ভা ই, আর্জেন্ট, ‘অন্তরিত তামার তার’-এর ইংরেজি কী হবে? কুইক...
ফোনের ও পাশে বসুর চাপা গলা। অম্লান বসু— ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ, টিটি বোর্ডে অপ্রতিরোধ্য, গমগমে গলায় ‘উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে...’ শুরু করলে ক্যান্টিনে বাকি সব চুপ— সেই বসুর সন্ধেবেলায় চাপা গলায় আর্জেন্ট ফোন মানেই ওর ভোকাবুলারিতে টান। তমলুকের ছেলে, সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট, কিন্তু ওর ছাত্রকে পড়াতে বসলেই দরদরিয়ে ঘামে। পদার্থবিদ্যা আর ফিজিক্স যে দুটো দুই গোলার্ধের বিষয়, দুটো ভিন্ন প্রজাতির মানুষের বিষয়— সারা জীবন বাংলা মাধ্যমের ছাত্র বসু তা বিলক্ষণ বোঝে, কিন্তু টিউশনিটা ছাড়তে পারে না। লা মার্টিনিয়ারে ক্লাস টেনের ছাত্র— তার সায়েন্স গ্রুপটার ভার বসুর ওপর। সপ্তাহে দুদিন করে ছোটে সেই বালিগঞ্জ। জয়েন্টে র্যাংকার, ঝকঝকে চোখমুখ— টিউশনি বাগাতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। মাসে ঠেকায় চার হাজার। বাড়ি থেকে একটা টাকাও নেয় না বসু।
যাই হোক, ইংরেজ শাসনকালেও বাঙালিরা বাংলা ভাষা যাপন করেই বহাল তবিয়তে বেঁচে ছিল, এ যুগেও না থাকার কোনও কারণ নেই। ফলে ভোকাবুলারিতে টান পড়লেই বসু টুক করে বাথরুম— আমাদের কাউকে একটা ফোন— তার পর আবার ইংরেজ ছাত্রের কাছে, এ ভাবেই প্রায় আড়াই বছর ওই টিউশনিটা করে গেছিল। তার পর অন্য আর এক ইংরেজ ছাত্রকে পড়ানো শুরু করে। তত দিনে অবশ্য ও বিশেষ বিশেষ টার্মগুলো শিখে নিয়েছিল, আর ফোন আসত না। বসুর বাবা মজুর খাটে, মা ঠোঙা বিক্রি। ও যখন কলেজে ঢুকল তখন এক বোন ক্লাস এইট, আর দিদিটা পালিয়ে বিয়ে করেছে সদ্য। ফলে ওর কলেজে পড়াটা একেবারেই আমাদের পড়ার সমতুল্য ছিল না। আমরা অবশ্য এ সব জেনেছিলাম অনেক পরে... ফাইনাল ইয়ার পাশ করে গিয়ে এক ভেজা আড্ডায় গোটা গল্পটা শুনিয়েছিল ও, আর বলেছিল ‘নিজের টাকায় গোটা কলেজ লাইফ কাটানো যে কী আনন্দের, কী গর্বের, তা তোরা বুঝবি না রে।’ ওর কনফিডেন্সে, ওর উচ্চারণে, ওর চোখেমুখে সত্যিই বুঝিনি কি? বন্ধুরা দেরিতে হলেও সবই বোঝে শেষমেশ।
কলকাতা শহরটায় এ রকম কলেজ পড়ুয়া প্রাইভেট টিউটর বিকেল-ধোঁয়ার মতো ছড়িয়ে থাকে। ক্লাস শেষ হতেই তারা বেরিয়ে পড়ে, সপ্তাহে দু’দিন কি তিন দিন, কমবেশি ঘণ্টা দুয়েক পড়ানো। ক্লাস আর বোর্ড অনুযায়ী টাকা। তবে ভিক্টোরিয়া, নন্দন আর চিকেন রোলের টাকা মোটামুটি উঠেই আসে ভাল ভাবে। বসুর মতো কেউ কেউ তো শুধু হাতখরচা না, কলেজের গোটা খরচাটাই পড়ানোর টাকায় টেনে দেয়।
শুভদীপ যথেষ্ট অবস্থাপন্ন বাড়ির ছেলে, কিন্তু টিউশনি পড়াত। অবশ্য পড়ানো শুরু করেছিল সেকেন্ড সিমেস্টার থেকে। কলেজে উঠেই অন্তরার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম, বাড়িতেও জানিয়ে দিল কয়েক দিনের মধ্যেই। এ বার মুশকিলটা হল, আজও অনেক ব্যানার্জির ছেলে বাগ-এর মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতে পারে, কিন্তু বাড়িতে জানাতে পারে না। বাড়িতে তুমুল ঝগড়া বাবার সঙ্গে, কিন্তু শুভর বাবা একেবারে পইতে পরা সূর্যমন্ত্র আওড়ানো গোঁড়াস্য গোঁড়া। ফলে ঝগড়া শেষ হল এই যুক্তিতে যে, শুভ এখনও যেহেতু মাসের শেষে বাবার কাছেই হাত পাতে, তাই সে বাবার আদেশানুযায়ী টুঁ শব্দটি না করে যেন প্রেমটা কাটিয়ে দেয়। ব্যস, ও আর একটাও কথা না বলে হোস্টেলে চলে এল, আর শুরু করল টিউশনি পড়ানো। কলেজ, আর দু’খানা টিউশনি পড়িয়ে বাকি যেটুকু সময় পেত, সেটা প্রেম করেই কাটিয়ে দিত। টাকা ধার নিয়ে সিমেস্টার-ফি দিলেও, ঠিক শোধ করে দিত এক মাসের মধ্যে। সাড়ে আট মাস বাড়ি যায়নি শুভ, কাকু-কাকিমা হোস্টেলে এসে চার বারের বার বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল ওকে। কিন্তু শুভ আর কোনও দিন বাড়ি থেকে একটা টাকাও নেয়নি। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার, স্বাধীন হওয়ার যে কী আনন্দ, তা ওকে দেখে বুঝেছিলাম। মজার ব্যাপার, গত সেপ্টেম্বরে ওদের প্রেমটা কেটে গেছে। সে দিন মেট্রোতে দেখা— নিজেই দিল খবরটা। কেন যে জীবনের কোনও স্ট্যান্ডার্ড টেক্সটবুক থাকে না!
অনেকে আবার হাতখরচা চালানোর জন্য টিউশনি শুরু করলেও পড়ানো ব্যাপারটা শেষে তাদের নেশার মত পেয়ে বসে। ‘দেখো, পৃথিবীতে সমস্ত কিছু খারাপ ঘটার পরেও সোডিয়াম পরমাণু একটা ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্যাটায়নই হবে, সালোকসংশ্লেষ-এর বিক্রিয়ায় ছ’টা কার্বন ডাই-অক্সাইড অণুই লাগবে, আই-এর পরে অ্যামই বসবে। এগুলো অন্য এক জনকে শেখানোয় একটা অন্য রকম নেশা আছে’— সৌমী এক বার বলেছিল আড্ডায়। নিজে কেমিস্ট্রি অনার্স, পড়ার চাপে ছেড়ে দেওয়া গান এখন কলেজে উঠে আবার শুরু করেছে। ক্লাস নাইনের একটা ছেলেকে পড়ায় বিজয়গড় থেকে সেই সোদপুরে গিয়ে। পড়াতে বসে সময়ের খেয়াল থাকে না; এক কথা থেকে আর এক কথা, এক বিষয় থেকে আর এক বিষয়ে চলে যায়। ছাত্রটিও বাধ্য। ফলে গত বছর বেশ রেজাল্ট করেছে। সেই আলো লেগে থাকে সৌমীর চোখেমুখে। মাধ্যমিকে ওর ছাত্র যে একটা বড় কিছু করে ফেলবেই, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ও। সামনেই নিজের পরীক্ষা, তাই এক মাস ছুটি নিয়েছে আপাতত। ছাত্রের সিলেবাস অবশ্য শেষ। শুধু তাই না, রোজ নিয়ম করেই দিদিমণি ফোনে পড়া ধরে ছাত্রের।
সিনিয়রদের কাছে একটু খোঁজ করলেই হদিশ মিলে যায়। শুরুতে অনেকেই অচেনা জায়গায় গিয়ে পড়ানোর কনফিডেন্স না পেলেও, আস্তে আস্তে ছন্দ চলে আসে। ‘আর ছাত্র বা ছাত্রী যত নিচু ক্লাসের হয় তত মঙ্গল, জানিস তো? স্যর-স্যর ব্যাপারটা থাকে। যত ওপরের ক্লাস, তত ইয়ার-দোস্ত হয়ে যাওয়ার চান্স বাড়ে। ব্যাপারটা সব সময় খারাপ না হলেও কিছু ক্ষেত্রে কেস খেয়ে যাওয়ার চান্সও বেড়ে যায়’— বলছিল নীলাদ্রি। ওর বাড়ি বেহালায়, কলেজে ঢোকার আগে থেকেই পড়ায়। ফলে অভিজ্ঞতার ঝুলিও একটু ভারী। এক বার ইলেভেনের এক ছাত্রের সঙ্গে এমন দোস্তি হয়েছিল, তাকে নিজের মাইনের টাকা ধার দিতে হয়েছিল। সেই টাকায় ছাত্রটি তার সদ্য হওয়া প্রেমিকাকে ‘লাভ আজ কাল’ দেখিয়ে আর আরসালানে বিরিয়ানি খাইয়ে এনে, নীলাদ্রির হাত ধরে ছলোছলো চোখে একখানা ‘থ্যাংকু নীলুদা’ বলেই কাজ মিটিয়েছিল। বলা বাহুল্য, ধারটা আর মেটায়নি সেই ছাত্র।
অনেক সময় আবার ছাত্রযোগ একেবারেই ভাল থাকে না। অরিত্রর যেমন। ফোটোগ্রাফি ক্লাবে আলাপ। আশুতোষে বাংলা পড়ছে। একটু মোটাসোটা, সারা ক্ষণ হাসি লেগে আছে মুখে। ওর ছাত্রটি ক্লাস ফোর, সিবিএসসি বোর্ড। ‘প্রথম দিন গিয়ে দেখি ফুল ভলিউমে ছোটা ভীম চালিয়ে একটা ছেলে ধেই ধেই করে টিভির সামনে নাচছে আর ডায়ালগগুলো ইকো করছে। কিছু ক্ষণ বাদে ওর বাবা এসে বলে, বেটা মাস্টারজি আয়ে হ্যায়, পঢ়াই করনা হ্যায়। ছেলে ব্যাজার মুখে বসল পড়তে। তো এ কথা সে কথার পরে শূন্যস্থান পূরণ এল, ‘সান রাইজেস ইন দি__’। অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম, ক্লাস ফোরে পড়ে ছেলে, কিন্তু ‘সান’ মানে জানে না। প্রথম দিন, মাথা ঠান্ডা রেখে খেলে বেরিয়ে আসতে হবে ভেবে তাকে নানা ভাবে ‘সান’ বোঝানোর চেষ্টা করলাম। সে ব্যাটা কিছুতেই বোঝে না। প্রথমে ভেবেছিলাম বদমায়েশি, তার পর দেখি, উঁহু, সত্যিই জানে না। শেষে যখন হাল ছেড়ে দিয়েছি তখন বাচ্চাটা চোখ পাকিয়ে হেসে বলে, আভি সমঝ মে আয়া স্যর, সান কা মতলব হ্যায় আগ কা গোলা।’ অরিত্র হো হো করে হাসতে হাসতে বলে, ‘তার পর আর ওমুখো হওয়ার প্রশ্নই ছিল না, কিন্তু আমি অনেক দিন সূর্যের বদলে আগ কা গোলা ফ্রেজটা ব্যবহার করেছি।’
কখনও আবার অভিভাবক ফ্যাক্টরটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কী পড়াতে হবে, কী ভাবে পড়াতে হবে, সে সবের লিস্টি করে দেওয়া তো আছেই, তবে সব থেকে অস্বস্তির ব্যাপার হল আড়ি পেতে পড়ানো শোনা। আর শেষে রেজাল্ট ভাল হলে ছাত্রকে মাথায় তুলে নাচো কিন্তু খারাপ হলে টিউটরকে গিলোটিনে চাপাও— অভিভাবকযোগ খারাপ থাকলে বড্ড মুশকিলে পড়তে হয় প্রাইভেট টিউটরদের। তবে পড়ানোর পরেও বেতন দেয়নি, বা ইস্যু তৈরি করে ঝামেলা করেছে— এ রকম অভিযোগ বড় একটা শোনা যায় না আজকাল।
বিজনদা’র বাবা হঠাৎ অ্যাক্সিডেন্টে চলে যাওয়ার পরে, জীবনের ফরসা শরীরে কালো কালো ছোপগুলো বেঢপ হয়ে উঠল হঠাৎই। নিজের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে হবে, টানতে হবে মা-ভাইকেও। টাকা চাই, টাকা। চুরি-ছিনতাই করার সাহস নেই, অগত্যা পড়ানো শুরু করল। তবে বিজনদার কোনও কলকাতা শহর ছিল না যেখানে সপ্তাহে দু’দিন দু’ঘণ্টা করে পড়ালেই হাজার চারেক উঠে আসে। বর্ধমান রাজ কলেজে পড়ত, বাড়ি মগরা। সারা সপ্তাহ গোটা সাতেক টিউশনি পড়িয়ে মেরেকেটে দশ হাজার। তিন বার এসএসসি দিয়েও শেষ শিকেটা ছেঁড়েনি বিজনদার... টাকা চাই, টাকা। এখন ডিপ্রেশনের রোগী, তিনখানা ওষুধ চলে টানা। কবিতা লিখত এক সময়, যদিও অনেক দিন হল সব ক’টা কবিতার খাতা কেজি-দরে বিক্রি করে দিয়েছে বিজনদা। সে দিন লিটল ম্যাগাজিন মেলায় দেখা হতে কাঁধে হাত রেখে বলেছিল, ‘কলকাতায় প্রাণ না থাকুক, কিন্তু টাকা আছে রে। একটা মেস-টেস দেখে দে না, এখানেই টিউশনি করে বেঁচে থাকি।’
আর পড়াতে গিয়ে শুভদৃষ্টি বিনিময়? গল্পে, সিনেমায় যেমন হয়? সে ঘটনাও আছে। প্রীতমদা এক ব্যাচ সিনিয়র, রুমমেট ছিল হোস্টেলে। রায়গঞ্জে বাড়ি, মজার লোক, অসাধারণ পান করত। প্রীতমদার একটা সিগনেচার ডায়ালগ ছিল— কথায় কথায় বেঁকে বসবি না, স্কোলিয়োসিস হয়ে যাবে। যাই হোক, সে পড়াশুনো যত না করত, দুনিয়ার সিনেমা দেখত তার ডবল, আর প্রেম করত তার তিন গুণ। আমাদের ইয়ারেরই দেবোপমার সঙ্গে। দুজনেরই বাড়িতে জানত। কোনও ভিলেন ছিল না দুজনের জীবনে।
সিঁথির মোড় থেকে ডান হাতে মিনিট দশেক ঢুকে একটা গলির শেষ মাথায় পড়াতে যেত প্রীতমদা। ক্লাস ইলেভেন, বায়োলজি। একেবারে ঘড়ি ধরে পৌনে চারটেয় হোস্টেল থেকে বেরত, পাঁচটায় নিজের চেয়ারে, সাতটা পর্যন্ত টানা পড়ানো, সওয়া আটটায় একটা ফ্লেক মুখে ঢুকত হোস্টেল। যেটা পড়াবে আগে থেকে চোখ বুলিয়ে যেত। মাঝে মাঝে জ্ঞান দিত, ‘আমাদের জীবনটা এত রাফ কেন জানিস? আমরা রাফ করি না বলে।’
শিক্ষক জীবনের সেকেন্ড ইয়ারে এসে প্রীতমদার সূক্ষ্ম পরিমাপগুলো ঘাঁটতে লাগল। প্রথম প্রথম সাড়ে আটটা, তার পর ন’টা, শেষে সাড়ে ন’টায় হোস্টেল ঢোকা শুরু হল। সারা দিন ফোনে খুটখুট, সিনেমা দেখায় ভাটা পড়ল, পড়াশুনো যেটুকু করত তাও গেল। এর পর এক মাসের মাথায় এক দিন রাত্রে ছাদে তুমুল কান্নাকাটি করে জড়ানো গলায় জানাল যে, ছাত্রীর প্রেমে পড়েছে। তার পর সে চরম অশান্তি, দেবোপমার বাবার কলেজ চত্বরে প্রীতমদার কলার ধরা, ছাত্রীর বাড়ি থেকে প্রীতমদাকে অপমান করে তাড়ানো, আমাদেরও কথা বন্ধ করে দেওয়া— এ সব ঘটল পরের এক মাসে।
আমরা হিসেব কষে কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না, দেবোপমার মতো একখানা মারকাটারি সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে এ রকম জমিয়ে প্রেম করতে করতে, প্রীতমদার মতো জীবনে প্রতিটা স্টেপে রাফওয়র্ক করে পা ফেলা একটা লোক, হঠাৎ কী করে ছ’বছরের ছোট, ‘চলতা হ্যায়’ দেখতে ছাত্রীর প্রেমে পড়তে পারে? প্রীতমদাই অনেক পরে হালকা হেসে উত্তরটা দিয়েছিল— পড়াতে গেছিলাম, নিজেই পড়ে গেলাম। কী করব বল?
আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল প্রীতমদা আর তানিয়ার প্রেম। দুজনের বাড়িতেই মেনে নিয়েছে। জীবনে কোনও ভিলেন নেই সে অর্থে। রেজিস্ট্রি করছে সামনের বছর, প্রীতমদার ভাষায়— সিঁথির মোড়ে সিঁদুর না, কালি দেব। আর হ্যাঁ, তানিয়াও ফার্স্ট ইয়ার থেকেই টিউশনি করে। ছাত্র ক্লাস টেন, সায়েন্স গ্রুপ। রাফওয়র্ক করে যায় কি না, কে জানে...
anik.cmc@gmail.com