বৃষ্টিতে ছাতারে
আমাদের বাড়ির ছাদে রোজ সকালে একদল সাতভাই পাখি আসে। বড়রা বলে এদের নাম নাকি ছাতারে পাখি। প্রথমে একটা পাখি আসবে বিস্কুট, মুড়ি বা রুটির টুকরো দেওয়া হয়েছে কি না দেখবে, না দেওয়া হলে উড়ে চলে যাবে। আবার একটু পরে আসবে। খাবার দেখতে পেলে একটা বিশেষ স্বরে অন্যদের ডাকবে। তখন সবগুলো একসঙ্গে এসে যাবে। এরা সবাই নিজেদের মধ্যে কিচমিচ করতে করতে দু’পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে খেতে থাকবে। তবে ওরা যখন শুঁয়োপোকা খায়, তখন দেখার মতো। পোকাগুলোকে ঠোঁটে ধরে এক বার এ পাশে তো আর এক বার ও পাশে আছাড় মারবে, যখন শুঁয়োপোকার কাঁটাগুলো আর থাকবে না, তখন ওই পোকাটাকে খাবে। যখন বৃষ্টি হবে আগে থেকে ওরা সাবধান হয়ে যায়। যদি আস্তে আস্তে বৃষ্টি হয় তবে ওরা আমাদের আম গাছের ডালে একটা পাখি অন্য পাখির ডানার ভেতর আর একটা তার ডানার ভেতর, এ ভাবে তিন চারটে পাখি একসঙ্গে জড়ো হয়ে যায়। আবার যখন খুব জোরে বৃষ্টি হয়, তখন দেখি ওরা দু’তিনটে পাখি একসঙ্গে নারকেল গাছের আগার পাতার গোড়ার দিকে ঢুকে যায়।
অমৃতময় কর। পঞ্চম শ্রেণি, বল্লুক হাই স্কুল, পূর্ব মেদিনীপুর
কুকুরের শাঁখ বাজানো
চারটে বাড়ি নিয়ে গলির শেষে আমাদের বাড়িটা। এখানে অনেকগুলো কুকুর পাকাপাকি ভাবে বাস করে। কারণ, আমি খুব ছোট থেকে ওদেরকে দেখতে দেখতে বড় হচ্ছি। পাড়ার সব বাড়ি থেকেই ওদের প্রচুর খেতে দেওয়া হয়। বর্ষাকালে রাস্তা জলে ডুবে গেলে অনেকে বাইরের বারান্দার গেট খুলে থাকতেও দেয়। যার ফলে ওরা আমাদের প্রায় সকলকেই চেনে ও ভালবাসে। আমরাও এদের নানা রকম ভালমন্দ, আচার ও আচরণ দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু আমি বেশ অনেক দিন ধরে ওদের একটা অভ্যাস লক্ষ করে দেখছি যে, রোজ সন্ধেবেলা প্রতিটি বাড়ি থেকে একের পর এক সবাই যখন শাঁখ বাজিয়ে সন্ধে দেয়, তখন ওরাও একসঙ্গে ওই সময়ে শাঁখের আওয়াজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করুণ সুরে তিন-চার বার ডেকে ওঠে। এটা ওরা রোজ করে।
পূর্বাশা ঘোষ। অষ্টম শ্রেণি, ডাফ হাই স্কুল ফর গার্লস
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১