ছবি: রৌদ্র মিত্র।
পূর্বানুবৃত্তি: অর্ধমৃত জয়চন্দ্র ভোর রাতে এসে পৌঁছল মাধব মিশ্রের আস্তানায়। মৃত্যুর আগে কিছু অস্ফুট সাঙ্কেতিক শব্দ সে হয়তো বলতে পেরেছিল। মাধব জয়চন্দ্রের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করে এসে দেখা করে নৃসিংহ উপরায়ের সঙ্গে। জানায়, ইসমাইল গাজি সৈন্যসহ ঢুকে পড়েছে ওড়িশার সীমানায়। শুধু সেটুকুই নয়, শত্রুপক্ষের পরিকল্পনার অন্যতম অংশ মন্দিরের বিগ্রহাদি ধ্বংস করা। শুনে আতঙ্কিত নৃসিংহ মাধবকে বললেন, এই খবর তখনই প্রদেশপাল গোবিন্দ বিদ্যাধরের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। আপত্তি করলেন মাধব। তাঁর কাছে পাকা খবর আছে, গৌড়েশ্বর হুসেন শাহের এক চর গোপনে পুরীধামে এসেছিল কয়েক দিন আগে। গোবিন্দ বিদ্যাধরের সঙ্গে সেই চর একান্তে শলাপরামর্শ করেছে আগেই। নৃসিংহ আর মাধব তখন নিজেদেরমধ্যেই ইতিকর্তব্য আলোচনা করতে শুরু করেন।
অন্য দিকে এক দল উগ্র যবন সেনা অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে পুরী নগরীতে ঢুকে পড়েছে। বণিক আর ভক্তের ছদ্মবেশে ভোর হওয়ার আগেই তারা পৌঁছে গিয়েছে শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের উপকণ্ঠে। মন্দিরের রক্ষীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা মন্দিরে ঢুকে পড়ল। উদ্দেশ্য ছিল দেববিগ্রহ অপহরণ ও ধ্বংস। কিন্তু গোবিন্দ বিদ্যাধরের সেনারাও কম নয়। মন্দিরের ভিতরে এক মরণপণ লড়াই হল। রক্তে ভেসে গেল মন্দিরের অলিন্দ। যবন সেনাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্বয়ং ইসমাইল গাজি। সে যেমন ধূর্ত, তেমনই রণনিপুণ। কিন্তু ধূর্ত ইসমাইল গাজিও হতভম্ব হয়ে গেল, যখন বিগ্রহ অপহরণ করতে গিয়ে দেখল— মন্দিরে দেববিগ্রহ নেই!
সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হতে চলেছে দেখে ইসমাইল গাজি ক্রোধে অন্ধ হয়ে গেল। রক্তে রক্তে মন্দির কলুষিত করে সে ঠিক করল, মন্দির অবরুদ্ধ করে রাখবে। সে চিৎকার করে তার সেনাদের নির্দেশ দিল, “খুঁজে বার করো কোথায় গেল বিগ্রহ? সেবায়েতদের ধরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করো। যে খবর দিতে পারবে না, তাকেই কোতল করবে।”
ইসমাইল গাজি বুঝতে পারছিল, মন্দির আর বিগ্রহ ধ্বংস করতে না পারলে তাদের এই পুরী বিজয় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে যাবে। বিগ্রহ ধ্বংস করে দিতে পারলে নীলাচলের সেনার মনোবল একেবারে ভেঙে যাবে। ফলে অতি সহজেই তারা পুরী অধিকার করে নিতে পারবে।
কিন্তু তার এই ব্যর্থতায় এ বার মনোবল বহু গুণ বেড়ে যাবে মন্দিররক্ষীদের। কত দিন আর তারা মন্দির অবরোধ করে রাখতে পারবে? নানা দিক থেকে পঙ্গপালের মতো ওড়িশার সৈন্য তাদের ঘিরে ফেলে নিশ্চিত ফাঁদে পড়া মূষিকের মতোপিষে মারবে।
ও দিকে গোবিন্দ বিদ্যাধরও যারপরনাই বিস্মিত। তিনিও বুঝে উঠতে পারেননি কোথায় গেল বিগ্রহ। সেটা বুঝতে না পারলেও মন্দির রক্ষার জন্য সৈন্যদের মরণপণ করে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন। মনে মনে ভাবলেন, ‘সবই বাবা জগন্নাথের কৃপা, সময় হলে তিনি ঠিকই ফিরে আসবেন, কিন্তু কোনও ভাবেই মন্দিরের ক্ষতি সাধন হতে দেওয়া যাবে না।’ তিনি নিজেই এ বার যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে পথে নেমে পড়লেন।
সে এক ভয়ানক কৌশলী যুদ্ধ শুরু হল।
যবন সেনা দেখল, মন্দির ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু তারাও ছাড়বার পাত্র নয়। তারা মন্দির অবরোধ করে রাখল। মন্দিরের জল, খাবার ইত্যাদি সমস্ত কিছুর উৎস বিচ্ছিন্ন করে দিতে চাইল। কিছুটা সফলও হল।
চতুর গোবিন্দ বিদ্যাধর এ বার পিছন থেকে ইসমাইল গাজির সেনাদের রুদ্ধ করে ফেলতে শুরু করল। অবরোধ-পাল্টা অবরোধের সে এক ভয়ঙ্কর চতুর লড়াই।
৪
অনাবিল রোদ্দুর অনন্তের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। দিগন্তবিস্তৃত জলের উপর থেকে ভেসে আসা বাতাস রোদের উষ্ণতাকে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে। চিল্কার নীল বারিরাশির বুকে ভেসে চলেছে সুসজ্জিত একটি ভড়। মাঝারি আকৃতির বাণিজ্য-ভড়। সেটি দ্রুত ভেসে চলেছে, তবে তার লক্ষ্য সমুদ্র নয়,অন্য কোথাও।
নৌকোর সামনে এক টুকরো ছায়ায় দাঁড়িয়ে বিপুল জলরাশির দিকে তাকিয়ে ছিলেন নৃসিংহ। তাঁর পরনে ধনশালী বণিকের মতো বহুমূল্য রত্নখচিত পোশাক। চিল্কার উপকূলে পাঁচ জন দেখে ভাবল, বণিকপুত্র বুঝি আবার সমুদ্রযাত্রায় বেরিয়েছেন। বেরিয়ে বরং ভালই করেছেন। যবন সেনাদের তাণ্ডবলীলায় নগর ছেড়ে সমুদ্রে ভেসে পড়াই ভাল।
কিন্তু নৃসিংহের মন চিন্তাকুল। কিছুটা উদ্বিগ্ন। এক রাতেই তাঁর সমস্ত জীবনের ভূমিকার পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। যে কাজে তিনি পদার্পণ করেছেন, সে কাজের লক্ষ্যে পৌঁছতে এখনও ঢের দেরি। এখনও বহু বিপদসঙ্কুল পথ অতিবাহিত করতে হবে। সেই নিয়েই তাঁর উদ্বেগ। এই উদ্বেগ নিয়ে তাঁকে ঠিক কত দিন অপেক্ষা করতে হবে, তা তিনি জানেন না। ফলে আশঙ্কার অন্ধকার তাঁকে ঘিরে রেখেছিল সর্বক্ষণ।
রোদের দিকে তাকিয়ে তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন, কী বিপদসঙ্কুল রাত্রি তিনি অতিবাহিত করেছেন। প্রতি মুহূর্তে তাঁর মনে হচ্ছিল, এই বুঝি সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। এই বুঝি শত্রুর অসি-প্রহার তাঁদের ছিন্নভিন্ন করে দিল।
পিতৃসম শিক্ষাগুরু কাহ্নদেবের হাতে শিবিকার রক্ষীদের সমস্ত দায়িত্ব দিয়ে তিনি, মাধব আর পিরুমল তিন জনে তিনটি কালো ঘোড়ায় চড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তিন জন ধরলেন তিনটি রাস্তা। কারণ কোনও ভাবে যদি শত্রুদের কাছে এই অভিপ্রায় ফাঁস হয়ে যায়, তাদের বিভ্রান্ত করা যাবে। ঠিক ছিল, তিন জনে তিন দিক থেকে রওনা হলেও গিয়ে মিলিত হবেন চিল্কার বন্দরে। অবশ্য তার আগে নিজেদের বেশ পরিবর্তন করতে হবে। আর হস্তিপৃষ্ঠে পেটিকা ও অন্যান্য বাণিজ্য দ্রব্যাদি-সহ একটি ঘোড়-শকটে বনপথে চিল্কার দিকে চললেন কাহ্নদেব পণ্ডিত।
ঘটনাটি পরে শুনেছেন নৃসিংহ। মনে পড়লে এখনও তাঁর গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে।
পণ্ডিতপ্রবর সবে নগরের সীমানা অতিক্রম করে বনের পথ ধরেছেন। আকাশে চাঁদের আলো নেই। চার পাশ জুড়ে আকাশের তারার স্বল্প আলো। বনপথে ইতস্তত গাছের ফাঁক দিয়ে সেই অল্প আলো ঝরে পড়েছে রাস্তায়, সেগুলো অন্ধকার পটভূমিকায় বিন্দু বিন্দু আলোর ফুলকি মাত্র। তবে এই আধো আলো-অন্ধকারে তাঁদের পথ চলতে অসুবিধে হচ্ছিল না। অন্ধকারে এই ভাবে পথ চলার শিক্ষা তাঁদের নিতে হয়েছে। ফলে প্রয়োজন হচ্ছিল না মশাল জ্বালিয়ে অকারণে অজানা শত্রুদের সজাগ করে দেওয়ার।
কিন্তু এই নিশ্চিন্ততা বেশি ক্ষণ স্থায়ী হল না। তাঁরা বনের মধ্যভাগ পার হয়েছেন, সামনেই একটা মোড়। সেখান থেকে রাস্তা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে। এখান থেকে যে রাস্তাটি তাঁদের ধরতে হবে, সে দিকে বনের ঘনত্ব বেশ বেশি। পথও খারাপ। পথটি সাধারণ মানুষজন এড়িয়ে চলে, বিশেষ করে রাত্রিকালে এই পথ কেউ অতিক্রম করতে সাহস পায় না। সেখানে বনের ভয়ঙ্কর শ্বাপদের যেমন শঙ্কা আছে, তেমনই আছে দস্যুদের ভয়।
কাহ্নদেব জগন্নাথদেবকে স্মরণ করে সেই পথেই পা বাড়ালেন। এই পথ না ধরলে সকালের আগে তাঁরা কিছুতেই বন্দরে পৌঁছতে পারবেন না।
আরও কিছুটা পথ চলার পরে তাঁর যেন সহসা মনে হল, কেউ পিছু নিয়েছে। এমন হয় মাঝে মাঝে। অন্ধকারে চলতে চলতে অকারণেই ভ্রম হয়, নিজের ছায়াকেও তখন অবিশ্বাসী মনে হয়। কাহ্নদেবও প্রথমে সে রকমই ভেবেছিলেন। কিন্তু তার পরেই তাঁর মনে হল, এই দিকটি বেশি অন্ধকার, ঘন গাছের বেষ্টন ভেদ করে নক্ষত্রের আলো এই দিকে তেমন প্রবেশ করতে পারছে না।
প্রাজ্ঞ কাহ্নদেব বুঝতে পারলেন, তাঁর অনুমান ভ্রম নয়। হয় মানুষ, না হয় শ্বাপদ, কেউ নিশ্চিত তাঁদের পিছু নিয়েছে। তাঁর এক আশ্চর্য ক্ষমতা আছে। তিনি পায়ে চলার ছন্দ নির্ভুল বুঝতে পারেন। এত ক্ষণ যে চলার ছন্দে তাঁদের বাহিনী হাতি ও অশ্ব-সহ চলছিল, তা তাঁর মগজে গাঁথা হয়ে গিয়েছিল। এখন তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, সেই ছন্দের সঙ্গে কমপক্ষে দু’জোড়া পায়ের ছন্দ যুক্ত হয়েছে। তিনি এও বুঝতে পারলেন, এই দুই জনের মধ্যে এক জনের একটি পা ঈষৎ বিকলাঙ্গ। হয়তো কোনও আঘাতে স্বাভাবিক চলচ্ছক্তি বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। মনে মনে ভাবলেন, ‘এই লক্ষণ তো ভাল নয়। খঞ্জ মানুষের হাঁচি অশুভ লক্ষণ!’
সহসা তিনি মুখে শিস দেওয়ার মতো অদ্ভুত এক সাঙ্কেতিক শব্দ করলেন। এই শব্দের অর্থ তাঁর সকল সঙ্গীর পরিচিত। নিস্তব্ধ বনের ভিতরে সেই শব্দ যেন ঝনঝন করে অন্ধকারকে ভেঙে চৌচির করে দেয়। গাছের উপরে থেকে এক ঝাঁক পাখি উড়ে যায়।
মুহূর্তমধ্যে এই বাহিনীর সকলে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে। রক্ষীরা কোমরে গোঁজা অসি মুক্ত করে। সঙ্গে সঙ্গে বন থেকে কয়েকটি তির ছুটে এল। সেই শরে বিদ্ধ হয়ে এক জন রক্ষী ভূপতিত হল। কিন্তু সেই শর কোন দিক থেকে আসছে তা রক্ষীদের বোধের বাইরে। একটি শর বোধহয় হস্তীটির পায়ে লেগেছিল। চরাচর কাঁপানো তার বৃংহণে আবার বনের অন্ধকার ভেঙে খানখান হয়ে যায়।সেই সঙ্গে কাহ্নদেবের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে আশ্চর্য জান্তব এক চিৎকার। হাতির বৃংহণ ছাপিয়েও সেই শব্দ বনে বনে তরঙ্গায়িত হতে থাকল। সেই সঙ্গে তিনি ধনুকে শরযোজনা করে খঞ্জ মানুষটির পদক্ষেপের অশ্রুতপূর্ব শব্দ লক্ষ করে শর নিক্ষেপ করলেন। অব্যর্থ নিশানা। তৎক্ষণাৎ এক আর্ত চিৎকার, আর কোনও ভারী বস্তুর পতনের শব্দ। সেই সঙ্গেই ধুপধাপ করে আরও কয়েকটি পায়ের শব্দ যেন ক্রমশ দূরে মিলিয়ে গেল। তার পরেই বনের পরিবেশ সহসা শান্ত। কাহ্নদেব ও সঙ্গীরা চুপ করে সেই স্থানে দাঁড়িয়ে থেকে কিছু ক্ষণঅপেক্ষা করলেন।
পণ্ডিতমশাই বাতাসে কান পেতে অপেক্ষা করলেন। কয়েক মুহূর্ত পরে বললেন, “মনে হয় দস্যুরা পালিয়ে গিয়েছে।”
তিনি তিরবিদ্ধ যোদ্ধাটির নাড়ি অনুভব করার চেষ্টা করলেন। তার পরে মাথা নাড়লেন। সে তৎক্ষণাৎ মারা গিয়েছে।
সঙ্গীদের নির্দেশ দিলেন, “চলো, পা চালাও দ্রুত। অনেকটা সময় নষ্ট হল। যে গতিতে চলছিলাম, এ বার তার দ্বিগুণ গতিতে এগোতে হবে।”
না, তার পরে আর কোনও বিপদ হয়নি। এক রকম দৌড়েই তাঁরা ভোর হওয়ার আগে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছতে পেরেছিলেন।
ভোরের আলো ফোটার আগেই বড় বাণিজ্যিক ভড়টি প্রস্তুত হয়ে ছিল। তার সঙ্গে আরও দু’টি দ্রুতগতির ছিপনৌকো। তাদের ছাউনির ভিতরে ধীবরের ছদ্মবেশে বাছা বাছা দশ জন যোদ্ধা।
হাতির পিঠের সেই পেটিকাকে নিয়ে প্রভাত হওয়ার আগেই নৃসিংহ সমুদ্রে ভেসে পড়েছিলেন। সঙ্গী পিরুমল।
কাহ্নদেব আর মাধব সেখান থেকেই তাঁদের বিদায় জানিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন। যেন নৃসিংহকে বিদায় অভিবাদন জানাতে এসেছিলেন তাঁরা।
নৃসিংহ মনে মনে ভাবলেন, বহু দিন আগে তিনি এক বার চড়াই গুহায় গিয়েছিলেন। দুর্গম আর বনজঙ্গল বেষ্টিত একটি দ্বীপ, চিল্কা হ্রদের মাঝে অবস্থিত। সেই দ্বীপের দুর্গম স্থানে বহু প্রাচীন এক পর্বতের কন্দরে অবস্থিত চড়াই গুহা।
৫
কৃষ্ণা নদীর তীরে সবে অন্ধকারের পর্দা সরিয়ে ভোরের আলো ফুটে উঠেছে। নদীর অদূরেই বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সারি সারি তাঁবু পড়েছে যুদ্ধের। ইতস্তত প্রহরীদের পাহারা। স্থানে স্থানে অগ্নিকুণ্ড। সেখানে সারা রাত যেন পাহারায় থাকেন অগ্নিদেব।
গজপতি মহারাজ প্রতাপরুদ্রদেব নিজের শিবির থেকে বেরিয়ে ধীরপায়ে নদীর দিকে চললেন। যে ক’দিন তিনি এখানে আছেন, এটাই তাঁর প্রাতঃকালীন অভ্যাস। নগ্ন পদে উত্তরীয়মাত্র সম্বল করে তিনি নদীর কাছে চলে যান। সেখানে কৃষ্ণার পবিত্র বারিধারায় অবগাহন করে সূর্যপ্রণাম সারেন।
কিন্তু আজ সকাল থেকেই মহারাজের মন বিক্ষিপ্ত। মনের ভিতরের কোনও গোপন অন্ধকারে যেন এক অশুভ পাখি ডেকে চলেছে ক্রমাগত। তিনি বুঝতে পারছেন না কেন এমনটা হচ্ছে! সূর্য তর্পণের সময়েও তাঁর মন বার বার বিক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে।
ক্রমশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy