার ফাঁদে ফেলার প্রশিক্ষণ। পঞ্জাবি, রাজস্থানি, হিন্দি এবং আরও বেশ কয়েকটি ভাষাও শেখানো হয় তাঁদের। শুধু তাই-ই নয়, তাঁদের চালচলন, হাবভাব এবং পোশাক-আশাক কোনও কিছু দেখে বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় থাকে না যে এই মহিলারা পাকিস্তানের চর।
প্রথমে বন্ধুত্ব। নিজেদের ভারতীয় তরুণী বা মহিলা হিসাবে পরিচয় দেওয়া। তার পর আরও ঘনিষ্ঠ কথোপকথন। এবং শেষে নগ্ন ছবি বা ভিডিয়ো পাঠিয়ে সেনা বা পুলিশকর্মীদের জালে এমন ভাবে ফাঁসানো হয় যে, তাঁরা গড়গড় করে এ দেশের যাবতীয় তথ্য পাচার করে ফেলেন। তার পরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং, হুমকি। ভয় দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতানো হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘হানিট্র্যাপ’-এর ফাঁদে পড়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বেশ কিছু তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থার এক মহিলা কর্মীর কাছে ফাঁস করে দিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস) জানান, ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত গোপন তথ্য দেখাবেন বলে জানিয়েছিলেন ৫৯ বছরের ওই বিজ্ঞানী।
তদন্তে এ-ও উঠে আসে যে, জ়ারা দাশগুপ্ত নাম নিয়ে প্রদীপের সঙ্গে অনলাইনে আলাপ জমিয়েছিলেন পাক গুপ্তচর সংস্থার নিয়োগ করা এক তরুণী। জ়ারা নিজেকে লন্ডনের এক সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বলে দাবি করেছিলেন। বেশ কিছু অশালীন ছবি ও মেসেজও তিনি ওই বিজ্ঞানীকে পাঠিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। প্রদীপ ডিআরডিও-র রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাবলিশমেন্ট (ইঞ্জিনিয়ার্স) ল্যাবরেটরিতে কর্মরত ছিলেন।
অভিযোগ, ওই সময়ের মধ্যে জ়ারার সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখানোর কথা জানিয়েছিলেন প্রদীপ। তবে শুধু ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রই নয়, অগ্নি-৬, কোয়াডকপ্টারের মতো প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আরও নানা বিষয় প্রদীপের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন জ়ারা। ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, প্রদীপের মতো আরও একাধিক ভারতীয় কর্তা পাক গুপ্তচর সংস্থার পাতা যৌনতার ফাঁদে পা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy