ওই দ্যাকো! ওই দ্যাকো!— আজ আবার একটা মাছ নিয়ে চলে গেল! এই যাঃ যাঃ... হাড়জ্বালানি... হতচ্ছাড়ি! আমায় জ্বালিয়ে খেলে গো!”
দুর্বল শরীরে, রোগা হাতেই উনুনের একটা কাঠ তুলে ছুড়ে মারে বিন্তি। লক্ষ্যের গায়ে লাগে না কাঠটা। শুধু খানিকটা দূরে গিয়ে পড়ে একগাদা আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে জ্বলতে থাকে।
জ্বলন্ত চোখে ওর পালানোর পথের দিকে চেয়ে হাঁপাতে থাকে বিন্তি। এইটুকুতেই বড্ড পরিশ্রম হয়ে যায় আজকাল! পারল না কাঠটা গায়ে লাগাতে। লাগলে বেশ হত। পুড়ে মরলে বাঁচে ও। অত বড় মাছটা! উফফ! আফসোসে মনের ভেতরটা হায় হায় করে উঠল ওর।
একটু দূরেই ক’দিন আগে কেটে আনা কাঠগুলো কেটে টুকরো টুকরো করে এক জায়গায় গুছিয়ে রাখছিল জগাই। দিন দুয়েক আগে কৈলাসখুড়ো বাগানের গাছ কাটাচ্ছিল। কী ভাগ্যি সেই সময়ই গিয়ে পড়েছিল ও! মোটা মোটা ডালগুলো দেখে চেয়ে এনেছে ও। কেটেকুটে ভাল করে মুড়ে তুলে রাখবে। বর্ষার সময় কাজে লাগবে।
বৌয়ের চিৎকার শুনে ছুটে আসে, “কী হল রে আবার? খামোখা চেল্লাচ্ছিস কেন?”
“কী হল? ওই দ্যাকো। নিজের চোকে দ্যাকো! আজ আবার একখানা মাছ তুলে নিয়ে চলে গেল। ওই অত দামের মাছ! খামোখা চেল্লাচ্ছি আমি! আমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? হাজার বার ধরে বলছি তোমায়— তাড়াও ওই লক্ষ্মীছাড়িকে। তা শুনবে আমার কতা! পিরিতের বান ডেকেচে যে তোমার! চোখেও দেখতে পাও না, আর কানেও নাও না কিচু! ওই অত বড় মাছটা... ” বলতে বলতে ক্ষোভে দুঃখে প্রায় কেঁদেই ফেলে বিন্তি।
ওর আঙুল অনুসরণ করে চোখ ফেরায় জগাই। লক্ষ্মীছাড়ি তত ক্ষণে নিরাপদ দূরত্বে সরে গিয়ে থাবার মধ্যে মাছ লুকিয়ে নিরীহ আধবোজা চোখে চেয়ে আছে এ দিকেই। যেন কিছুই হয়নি। সেই নীল চকচকে মায়াবী চাউনি! ভালমানুষের মতো মুখ। দেখে খুব একচোট হাসি পেলেও চেপে যায় জগাই। এখন হাসলে বিন্তি আরও খেপে যাবে। আর সত্যিই তো! অত বড় একটা মাছের দাম কি কম! রোগা বৌটা দু’বেলা খেতে পারত! এমনিতেই এখন কাজকম্ম নেই বললেই চলে। পয়সাকড়ির টান। রোজকার বাজার-দোকান ঠিকমতো করে উঠতে পারে না জগাই। টেনেটুনে চালাতে হচ্ছে। তার মধ্যে জিনিসপত্রের দামও তো আকাশছোঁয়া একেবারে।
এ দিকে সদ্য মা হয়েছে বিন্তি। পেটে রাক্ষুসে খিদে! দুধ টানছে বাচ্চাটা। এই সময় কোথায় একটু দুধটা, ঘিটা ভালমন্দ খাবে, সে সব চুলোয় গেল, পেট ভরে মাছ-ভাতই জোটাতে পারছে না জগাই! শালা! ঠিক এখনই কাজে মন্দা। হাত ফাঁকা হয়ে আসছে, তবু আজ বাজারে গিয়ে বড় বড় পারশে মাছ দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারল না ও। বিন্তি বড় ভালবাসে। ধনেপাতা, সরষে দিয়ে পারশে মাছের ঝাল। আঃ! ওই দিয়ে একথালা ভাত ঠেলতে পারে ও নিজেও। খরচ একটু বেশি হল। তবু নিল। যাকগে! এক দিন একটু ভাল করে খাক বৌটা। পরের কথা না-হয় পরে ভাবা যাবে।
অভাব তো নিত্যই। তবে কাজ একটা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাজার থেকে ফেরার সময় নগেন ময়রার সঙ্গে দেখা হল রাস্তায়। বলল তো বাড়িতে যেতে। কী নাকি কাজ আছে। যাতায়াতের পথে দেখেছে জগাই, নগেনদার দোকানের পাঁচিলটা একেবারে ঝরঝরে হয়ে গেছে। মেরামতের দরকার। না হলে পুরোটাই ধসে যাবে। হয়তো সে জন্যই। কাজটা পেলে ভাল হয়। হাতে দুটো পয়সা আসে। একটু পয়সা পেলে...
হঠাৎ বিন্তির চিল-চিৎকারে চটকা ভাঙে ওর। কোলের কাছে বাকি মাছ তিনটে টেনে নিয়ে গলার শির ফুলিয়ে সমানে চেঁচাচ্ছে ও, “বলি কানে কথা যাচ্চে? আজ যদি ওকে তুমি না তাড়িয়েচ, আমি অনত্থ করব, এই বলে রাকলুম। নিত্যিদিন এই জ্বালায় আর জ্বলতে পারব না। একে ছোট বাচ্চার ঘর। তার মধ্যে বিড়াল ঘুরঘুর করবে, দুধ, মাছ সবেতে মুখ দেবে, একানে ওকানে লোম ছড়াবে, নোংরা করবে— উফফ! ম্যা গো! ছি! ছি! কী ঘেন্না কী ঘেন্না!”
ঘৃণায় মুখ বিকৃত করে বিন্তি।
চুপ করে থাকে জগাই। প্রথম দিকে— মানে বিয়ের পর পর অনিচ্ছেয় হলেও জগাইয়ের এই বিড়াল-প্রীতি তবু এক রকম মেনে নিয়েছে বিন্তি। ইদানীং বাচ্চাটা আসার পর থেকেই লক্ষ্মীছাড়ির উপর কেন যে এত খাপ্পা ও! জগাইয়ের হয়েছে জ্বালা। ফেলতেও পারে না, রাখলেও বিপদ! মায়া পড়ে গিয়েই হয়েছে বিপদ! মায়া থেকেই যত জ্বালা।
এইটুকু একটা সাদা ধপধপে স্পঞ্জের বলের মতো দেখতে ছিল ওকে, যে দিন রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনেছিল। তার পর থেকে আজ— কয়েক বছর কেটে গেছে। তাড়ায় কী করে? বড্ড মায়া এসে নিরুপায় করে ফেলে যে! আর ওর যত মায়া, বিন্তির তত রাগ। তার মায়ার চেয়ে বেশি রাগ, বললেও ভুল হবে না।
তবে আজ কিন্তু লক্ষ্মীছাড়ি খুবই অন্যায় করেছে। এত সাধের পারশে মাছ, চোখের সামনে দিয়ে তুলে নিয়ে গেল! ক’দিন আগেই একপো দুধে মুখ দিয়ে পুরোটা নষ্ট করে দিল। অভাবের সংসারে একটা মাছ, একপো দুধ কি কম কথা? সত্যিই বিন্তির রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
না, একটু শাসন করা দরকার লক্ষ্মীছাড়িকে। কিন্তু করবে কী করে! ওর চোখের দিকে তাকালেই যে সব ভুলে যায় জগাই। এত শয়তান! চোখ পিটপিট করে এমন চাইবে যে না হেসে পারে না ও। এটাও জানে বিন্তি। তাই ওর রাগ বোধহয় এত বেশি!
তবু বৌকে খুশি করতে আজ কয়েক পা তেড়ে যায় জগাই। চোখেমুখে কঠিন রাগের ভান। গলার শির ফুলিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে, “তবে রে!”
তবে তাতে কিছুই এসে যায় না। এক পা-ও নড়ে না লক্ষ্মীছাড়ি। নিশ্চিন্ত মনে বসে মাছটা শেষ করে জিভ দিয়ে চেটে চেটে সারা শরীরটা পরিষ্কার করতে থাকে। তার পর জগাইয়ের রাগের প্রত্যুত্তরে একটা আদুরে ‘মিয়াওঁ’ শব্দ করে হেলতে-দুলতে অদৃশ্য হয়ে যায়। বুঝিয়ে দিয়ে যায়, জগাইয়ের রাগের অভিনয় বুঝতে বাকি নেই ওর। তবে এখন এখানে বসে থাকাটা নিরাপদ নয়।
জ্বলন্ত চুল্লির একটা কাঠ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে মানে যে সবগুলোই হবে, তার কোনও মানে নেই। অতএবমানে মানে এখন এখান থেকে কেটে পড়াই ভাল।
ওর চলার পথের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখে জগাই। বেশ ভারী লাগছে না ওকে! মোটা হয়ে গেল, নাকি বাচ্চা হবে! এই মরেছে! আবার লক্ষ্মীছাড়িও? বেছে বেছে ঠিক এই সময়ই! সেই জন্যই এত খাই-খাই! ওদের তো আবার তিন-চারটে এক সঙ্গে! সর্বনাশ!
ভয়ে ভয়ে বিন্তির মুখের দিকে চায় ও। গম্ভীর মুখে বাকি মাছ ক’টা ভাজছে। জানতে পারলে কুরুক্ষেত্র হয়ে যাবে!
নাহ্। এ বার লক্ষ্মীছাড়ির বাস উঠল বলে। চিন্তিত মুখে চানে যায় জগাই। আর দেরি করলে বিন্তির মুখ ছুটবে। সামনে বিরাট অশান্তি অপেক্ষা করে আছে। এ বাড়িতে লক্ষ্মীছাড়ি আর বেশি দিন নেই। মনটা একটু খারাপ হয় জগাইয়ের। মায়া বড় সর্বনেশে জিনিস। যত নষ্টের মূল।
আজ আর খাওয়ার সময় ধারেকাছে দেখা গেল না ওটাকে। অন্য দিন থাবা গুঁজে জগাইয়ের পাতের সামনে ভালমানুষটির মতো চোখ বুজে বসে থাকে। মুখ দেয় না কিছুতে। কিন্তু ওর ওই বসে থাকাও বিন্তির দু’চোখের বিষ। বৌয়ের চোখ তাও এড়িয়ে এ দিক-ও দিক তাকায় জগাই। গেল কোথায়? এই সময়টা তো আসেই রোজ।
আজ বিন্তির ভয়ে এল না নাকি? খাওয়ার শেষে কাঁটা-মাখা এক মুঠো ভাত উঠোনের কোণে নামিয়ে দিতে দিতে আবারও ইতিউতি চায় জগাই। নেই তো! জবার ঝোপে শুয়ে থাকে অনেক সময়। পায়ে পায়ে সেখানটায়ও দেখে এল এক বার। নাহ্! কে জানে কোথায় উধাও হল ভরদুপুরে? ভাতটুকুও তো পড়ে রইল। খেলও না কিছু। কেন কে জানে! মনের ভিতরটা কেমন যেন খচখচ করছে। মায়া! মায়াই যত নষ্টের মূল। দীর্ঘশ্বাস ফেলে জগাই।
মুখ ধুয়ে দাওয়ায় উঠতে উঠতেই নগেন ময়রার কথাটা মনে এল। যেতে বলেছিল। যাবে নাকি এখন? দোনোমোনো করেও বাতিল করল। না থাক। এই ভরদুপুর বেলা। ময়রার পো খেয়েদেয়ে একটু শুয়েছে হয়তো। এখন গেলে বিরক্ত হবে। তার চেয়ে রোদটা পড়ুক, বিকেলের দিকে একবার যাবে’খন।
ট্যাঁক থেকে একটা বিড়ি বার করে ধরাতে ধরাতে অলস চোখে বিন্তির দিকে চায় জগাই। খাওয়াদাওয়া শেষ করে হেঁশেল গুছিয়ে বাসন নিয়ে চৌধুরীদের পুকুরে গেল। বেশ রোগা হয়ে গেছে বৌটা। বাচ্চা হয়ে ক’টা দিনই বা শুয়েবসে থাকতে পেল! সাত কুলে তো কেউ নেই যে দুটো দিন বৌটার একটু যত্নআত্তি করবে। না ওর দিকে, না বিন্তির। কোনও মতে আঁতুড়টা কাটতেই হেঁশেল ঠেলতে ঢুকতে হল। কাচাকুচিটা অবশ্যি জগাই নিজেই করে দেয়। যতটুকু সুসার হয়। রোগা শরীরে ঠান্ডা লাগলে বাচ্চাটা অসুখে পড়বে।
বাসনটা কিছুতেই ওকে মাজতে দেয় না বিন্তি। বলে, “পুরুষমানুষ আবার পুকুরে গিয়ে বাসন মাজবে কী? ও মানায় না। আর এ সব তুমি পারবেও না। তেল-কালি সব থেকে যাবে। মাঝখান থেকে আমার কাজ বাড়বে। আবার সব নিয়ে নতুন করে বসতে হবে।”
মনে মনে হাসে জগাই। পুকুরে যাওয়ার দরকার কী? পুকুর থেকে দু’বালতি জল তুলে এনে উঠোনে বসে ধুয়ে ফেললেই তো ঝামেলা মিটে যায়। আসলে বিন্তি দেবে না করতে। পিটপিটে স্বভাব হলে যা হয়। নিজের হাতে না করলে মন ভরে না।
বিন্তির কথা ভাবতে ভাবতে মায়ায় ভরে ওঠে ওর মন। একটু মেজাজি মেয়েছেলে বটে কিন্তু, বৌ ওর ভারী লক্ষ্মীমন্ত। এই এক ঘর এক দাওয়া। অথচ যেন ছবির মতো তকতকে। উঠোনে একটা কুটো পড়ে থাকতে দেয় না বিন্তি।
একরত্তি জায়গা। তার মধ্যেই কেমন গুছিয়ে পুঁইচারা, লাউ-কুমড়োর মাচা, কোণের দিকে লঙ্কা গাছ, আবার একটা সজনেখাড়ার গাছও লাগিয়েছে। শীতের সময় সকালবেলায় সজনেফুলে ছেয়ে থাকে তলাটা।
ওদের পাড়ার অনেকেই আসে ফুল কুড়িয়ে নিয়ে যেতে। আর বিন্তির হাতের সজনেফুল-চচ্চড়ির তো কথাই নেই! যে এক বার খেয়েছে, সে কোনও দিন ভুলতে পারবে না, এমন তার সোয়াদ।
“বসে আচো কেন? একটু গড়িয়ে নাওগে যাও।”
পুকুর থেকে বাসন ক’খানা ধুয়ে কাপড় কেচে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলল বিন্তি। এ বার ছেলেকে দুধ দিতে দিতে নিজেও একটু ঘুমোবে ও। জগাই নিজেও একটু শোবে বলেই ভাবছিল।
খাওয়াটা আজ একটু চাপ হয়ে গেছে। কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে শুকনো শুকনো গা-মাখা আলু-বেগুনের তরকারি রেঁধেছিল বিন্তি। সঙ্গে পারশে মাছের সরষে-ঝাল! বেড়ে রাঁধে বৌটা। রাতে একটা মাছ কম পড়ে গেল বটে, সে যাকগে। ওটা লক্ষ্মীছাড়ির পেটেই তো গেছে। যেটা রইল, ওখানা বিন্তিই খাবে’খন। ওর তরকারি দিয়েই হয়ে যাবে।
বিড়িটায় শেষ টান দিয়ে ঘরে ঢুকল জগাই। ছেলে হওয়ার পর থেকে ক’দিন আলাদা শুচ্ছে বিন্তি। একটা পুরনো চওড়া বেঞ্চিতে নিজের আলাদা বিছানা করে নিয়েছে জগাই। তক্তপোশ একটাই ওদের। বিন্তি বলেছে, পরে বেঞ্চিটা জোড়া লাগিয়ে নিলেই চলবে।
কিন্তু নিজের বিছানার সামনে গিয়েই থ হয়ে যায় জগাই। ওর জায়গাতেই লম্বা হয়ে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে লক্ষ্মীছাড়ি!
দেখো কাণ্ড! এখানে কখন ঢুকল! ও কখন থেকে চার দিক খুঁজে মরছে! লক্ষ্মীছাড়িটা সত্যিই লক্ষ্মীছাড়ি! নিজের গা-টা পরিষ্কারও করেনি। সারা গায়ে রাজ্যের নোংরা! ইস! কোন ভাগাড়ে গিয়েছিল কে জানে! ছি ছি! ওই নিয়ে একেবারে বিছানায় এসে উঠেছে! বিন্তি দেখলে আর রক্ষে রাখবে? অজানা আশঙ্কায় তেরিয়া হয়ে তাড়া দেয় জগাই, “এই যা, যা!”
“থাক। থাক। ছেড়ে দাও। ওকে কিচু বোলো না। তুমি এদিকে আমার পাশে এসে শোও!” বাধা দেয় বিন্তি।
অবাক চোখে চায় জগাই। বিন্তির গলার স্বর হঠাৎই অচেনা লাগে ওর। হল কী! বিন্তি তার মানে জানে যে, লক্ষ্মীছাড়ি নোংরা গায়ে এখানে এসে শুয়ে আছে! তাও কিছু বলেনি! তাড়া দেয়নি! আশ্চর্য তো!
“আরে হাঁ করে দেকছ কী! হতচ্ছাড়িটা বিইয়েছে তো! চোকে দেকতে পাচ্ছ না? ভাল করে দ্যাকো!”
ঝুঁকে পড়ে উঁকি মেরে চোখ রাখে জগাই। দেখে অবাক হয় ও।
চারটে ধপধপে স্পঞ্জের গোলা মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছে লক্ষ্মীছাড়ির কোলের কাছে। আর কেমন ভীরু আর অসহায় চোখ মেলে ওরই দিকে চেয়ে আছে লক্ষ্মীছাড়ি।
ছেলের মুখে স্তন গুঁজে দিতে দিতে সে দিকে চেয়ে এক অন্য রকম গাঢ় স্বরে আবার বলে বিন্তি, “জ্বালিয়ে খেলে আমায়! আপদ! মরণও হয় না! শত্তুর! শত্তুর! লক্ষ্মীছাড়ি!”
দুপুরে ভাতঘুমের শোয়ার জায়গাটা বেদখল হয়ে গেলেও রাগ করে না জগাই। পুরো ঘটনাটা ভাবতে ভাবতে মনে মনে ফিক করে হেসে ফেলে সে।
সত্যি, মায়াই যত নষ্টের মূল!
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)