চার বছর একসঙ্গে সময় কাটানো। তার পর বিয়ে। বলিউডের ‘গ্রিক গড’ হৃতিকের সঙ্গে সুজানের জুটি সর্ব ক্ষণ ছিল আলোচনার কেন্দ্রে।
২০০০ সালে বিয়ে করার পর ১৩ বছর সম্পর্কেও ছিল এই জুটি। তাঁদের দুই পুত্রসন্তানকে নিয়ে ভালই সংসার করছিলেন রোশন-দম্পতি।
কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে ভাটার টান পড়তে শুরু করে ২০১৩ সাল থেকে। এর ঠিক এক বছর পরেই হৃতিক ও সুজান তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টানেন।
কিন্তু, সুজানের পরিবারের সদস্যরা বরাবরই হৃতিককে পছন্দ করতেন। এমনকি, সুজানের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরেও হৃতিকের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগে ছেদ পড়েনি।
সুজানের ছোট ভাই ওরফে অভিনেতা জায়েদ খানও তাঁর প্রাক্তন জামাইবাবুর ভক্ত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, হৃতিককে তিনি নিজের ভগবান বলেই মানেন।
জায়েদ কখনও কোনও সমস্যায় পড়লে হৃতিকের সঙ্গেই নাকি পরামর্শ করেন। সুজানের পরিবারের সঙ্গেও তাঁর ভীষণ ভাল সম্পর্ক।
বাড়ির জামাই হিসাবে এখনও হৃতিককেই পছন্দ সুজানের পরিবারের। তাঁরাও জানেন না, সুজানের সঙ্গে ঠিক কী কারণে সম্পর্ক টিকল না হৃতিকের।
তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই বলিপাড়ায় এই নিয়ে গুঞ্জনের ছড়াছড়ি। ডিভোর্সের পরেও তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে বহু বার, বহু জায়গায়।
এমনকি অতিমারিকালে দুই পুত্রের সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়েছেন হৃতিক-সুজান। কিন্তু তাঁদের সরাসরি প্রশ্ন করলে দু’জনেই প্রতি বার এড়িয়ে গিয়েছেন।
তবুও তাঁরা দু’জনেই জানিয়েছেন, খাতায়কলমে প্রাক্তন দম্পতি হলেও তাঁদের মধ্যে আজও ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে।
তাঁদের দু’জনের জীবনেই আবার প্রেম এসেছে। হৃতিক ও সুজান তাঁদের নতুন সঙ্গীদের নিয়ে একে অপরের সঙ্গে দেখাও করেছেন।
একই ফ্রেমে বন্দি হয়েছেন হৃতিক-সাবা এবং সুজান-আর্সলান। তাঁদের এমন গভীর বন্ধুত্বের সমীকরণ দেখে অবাক সকলেই।
তবে জায়েদ এক দিকে যেমন হৃতিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, অন্য দিকে তাঁকে কিন্তু সুজানের বর্তমান জীবনসঙ্গী সম্পর্কে বিশেষ মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
এই প্রসঙ্গে তিনি শুধু জানান, আর্সলান মানুষ হিসাবে ভাল। সুজান তাঁর সঙ্গে খুশি রয়েছে। এর বাইরে আর কিছুই বলেননি জায়েদ।
Or
Re-send email
Cancel
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy