Television actor was cheating on his first wife with Bollywood actress, got divorced dgtl
Anup Soni's Love Story
প্রাক্তন সাংসদের কন্যার সঙ্গে পরকীয়া! ফোনের মোটা বিল দেখে টেলি নায়কের গোপন প্রেম হাতেনাতে ধরেন প্রথম স্ত্রী
বিয়ের ছ’বছর পর অভিনেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে তাঁর স্ত্রীর। তিনি লক্ষ করতেন যে, নায়ক তাঁর সঙ্গে সময় কাটানো অনেকটাই কমিয়ে দিচ্ছেন। দিনের অধিকাংশ সময় কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। কাজ থেকে ফিরে এসেই ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১৪:২১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
পরিবারের পছন্দের বিরুদ্ধে গিয়ে নায়ককে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর প্রথম প্রথম তাঁদের মধ্যে বনিবনা না হলেও পরে টেলি অভিনেতা অনুপ সোনির সঙ্গে ভাল ভাবেই সংসার করতে শুরু করেন তরুণী। বিয়ের ছ’বছর পর ফোনের মোটা বিল দেখে স্বামীর পরকীয়া হাতেনাতে ধরে ফেলেন অনুপের প্রথম স্ত্রী।
০২২০
বড় পর্দায় অভিনয় করতে চাইলেও ছোট পর্দায় অভিনয় করেই জনপ্রিয় হন অনুপ। কলেজের পড়াশোনা শেষ করে এক বেসরকারি সংস্থায় চাকরি শুরু করেছিলেন ঋতু সোনি। কাকতালীয় ভাবে সেই সংস্থার বিজ্ঞাপনে অভিনয় করার সূত্রে সেই অফিসে হাজির হন অনুপ।
০৩২০
১৯৯৮ সালে অনুপের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় ঋতুর। পেশাগত সূত্রে অনুপের কাজকর্ম সামলানোর দায়িত্ব পড়ে ঋতুর কাঁধে। দু’জনের আলাপ প্রেমে গড়িয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি। বিয়ে করে সংসার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁরা।
০৪২০
মেয়ের পছন্দ শুনে প্রথমে আপত্তি জানান ঋতুর বাবা-মা। তাঁরা চেয়েছিলেন, মেয়ের বিয়ে যেন কোনও ব্যবসায়ীর সঙ্গে হয়। অভিনেতাদের জীবনধারা সুবিধার মনে হত না তাঁদের। পরে অবশ্য ঋতুর মতেই মত দিতে বাধ্য হন তাঁরা।
০৫২০
১৯৯৯ সালে ঋতুকে বিয়ে করেন অনুপ। বিয়ের প্রথম ছ’মাস যদিও তাঁদের মধ্যে বনিবনা একদমই হত না। কথায় কথায় ঝগড়া লাগত তাঁদের দু’জনের। পরে অবশ্য সেই ঝামেলাগুলো থিতিয়ে যায়। ভালবাসার মানুষের সঙ্গে সুখের সংসার যাপন করতে শুরু করেন ঋতু।
০৬২০
বিয়ের পর দুই সন্তানের জন্ম দেন ঋতু। প্রথম সন্তান জন্মের আগে অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন ৯টা-৫টার চাকরি ছেড়ে নিজের একটি সফ্টঅয়্যার সংস্থা খোলেন ঋতু। তার পর সেই সংস্থার কাজ এবং স্বামী, দুই সন্তানকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি।
০৭২০
বিয়ের ছ’বছর পর অনুপের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে ঋতুর। তিনি লক্ষ করতেন যে, অনুপ তাঁর সঙ্গে সময় কাটানো অনেকটাই কমিয়ে দিচ্ছেন। দিনের অধিকাংশ সময় কাজের সূত্রে বাইরে থাকছেন। কাজ থেকে ফিরেই ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। সন্দেহ হওয়ায় ফোনের বিল খতিয়ে দেখেন ঋতু।
০৮২০
ফোনের বিল দেখে মাথায় হাত পড়ে ঋতুর। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্য এক নারীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন অনুপ। সেই নারী আর কেউ নন, বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ রাজ বব্বরের কন্যা জুহি বব্বর।
০৯২০
কানাঘুষো শোনা যায়, অনুপের সঙ্গে জুহির কী সম্পর্ক রয়েছে তা সরাসরি জুহিকেই জি়জ্ঞাসা করেছিলেন ঋতু। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন জুহি। পরে অনুপকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি সেই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন।
১০২০
পরকীয়া সম্পর্কের কথা স্বীকার করে অনুপ জানান, মাঝেমধ্যে নাকি জুহির সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে তাঁর সঙ্গে পুণেয় যেতেন অনুপ। সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি মেনে নিতে পারেননি ঋতু। ২০১০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। সন্তানদের নিয়ে আলাদা হয়ে যান ঋতু।
১১২০
বিবাহবিচ্ছেদের পর পরকীয়া সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেন অনুপ। বিচ্ছেদের কয়েক মাস পর ২০১১ সালে জুহিকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর এক সন্তানের জন্ম দেন জুহি। অনুপের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে ছিল জু্হির।
১২২০
জুহির মা নাদিরা বব্বর থিয়েটারজগতে প্রশংসিত ছিলেন। মায়ের নাটকের দলে যুক্ত হয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় জুহির। সেই নাটকের দলের সদস্য ছিলেন অনুপ। সেখান থেকেই দু’জনের আলাপ, বন্ধুত্ব। অনুপ এবং জুহির বাড়িও ছিল কাছাকাছি। সেখান থেকেই টেলি অভিনেতার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জুহি।
১৩২০
বলিপাড়ার গুঞ্জন, বিজয় নাম্বিয়ারের পরিচালনায় ‘রিফ্লেকশন্স’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের নির্বাক ছবিতে অভিনয়ের সূত্রে পরিচালকের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল জুহির। সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে গড়ায়। ২০০৭ সালের জুনে দুই তারকা সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন। যদিও তাঁদের সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ের দু’বছর পর ২০০৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় জুহি এবং বিজয়ের।
১৪২০
জুহির দাবি, অনুপকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা। অনুপের সঙ্গে প্রথমে জুহি তাঁর দুই ভাইয়ের (প্রতীক বব্বর এবং আর্য বব্বর) দেখা করিয়েছিলেন। তার পর দুই ভাই মিলে রাজকে বিয়ের ব্যাপারে রাজি করিয়েছিলেন।
১৫২০
১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্ম অনুপের। দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তার পর হিন্দি ধারাবাহিকে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান অনুপ। ১৯৯৯ সালে প্রথম হিন্দি ছবিতে অভিনয় শুরু তাঁর। বড় পর্দার অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল অনুপের। কিন্তু সেই স্বপ্ন সফল হয়নি।
১৬২০
একাধিক হিন্দি ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়েও বিশেষ লাভ হয়নি অনুপের। বড় পর্দায় তাঁর কেরিয়ার তেমন ফলপ্রসূ না হলে আবার ছোট পর্দায় ফিরে যান অনুপ। ২০০৬ সালে সম্প্রচারিত ‘কহানি ঘর ঘর কি’ হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। টেলিভিশনজগতে পরিচিতি বাড়তে থাকে তাঁর।
১৭২০
২০১০ সাল থেকে ‘ক্রাইম পেট্রল’ নামে একটি রিয়্যালিটি শোয়ের সঞ্চালনা করতে শুরু করেন অনুপ। টানা ১০ বছর এই শোয়ের সঞ্চালনা করেন তিনি। এই শোয়ের কারণে এক দিক থেকে যেমন তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে, অন্য দিকে ক্ষতিও হয় তাঁর কেরিয়ারের।
১৮২০
কানাঘুষো শোনা যায় যে, টেলিভিশনের জগতে যে রিয়্যালিটি শোয়ের সঞ্চালনা করে অনুপ খ্যাতি পেয়েছিলেন, সেই শোয়ের কারণেই নাকি অন্য কোথাও কাজ পাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। সঞ্চালনার জন্য এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, লোকে তাঁকে অন্য কাজের প্রস্তাব দেওয়াই নাকি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ছ’বছর কর্মহীন ছিলেন অনুপ।
১৯২০
একসময় লোকের কাছে নাকি কাজও চেয়ে বেড়াতেন অনুপ। কেরিয়ারের কথা ভেবে ২০২০ সালে সঞ্চালনার কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। তার পর ‘খালি পীলি’, ‘ক্লাস অফ ’৮৩’, ‘সত্যমেব জয়তে ২’ নামের একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
২০২০
ওটিটির পর্দায়ও কেরিয়ার গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন অনুপ। ‘দ্য টেস্ট কেস’, ‘বম্বার্স’, ‘তাণ্ডব’-এর মতো ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেন তিনি। ২০২২ সালে ‘খাকি: দ্য বিহার চ্যাপ্টার’ নামের সিরিজ়ে শেষ অভিনয় দেখা যায় তাঁর।