Reptilian conspiracy theory: Some people believe there is retile blood in powerful people’s vein dgtl
Reptilian conspiracy theory
ভিন্গ্রহী সরীসৃপের রক্ত বইছে জ়াকারবার্গদের শরীরে? ‘ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত ব্রিটিশ রাজপরিবার!
সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আমেরিকার ৪ শতাংশ মানুষ সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করেন। আমেরিকার বুকে যে তত্ত্ব মাথা তুলেছিল বিশ শতকের শেষ দিকে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, ক্ষমতাশালীদের শরীরে বইছে সরীসৃপের রক্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতার শরীরে নাকি সাধারণ মানুষের রক্ত বইছে না। তাঁদের রক্তে নাকি রয়েছে ভিন্গ্রহী মিশ্রণ।
০২১৫
এমনটাই মনে করেন আমেরিকার ৪ শতাংশ মানুষ। তাঁরা সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্বে (রেপটিলিয়ান কন্সপিরেসি থিওরি) বিশ্বাস করেন। আমেরিকার বুকে যে তত্ত্ব মাথা তুলেছিল বিশ শতকের শেষ দিকে। তার পর ধীরে ধীরে ডালপালা মেলেছে সে তত্ত্বভিত্তিক বিশ্বাস।
০৩১৫
আমেরিকান তাত্ত্বিক ডেভিড আইক বিশ শতকের শেষ দিকে কিছু বই লিখে সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর তত্ত্ব সাড়া ফেলে দিয়েছিল সারা দেশে।
০৪১৫
এই তত্ত্ব অনুসারে, বিশ্ব রাজনীতিতে চালকের আসনে যাঁরা আছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আওতায় পড়েন। মানুষের বেশে থাকলেও তাঁদের আসল উদ্দেশ্য মানুষের সমাজের উপর আধিপত্য কায়েম করা।
০৫১৫
ডেভিড আইকের মতে, প্রাচীন কালে পৃথিবীতে এসে নেমেছিল ভিন্গ্রহীরা। মানুষের চেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এই সমস্ত প্রাণী মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে শুরু করে।
০৬১৫
মানবপ্রজাতির সঙ্গে জিনগত মিশ্রণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে পৃথিবীতে বংশবিস্তার করে ভিন্গ্রহীরা। তারাই রাষ্ট্রনেতা হিসাবে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছেছে। দেশ শাসনও করে চলেছে তাদের বংশধরেরাই।
০৭১৫
শুধু রাষ্ট্রনেতা নন, সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের শরীরে ভিন্গ্রহী সর্পিল রক্তের যোগ রয়েছে বলে মনে করেন আইকের তত্ত্বে বিশ্বাসীরা।
০৮১৫
কী ভাবে চেনা যায় এই মানববেশী ভিন্গ্রহীদের? তার কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছিল ফিলিপ বাম্পের ‘হাউ টু স্পট দ্য রেপটিলিয়ান্স রানিং দ্য ইউএস গভর্নমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে।
০৯১৫
সেখানে বলা হয়েছিল, কম রক্তচাপ, চামড়ায় নানা দাগ, চোখের মণির রং সবুজ, নীল বা হালকা বাদামি এই ধরনের বৈশিষ্ট্য এঁদের চিহ্নিত করার সহজ উপায়। এ ছাড়া, এঁদের মহাকাশের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়।
১০১৫
সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কেউ কেউ টেনে এনেছেন বাইবেলের দৃষ্টান্ত। তাঁদের মতে এই খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থেও ভিন্গ্রহী সরীসৃপদের কথা বলা হয়েছে। ইভের আপেল খাওয়ায় উস্কানি দেওয়ার নেপথ্যে নাকি ছিল সাপের ভূমিকা।
১১১৫
২০১৬ সালে মার্ক জ়াকারবার্গকে একটি সাক্ষৎকারে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, তিনি মানুষের বেশে আসলে ভিন্গ্রহী সরীসৃপ কি না। প্রশ্নটি অত্যন্ত ‘বোকা বোকা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মেটার কর্ণধার।
১২১৫
বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং টুইটারের মালিক ইলন মাস্কের মহাকাশপ্রীতি কারও অজানা নয়। তাঁকেও এই ‘ছদ্মবেশী ভিন্গ্রহী’দের দলে ফেলে থাকেন কেউ কেউ।
১৩১৫
ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লসকেও ভিন্গ্রহী সরীসৃপের বংশধর বলে উল্লেখ করেন অনেকে। ব্রিটেনের গোটা রাজবংশটিকেই এই পর্যায়ে ফেলেন অনেকে।
১৪১৫
সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীরা মনে করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শরীরেও ভিন্গ্রহী রক্ত বইছে। তিনিও মানবজাতির উপর চূড়ান্ত আধিপত্য কায়েমের ষড়যন্ত্রের শরিক।
১৫১৫
আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস রাখলেও বিজ্ঞানীদের অধিকাংশের দাবি, এই তত্ত্ব আদতে ভিত্তিহীন। অতীতে পৃথিবীর মাটিতে ভিন্গ্রহী হানা, কিংবা তাঁদের জিনগত সম্প্রসারণের কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলেনি।