Advertisement
E-Paper

ননীবালার আচার-বাড়ি

গ্রামের কোনও বাড়িরই তেমন কোনও নাম থাকে না। লোকের বাড়ি চিনতে হয় মালিকের নামে বা তার ছেলের নামে।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

অঞ্জন সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫ ১০:২১
Share
Save

বাড়িটা ছিল সুধাকান্তর। তিনি গত হয়েছেন বহু দিন। এখন বাড়ির অলিখিত মালিক তাঁর স্ত্রী ননীবালা। কারণ বছর চারেক হল, এক মাত্র ছেলে মণিকান্তকেও করোনায় টেনে নিয়েছে। তার পর থেকে একমাত্র নাতিই ভরসা। তাকে নিয়েই ননীবালার টানাটানির সংসার। বাপটা চলে যেতেই নাতি অন্যদের জমিতে জোগানদারের কাজে লেগে পড়েছে। এত দিন সংসারটা যেমন বেতো ঘোড়ার মতো কোনও মতে ঠুকঠুকিয়ে চলছিল, এখন আর তেমনটা নেই। চলার গতি বেড়েছে। অবশ্য এই গতির পিছনে রয়েছে ননীবালার হাতযশ।

গ্রামের কোনও বাড়িরই তেমন কোনও নাম থাকে না। লোকের বাড়ি চিনতে হয় মালিকের নামে বা তার ছেলের নামে। যেমন এত দিন যে বাড়িটা ছিল সুধাকান্তর বাড়ি, তা হঠাৎই এক দিন হয়ে গেল মণিকান্তর বাড়ি। অবশ্য এর পরে তা তার ছেলে গোপীকান্তের নামে হওয়ার আগেই হয়ে গেল তার ঠাকুমার নামে। আজ লোকে সেই বাড়িকে চেনে ‘ননীবালার আচার-বাড়ি’ নামে! এ ভাবে বার বার বাড়ির নাম পাল্টালে বাড়িটারও তো খারাপ লাগার কথা! কিন্তু এ বার আর তেমনটা লাগল না। এ নামটায় বেশ একটা টক-মিষ্টি-ঝাল গন্ধ রয়েছে। এমন গন্ধ শুধু বাড়ির মধ্যেই নয়, একেবারে ভাসতে ভাসতে রাস্তায় চলে যায়। আর তাতেই পথচলতি হাজার পথিকের জিভে জল আসে। প্রবাদ আছে যে, অন্য মানুষের লোভে নাকি পেট ফোলে। কিন্তু এতে ননীবালার তেমন কিছু হয় না। বরং দিন দিন তাঁর কাঠের সিন্দুকটার পেটটা যে বেশ ফুলতে থাকে, তা ননীবালা বোঝেন।

এ কি আর আজকের অভ্যেস! সেই কবে থেকে ননীবালা তাঁর মা গিরিবালাকে বিভিন্ন মরসুমি ফলের অনেক আচার তৈরি করতে দেখতেন। তৈরি হয়ে গেলে গিরিবালা প্রথমে মেয়ে ননীকে দিয়েই পরখ করাতেন। তাঁর ধারণা ছিল, তাঁর মেয়ের স্বাদজ্ঞান নাকি দারুণ! শুধু তা-ই নয়, তিনি জনে জনে বলতেন, “আমার এই ছোট্ট মেয়ের এমন স্বাদজ্ঞান যে, সে বড় হলে ভাল রাঁধুনি হবে।” অবশ্য বিয়ের পরে এমন সুনাম ননীবালার কপালে জোটেনি। না কোনও দিন স্বামী সুধাকান্ত তাঁর রান্নার সুখ্যাতি করেছেন, না করেছে ছেলে মণিকান্ত। মায়ের সেই কথা মনে পড়লে আজও ননীবালার একটা চাপা দুঃখ গলার কাছে এসে আটকে থাকে।

তবে তা অনেকটাই পুষিয়ে গেছে আচার তৈরি শুরু করার পর থেকে। কেউ তাঁর এমন আচারের অন্তর্নিহিত খবর জানতে চাইলে ননীবালা মুচকি হেসে শুধু বলেন, “এ আমার রক্তের মধ্যেই আছে।” এর বেশি তিনি আর কোনও উচ্চবাচ্য করেন না!

বাড়িটি মাটির কোঠা বাড়ি। গ্রামের বাড়ি যেমন হয়! তবে বাড়িটির একটি ছাদ রয়েছে, কাঠের পাটাতন দেওয়া। তার উপরে রয়েছে খড়ের ছাউনি। সেই ছাদের সামনেটায় কিছুটা বাড়ানো রয়েছে। ইদানীং যেমন পাকা বাড়ির ছাদের সামনেটা কিছুটা বাড়িয়ে গৃহকর্তারা ফুলের টব রাখেন, তেমনই। কিন্তু ছাদের ওই বাড়তি কার্নিসে ননীবালা থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন বিভিন্ন ধরনের আচারের চিনেমাটির বয়াম। কোনটায় কী আচার রয়েছে তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না বটে, কিন্তু তাতে কী! অত সব বয়ামের ঢাকনা খুলে যখন ননীবালা তার আচারকে রোদ খাওয়ান, তখন তা থেকে বিভিন্ন মশলার সুগন্ধ আর চাপা থাকে না। তা বাতাসের পিঠে চেপে পথচারীদের নাসারন্ধ্র দিয়ে একেবারে সরাসরি চেতনায় আঘাত করে! ব্যস, হয়ে গেল! পথচারীরাও এক বার তাদের ঘাড় না ঘুরিয়ে পারে না। তাদের শুকনো জিভ সরস হয়ে ওঠে। এমন কোনও পথচারী নেই, যে এক বার ঢোক না গিলে যেতে পেরেছে। এমনই সেই আচারের মহিমা!

ননীবালা ভাবতে পারেননি যে, তাঁর এই সামান্য আচারের ব্যবসাটা আজ এতটা ফুলেফেঁপে উঠবে! তিনি প্রথমে শুরু করেছিলেন ‘তেঁতুল কাসুন্দি’ দিয়ে। সকলের কাছেই নামটি ছিল নতুন। সবারই ছিল আলাদা কৌতূহল। সবাই প্রথমে ভেবেছিল জিনিসটি হবে আম-সর্ষে কাসুন্দির মতো কিছু। কিন্তু বাজারে আসার পরে দেখা গেল, ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো! এটি দেখতে একটি ছোট গুলির মতো, দেখে মনে হবে যেন একটা সর্ষের বল। আহা! কী অপূর্বই না এর টক-মিষ্টি স্বাদ! যেন একটায় আশ মেটে না! পাড়ার মহিলারা চেয়েছিলেন, এই আচারের রেসিপিটি জেনে তারাও না-হয় বাড়ির জন্যই বানাবেন। এতে অন্তত ননীবালার ব্যবসার কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু ননীবালা এ ব্যাপারে একেবারে মুখে তালা লাগিয়ে রেখেছিলেন। যতই প্রিয় লোক হোক না কেন, তিনি কারও কাছে কোনও আচারের ব্যাপারে মুখ খুলতেন না। এমনকি পাড়ার লোকেরা ননীবালার একমাত্র আদরের নাতি গোপীকান্তকে অনেক লোভনীয় খাবার খাইয়ে যদিও বা রাজি করাল, কিন্তু সেও ঠাকুমার কাছ থেকে মূলমন্ত্রটি আনতে পারল না। কারণ ননীবালা ঠিক ধরে ফেলেছিলেন যে, কেউ না কেউ তার সরল নাতিটাকে ভুলিয়ে গোপন রেসিপিটি জানতে চাইছে। তাই তিনি নাতিকেও বলেননি বীজমন্ত্রটি!

বাড়ির বাগানে রয়েছে একটি সজনে গাছ। এ গাছটি কোনও ঋতু মানে না। সারা বছরই সে ফুল-ফলে তার পলকা ডালগুলোকে ভরিয়ে দেয়। কখনও তা এতটাই হয় যে, ডাল ভেঙেও পড়ে। যাদের বাড়িতে সজনে গাছ নেই, তাদের ডেকে এর আগে ননীবালা অনেক সজনে ডাঁটা দিয়েছেন। কিন্তু এক দিন জানলা দিয়ে ফলন্ত গাছটার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ ননীবালার মনে হল, এই ডাঁটাকে কাজে লাগানো যায় না! শরীরের পক্ষে যে হেতু এই গাছের পাতা-ফুল এবং ডাঁটা ভীষণ উপকারী, তা হলে এমন ভাবে একে কাজে লাগাতে হবে, যাতে লোকে শরীরের উপকারের জন্যই তা কেনে। যেমন, দীর্ঘদিন জ্বরের পরে মুখের বিস্বাদ কাটানোর জন্য। ননীবালা অনেক ভেবে শেষে একটা রেসিপি তৈরি করলেন। গোপীকান্তকে দিয়ে বেশ কিছু সজনে ডাঁটা পাড়ালেন। কিছু ডাঁটা চচ্চড়ির জন্য রেখে বাকিগুলোকে দু’ইঞ্চি করে কেটে গরম জলে প্রায় আধ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলেন। এতে সজনের বুনো গন্ধটাও চলে গেল, আবার অনেকটা নরমও হয়ে গেল। এর পর তা সামান্য চটকে নিয়ে ভাল করে কড়া রোদে শুকিয়ে নিলেন ননীবালা। তার পরে যখন ডাঁটাগুলো একেবারে শুকিয়ে গেল, তখন শুকনো খোলায় সামান্য জিরে, কালোজিরে, মৌরি, ধনে এবং সর্ষে ভেজে তা গুঁড়ো করে নিলেন। ব্যস, এ বার ননীবালা যে কড়াইয়ে আচার করবেন, তাতে সামান্য তেল দিয়ে ক’টা শুকনো লঙ্কা এবং ক’টা কারিপাতা সমেত ওই ডাঁটাগুলোর সঙ্গে, শুকনো খোলায় ভাজা মশলাগুঁড়ো পরিমাণ মতো ফোড়ন দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে নিলেন, যাতে সজনে ডাঁটার গায়ে মশলার গুঁড়ো লেপ্টে থাকে। এর পর বেশ কিছুটা গুড় দিতে তা ক্রমশই গলতে শুরু করে। ননীবালা খুব সাবধানে নাড়তে লাগলেন। যাতে ওই ডাঁটার গায়ে তা ভাল করে লেগে যায়, কিন্তু গুড় যেন কড়াইয়ের নীচে লেগে না থাকে। তা হলে তার গন্ধও আচারে লেগে যাবে। ননীবালা গুড়ের পরিমাণটা বেশি দেননি। কারণ এ তো আর কাঁচা আমের মিষ্টি আচার নয়। তা ছাড়াও সজনে ডাঁটাও খেতে টক নয়।

এই নতুন আচার খেয়ে প্রথমে গোপীনাথের চোখ কপালে উঠে গেল এবং পরে খদ্দেররা এতটাই মোহিত হয়ে গেল যে, ননীবালার সজনে গাছ কয়েক মাসের মধ্যেই একেবারে নেড়া হয়ে গেল!

ননীবালার হঠাৎ মনে পড়ে গেল যে, তার মা যেমন জলপাইয়ের দু’ধরনের আচার করতেন, তেমন প্রায়ই চালতার টকও করতেন। জলপাইয়ের আচারগুলো ছিল বেশ সুস্বাদু। একটি ছিল বীজ ফেলে দিয়ে চটকে তাতে মিষ্টি এবং মশলা দিয়ে। আর একটি ছিল জলপাইয়ের পুরোটা কেটে তা মশলা সমেত রোদে রেখে তেলে ডুবিয়ে। মা কখনও চালতার আচার করার কথা ভাবেননি, অথচ ননীবালা তা ভাবতে লাগলেন। যতই তিনি চালতা নিয়ে ভাবতে লাগলেন, ততই চালতার এক-একটি অংশ পাপড়ির মতো খুলতে শুরু করল। এবং একটা সময় তা আচারের রূপ নিয়ে নিল। ননীবালা তাড়াতাড়ি তাঁর খেরোর খাতায় তা লিখে রাখলেন। এই খাতাটি হচ্ছে ননীবালার সাত রাজার ধন। তাই খাতাটি সিন্দুকেই থাকে। এ বার এক-একটি চালতার খোলস ছাড়িয়ে তাকে ভাল করে ধুয়ে ঢেঁকিতে কিছুটা থেঁতো করে কড়া রোদে শুকিয়ে নিলেন। ব্যস! এর পর ননীবালার নিজস্ব ফরমুলার মশলা এবং গুড় দিয়ে তৈরি হয়ে গেল মিষ্টি আচার। এই আচারটিও একেবারে সজনের ডাঁটার আচারের মতোই রমরমিয়ে চলতে লাগল। কিন্তু পথচারীরা নিত্য দিনই নতুন সব আচারের গন্ধ পেলেও তার স্বাদ এবং রেসিপি কিছুতেই জানতে পারল না !

*****

ঊনআশি বছর বয়সে এক শীতের সকালে ননীবালা কাউকে কিছু না বলেই চলে গেলেন। বয়স এবং পরিশ্রমের ভার তিনি আর হয়তো বইতে পারছিলেন না। বাড়িতে ভিড় হল। যেমন সব বাড়িতেই হয়। এই শোকের মধ্যেও খুঁটিতে হেলান দিয়ে বসে থাকা গোপীর কানে কানে অনেকেই ফিসফিস করে বলে গেল, “এর পরে ব্যবসাটার ব্যাপারে আমার কথাটা এক বার ভাবিস গোপী।”

গোপীর সেই মুহূর্তে এ সব কথা শোনার মতো মনের অবস্থাও ছিল না। তাই সে অপলক চোখে আঙিনার কোণে নিমগাছটার দিকে তাকিয়ে থাকল। ওর দৃঢ় বিশ্বাস হল যে, তখনও ঠাকুমা ওই গাছটায় বসে লোকের রঙ্গতামাশা দেখছেন! আর আদরের গোপীকে হাত নেড়ে বারণ করছেন।

গোপীকান্ত ননীবালার শ্রাদ্ধ ধার-দেনা করেই শেষ করল। শুধু পাড়ার লোকেরাই নিমন্ত্রিত ছিল। ভাতের ঝামেলা রাখেনি। তার বদলে ছিল পরোটা এবং কয়েক রকমের আচার। এই আচার খাওয়ার জন্যই তো এত দিন প্রতিবেশীরা হা-পিত্যেশ করে বসেছিল। আজ সকলে হাসিমুখে তৃপ্তি করে খেয়ে ননীবালার প্রশংসা করতে করতে ঘরে ফিরল।

কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সব থেকে বেশি আতান্তরে পড়ে গেল স্বয়ং গোপীকান্ত। যদি সে হাত পুড়িয়ে ভাত রান্না করে, তা হলেই পেটে কিছু পড়ে, নতুবা নয়। কিন্তু এ ভাবে তো দীর্ঘদিন চলে না। রান্নার জন্য দেরি হলে গোপী কাজের জায়গায় মালিকের কাছে বকুনি খাচ্ছে। আবার তাড়াতাড়ি কাজে চলে গেলে পেটে কিছুই পড়ছে না!

এই অবস্থায় প্রস্তাবটা দিল নবীন কাঙাল। নিজের নাতনি শশিমুখীর জন্য। গোপীকান্ত যে একেবারেই শশিকে চিনত না, তা নয়। এক দিন শশির গায়ের কালো রং নিয়ে এক বন্ধুকে মশকরা করে বলেছিল, “হ্যাঁ রে পচা, চাঁদের রং কখন কালো হয় জানিস?”

পচা চুপ করে থাকায় গোপীকান্ত আবার বলেছিল, “একেবারে ঘোর অমাবস্যায়। তা হলে এ বার তুই বল, কারও গায়ের রং কালো হলে, তাকে কি আর চাঁদমুখী নাম মানায়!”

শশিমুখী তখন ক্লাস ফোরে পড়ে। গোপীর কথার ইঙ্গিত সে বুঝতে পারলেও প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু গোপীনাথের উপর একটা প্রচ্ছন্ন রাগ তুষের আগুনের মতো ছাই চাপা হয়ে ধিকধিক করে ওর বুকের মধ্যে জ্বলছিল। অবশ্য এত দিনে তা নিভেও গেছে। কাজেই দাদু যখন এই সম্বন্ধের কথা বাড়িতে বললেন, তখন আড়াল থেকে শশি সবটা শুনলেও রা কাড়েনি। ফলে বিয়েটা হতেও আর দেরি হয়নি। গোপীকান্ত শুধু জানতে চেয়েছিল, শশিমুখী রান্না জানে কি না। ওইটুকু হলেই চলবে।

*****

শশিমুখী শ্বশুরবাড়িতে এসেই দেখে, অনেক ফাঁকা বয়াম আর ঘরের এক কোণে একটা কাঠের সিন্দুক! সে জানতে চেয়েছে, “এতে কী আছে?”

গোপীকান্ত বলেছে, “জানি না!”

শশিমুখী আর উচ্চবাচ্য করেনি। সারা দিন একাই তার কাটে। স্বামীকে রান্নাবান্না করে খাইয়ে কাজে পাঠায়। তার পর থেকে দিন যেন আর কাটতেই চায় না। গোপী ফেরে সেই সন্ধেয়।

প্রায় মাসখানেক কেটে যাওয়ার পর এক রবিবার গোপী বাজারে গেছে। ননীবালার ঘরটা কেমন অগোছালো হয়ে পড়ে আছে মনে হওয়ায় তা গোছাতে হাত দিল শশিমুখী। বিছানায় দুটো বালিশ। খাট ঝেড়ে নতুন চাদর পেতে বালিশের ওয়াড় বদলাতে যেতেই হাতে শক্ত কিছু ঠেকে। তার পর ঝাড়তেই ঠং করে মাটিতে পড়ে।

শশিমুখী দেখে, একটা পেতলের পুরনো চাবি। বেশ ভারী ওজন।

তখনই বাজার সেরে বাড়ি ফিরে গোপী দেখে, শশিমুখীর হাতে একটা পেতলের চাবি। গোপী বলে ওঠে, “আরে! এটাই বোধহয় ওই...”

তার কথার মাঝেই শশিমুখী বলে, “আমারও তা-ই মনে হয়, চলো দেখি ওতে কী আছে...”

গোপীকান্ত সিন্দুক খুলে হতবাক! সিন্দুকে পড়ে আছে প্রচুর অর্থ এবং একটা মলিন খাতা। গোপীকান্ত সবিস্ময়ে সেই অর্থ গুনতে বসে... অগোছালো দশ, কুড়ি, পঞ্চাশ, একশো টাকার অগুনতি নোট। সঙ্গে খুচরো কয়েনের পাহাড়।

শশিমুখীর হাতে তখন ননীবালার গোপন রেসিপির খাতা। খাতাটা কপালে ঠেকিয়ে সে বলে, “ননীবালাকে আমি কখনও মরতে দেব না!”

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Short story

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}