শুধু যে বহুবিধ সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক তা-ই নয়, বিভিন্ন সময় প্রীতি জড়িয়ে পড়েছেন নানা সমস্যায়। কখনও পরিচালক আব্বাস টায়ারওয়ালা, কখনও পরিচালক কমল আমরোহি, কখনও প্রযোজক ভরত শাহের সঙ্গে ছোটা শাকিলের যোগ নিয়ে মামলা, কখনও আবার তাঁর মতো দেখতে পর্ন স্টারের এমএমএস ভাইরাল হয়ে যাওয়া— প্রীতি এবং বিতর্ক যেন ছিল মুদ্রার দুই পিঠ।
পরের বিতর্ক আব্বাস টায়ারওয়ালাকে নিয়ে। প্রীতির নিজের প্রযোজনার ফিল্ম ছিল ‘ইসক ইন প্যারিস’। এই ফিল্মের ডায়লগ লিখেছিলেন আব্বাস। প্রীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, পারিশ্রমিক হিসাবে আব্বাসকে প্রীতির দেওয়া ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক বাউন্স করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রীতির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।
সলমন খানের সঙ্গে প্রীতির ঘনিষ্ঠতার কথাও কারও অজানা নয়। ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ফিল্মের সময়ও বন্ধু সলমন খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। সে সময় সলমন খান এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল নেটমাধ্যমে। তার বিষয়বস্তু ছিল এমন যে, প্রীতির সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছেন সলমন। এই অডিয়ো সামনে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টা নিয়ে সলমন নীরব থাকলেও কিছু সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন প্রীতি। পরে জানা যায়, অডিয়োটি ছিল ভুয়ো।
জীবনে যত বিতর্কে জড়িয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল এমএমএস-কাণ্ড। যার নেপথ্যে ছিল মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রীতির সাক্ষ্য দেওয়া। ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’র সময় আন্ডারওয়ার্ল্ডের কাছ থেকে হুমকি ফোন পান অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা। মাফিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাননি কেউই। প্রীতিই একমাত্র প্রযোজক ভরত শাহের সঙ্গে ছোটা শাকিলের যোগ নিয়ে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy