আয়তনে গায়ানের দ্বিগুণ বারমাল। কয়েকটি শহর, শহরতলিও রয়েছে। আছে প্রশাসনিক দফতর কার্যালয়, অফিস-কাছারি। যদিও গোটা জেলায় কোনও স্কুল নেই। নেই হাসপাতালও। আফগানিস্তানে স্থানীয় চ্যানেলের ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে বারমল থেকে হেলিকপ্টারে করে আহতদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্য প্রদেশে চিকিৎসার জন্য। কোথাও ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই প্লাস্টিকের চেয়ারে বসিয়ে চলছে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ।
মঙ্গলবারের ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। জখম কম করে দেড় হাজার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকটিকা প্রদেশের দু’টি জেলাই। ভূমিকম্প আর ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের নেতা হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা বুধবার জানান, অজস্র বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে গত ১০ বছরে ৭০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পে। গড়ে প্রতি বছর ৫৬০ জনের ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় আফগানিস্তানে। ২০২২ সালের মতো তীব্র ভূমিকম্প হয়েছিল ২০০২ সালেও। সেবারও হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছিল আফগানিস্তানে। ১৯৯৮ সালে একই ধরনের তীব্রতার ভূমিকম্পে সাড়ে চার হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন দেশটিতে। তার পরও সতর্ক হয়নি আফগান প্রশাসন।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ ন্যূনতম খাবারটুকুও পান না। এই পরিস্থিতিতে এত বড় বিপর্যয় কি সামলাতে পারবে আফগানিস্তান? কাবুলে বসে দেশের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ হাসান আখুন্দ অবশ্য জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সরবরাহ পাঠানো হচ্ছে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে। তবে পাশাপাশি অন্য দেশগুলিকেও এগিয়ে আসতে বলেছে তালিবান নেতা। সাহায্য করতে বলেছে বিপদে পড়া দেশকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy