Advertisement
E-Paper

মেয়েদের রেট চার্ট

বানিয়ে ফেলেছে এক ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস। যৌন ক্রীতদাসীর বাজার বসাচ্ছে হপ্তায় দু’তিন দিন। সবচেয়ে বেশি দাম এক থেকে ন’বছরের মেয়েদের।মিশেল ওবামার দাম ৪০ মার্কিন ডলার। এর বেশি হতেই পারে না। সুন্দরীদের ভিড়ে অমন মহিলার দাম ৪০ ডলার, এই অনেক।— বলে কী! আমেরিকার ফার্স্ট লেডি-র দাম ধার্য হয়েছে! পশ্চিম এশিয়ার আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গিগোষ্ঠী, এখন আইএস নামে বিশ্ব-কুখ্যাত, তা-ই দাবি করছে। সম্প্রতি তাদের পত্রিকা ‘দাবিক’-এ একটি লেখায় বলা হল, তাদের বাজারে যে মেয়েরা বিক্কিরি হচ্ছে, তাদের রূপের পাশে মিশেলের দাম ৪০ ডলার ছাড়াবে না।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০০:০৩

মিশেল ওবামার দাম ৪০ মার্কিন ডলার। এর বেশি হতেই পারে না। সুন্দরীদের ভিড়ে অমন মহিলার দাম ৪০ ডলার, এই অনেক।— বলে কী! আমেরিকার ফার্স্ট লেডি-র দাম ধার্য হয়েছে! পশ্চিম এশিয়ার আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গিগোষ্ঠী, এখন আইএস নামে বিশ্ব-কুখ্যাত, তা-ই দাবি করছে। সম্প্রতি তাদের পত্রিকা ‘দাবিক’-এ একটি লেখায় বলা হল, তাদের বাজারে যে মেয়েরা বিক্কিরি হচ্ছে, তাদের রূপের পাশে মিশেলের দাম ৪০ ডলার ছাড়াবে না।
বাজার মানে? মেয়েদের বাজার? আজ্ঞে হ্যাঁ, ইরাকের মসুল শহরে, সিরিয়ার রাক্কা শহরে বসছে যৌন-ক্রীতদাসী বাজার। সেই মেয়েদের যেমন খুশি, যখন খুশি ভোগ বা ধর্ষণ করা যায়, যৌন-আদেশ করা যায়, সে আদেশ না মানতে চাইলে পেল্লায় মেরে গায়ের ছালচামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া যায়, পালাতে চাইলে গুলি করে মেরেও ফেলা যায়।
মিশেল ওবামাকে নিয়ে ওই কদর্য কথাটি লিখেছিল যে, সে এক জন মহিলাই। এক জেহাদির স্ত্রী। ওই ‘৪০ ডলার’ দামটা তার মাথায় এল কী করে? কেন, রেট-চার্ট আছে তো! কোন ধরনের মেয়েদের কত দাম, একেবারে পষ্টাপষ্টি বলে দেওয়া আছে! যেমন রোলের দোকানে এগ রোল মাটন রোল চিকেন রোলের দাম বাইরেই টাঙানো থাকে! চূড়ান্ত অশিক্ষা আর ঔদ্ধত্য মিশিয়ে, এই ইসলামিক স্টেট (হ্যাঁ, এই সংগঠন নিজেদের এখন ‘স্টেট’ বলতে ভালবাসে)— যারা কিনা ইরাক, সিরিয়া আর ইয়েমেন-এর অনেকখানি জায়গা দখল করে নিয়ে ‘ইসলামি সাম্রাজ্য’ বিস্তার করতে চাইছে, আর প্রথম বিশ্বের তাবড় উন্নত, সভ্য, শিক্ষিত দেশ থেকে ফুসলে আনছে তরুণ-তরুণী জঙ্গি, আর সারা বিশ্বের মাস্তান দেশগুলোর ঘুম ও ঘিলু শুষে নিয়েছে— তাদের ‘সাম্রাজ্যে’ দাপিয়ে বুক ফুলিয়ে চালু করে দিচ্ছে খোলা বাজারে মেয়ে কেনাবেচার দুরন্ত ব্যবসা।

মেয়েও তো অঢেল, অভাব নেই। আইএস জঙ্গিরা ইরাকের উত্তর প্রান্ত অধিকার করে সেখানকার সংখ্যালঘু ইয়েজিদি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে বন্দি করছে। তার পর মেয়েদের তাদের পরিবারের থেকে আলাদা করে রাখছে অন্য জায়গায়। তার পর বিক্রি করছে চড়া দামে। মেয়েগুলিকে ভোগ করছে একাধিক আইএস জঙ্গি সৈন্য বা সদস্য। বিদেশি জঙ্গিদের হক আগে। কারণ তাদের ফুসলে আনার জন্য অনেক বেশি চেষ্টা করতে হয়েছে।

‘ইয়েজিদি ও খ্রিস্টান মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন ক্রীতদাসী করলে তাতে পাপ তো নেই-ই, বরং পুণ্য আছে, কারণ এই সম্প্রদায়ের মানুষরা ইসলাম অমান্য করে অন্য ধর্ম পালন করেছে। ব্যস, তাদের তো উচিত শিক্ষা দিতেই হবে।’ ইন্টারনেটের একটি সাইটে আইএস এ রকম ভূরি ভূরি যুক্তি দিয়েছে। বলেছে, ‘যে সব পরিবার কাফের, তাদের বন্দি করে বা অধিকার করে দাস বানানো এবং তাদের মেয়েদের রক্ষিতা করার অধিকার শরিয়তে দেওয়া রয়েছে।’

ওয়েবসাইট আরও বলছে, ‘আমরা খবর পেয়েছি, নারী এবং গরুর বাজারে চাহিদা বিস্তর কমে গেছে, এবং এর ফলে ইসলামিক স্টেট-এর রাজস্বে টান পড়বে, টান পড়বে মুজাহিদিনদের যুদ্ধের রসদেও। এই অবস্থায় আমরা (বাজারদরের) কিছু পরিবর্তন করছি। ইয়েজিদি ও খ্রিস্টান মেয়েদের দাম নীচে দেওয়া হল।’

১ থেকে ৯ বছরের মেয়েদের দাম ১৭২ মার্কিন ডলার, ১০ থেকে ২০ বছরের মেয়েদের দাম ১২৯ ডলার, ২০ থেকে ৩০ বছরের মেয়েদের দাম ৮৬ ডলার, ৩০ থেকে ৪০ বছরের মেয়েদের দাম ৫৬ ডলার, আর ৫০ বছরের ওপরের মেয়েদের দাম ৪৩ ডলার। এক জন তিনটির বেশি যৌন ক্রীতদাসী রাখতে পারবে না। শুধু বিদেশি জঙ্গিদের ক্ষেত্রে এবং তুরস্ক ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে যারা জঙ্গি হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। তারা তিনের বেশি ক্রীতদাসী রাখতে পারে।

এক বছরের মেয়ে? তিন বছরের মেয়ে? — এরা যৌন ক্রীতদাসী?! এদের শরীর থেকে কী যৌন তৃপ্তি আদায় করে নেবে এরা? কতখানি অমানুষ হলে এদের ওপর চড়াও হওয়া যায়! অনেকে বলছেন, না না, এদের তখনই ভোগ করা হয় না, নাইয়ে খাইয়ে ডাগরডোগর করে বড় করে বেচে দেওয়া হয় অন্যের ভোগের জন্য। এদের কেনা হচ্ছে ‘বিনিয়োগ’ হিসেবে। আর, বেশি বছর তো অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ, অল্পবয়সি পবিত্র-যোনির চাহিদা একেবারে তুঙ্গে!

এই অল্প-বয়সটা ঠিক কত বয়স হতে পারে? তারও উত্তর দিয়েছে আইএস তাদের ইস্তাহারে। প্রশ্ন আছে— যে মেয়ে ঋতুমতী হয়নি তার সঙ্গে সঙ্গম কি উচিত? উত্তরে বলা হয়েছে— যদি সেই মেয়ের শরীর সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত থাকে, তবে ঋতুমতী না হলেও তাকে ভোগ করা যায়। যেমন, পঞ্চাশ বছরের এক জন জঙ্গি আট বছরের ফাদিদাকে কিনে নিয়ে গিয়েছিল, বলেছিল তাকে মেয়ের মতো রাখবে। সেই লোকটিই রাতে ফাদিদাকে খাইয়েদাইয়ে হাত ধরে শুতে নিয়ে গিয়েছিল নিজের ঘরে। কী কী যেন করছিল, ফাদিদার খুব কষ্ট হচ্ছিল। সকাল বেলায় ফাদিদা দেখে তার উরু বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত, আর খুব কষ্ট সারা শরীরে। তার পর প্রায়ই এই যন্ত্রণা তাকে সইতে হয়েছে। দগ্ধে দগ্ধে বেশ কিছু দিন কেটেছে। তার পর এক দিন সে উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটতে শুরু করে। রাক্কা শহরের কোনও এক দরজায় ঘা দিয়ে আশ্রয় চায়। সেই পরিবার তাকে আশ্রয় দিলেও ফাদিদার পরিবারের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে তবে ছেড়েছে তাকে। সে এখন একটা ক্যাম্পে থাকে। চিকিৎসা চলছে। প্রথম যখন পরিবারের লোক তাকে পায়, আর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্য চায়, তখন টানা দু’দিন আবোলতাবোল বকে গিয়েছিল ফাদিদা। তার পর দু’মাস একটাও কথা বলেনি।

কিংবা ওই যে ন’বছরের মেয়েটা, যাকে বেশ কিছু দিন ধরে দশ জন জঙ্গি লাগাতার ধর্ষণ করেছে, সে এখন অন্তঃসত্ত্বা। তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বটে, কিন্তু এই নিষ্ঠুর সত্যিটা সবাই নিশ্চিত করেই জানে যে, এক দিন কিতকিত খেলার বদলে বাচ্চার জন্ম দিতে গিয়ে সে মরে যাবে। এই অবস্থায় তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। গর্ভপাত করাতে গেলেও মরবে, বাচ্চার জন্ম দিতে গেলেও মরবে।

আর এই সব মেয়েদের লুটেপুটে ভোগ করাই নাকি চূড়ান্ত আনন্দের। নানা বয়সের জঙ্গিদের এটাই মত। বয়সে যত কচি, ভোগে তত আনন্দ— ‘আরে একটু বড় হয়ে গেলেই তো মেয়েরা বুঝতে পারে, রেপ কাকে বলে, যৌন অত্যাচার কাকে বলে। কিন্তু ছোট্ট মেয়েগুলো তো বুঝতেও পারে না। আর সেটাই আসলি মজা। আহাহা, ওই নিষ্পাপ ইনোসেন্সটাই তো কিক দেয়।’

তা হলে এ তো কেবল বিচ্ছিন্ন কয়েক জনের মানসিক বিকৃতির ঘটনা নয়। এ তো শ’য়ে শ’য়ে ছেলের চাহিদা, যা জেহাদের নামে পূরণ করছে আইএস। ঠান্ডা মাথায় মেয়েদের তুলে নিয়ে এসে ঠুসে দিচ্ছে বদ্ধ হলঘরে বা কোনও উচ্চপদস্থ জঙ্গির ডেরায় কিংবা পরিত্যক্ত কারখানা বা পতিতালয়ে। তার পর তাদের নিলাম হচ্ছে। অনেক সময়ে নিলামের বদলে, বসে ‘রেপ লটারি’র আসর। ওই ওই আট বছরের মেয়েটা, আর ও দিকের কোনায় বছর কুড়ির যৌবনবতী, আর ডান দিকের তিন নম্বর জানলার নিচে ওই বেশি তেজ দেখানো ডাগর মেয়েটা? নিয়ে আয় এদের। বাকিগুলো ভয়ে কাঁপুক, কবে ওদের নম্বর উঠবে।

যারা ‘নির্বাচিত’ হল, তাদের নিদান আসে স্নান করার। বলি দেওয়ার আগে যেমন স্নান করানোর রেওয়াজ আছে বহু ধর্মে। মেয়েদের স্নান করতে বললেই তাদের বুক ঢিপঢিপ, পেট গুড়গুড়। এই বার নেমে আসবে সেই ভয়ংকর খাঁড়া। অমান্য করেছ কী মার! চাবুক, লাঠি, চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া, দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেওয়া। এ সবের পর ব্যথা, জমাট রক্ত, খিদে আর তেষ্টা নিয়ে অন্ধকার কুঠুরিতে পড়ে থাকা। একটু ভাল হলেই ফের স্নান।

জালিলা, বছর কুড়ির তরুণী, অনেক কাকুতি-মিনতি করেছিল ছেড়ে দেওয়ার জন্য। সাত জন ভোগ করার পর একটু নিস্তার মিলেছিল তার। আবার রাসিদা যখন জানল যে আজ তার পালা, তখন সে মরিয়া, কী করে পালাবে। না পারলে অন্তত মরে তো যাওয়াই যায়। স্নান করতে গিয়ে খুঁজে পেল একটা শিশি, তাতে বেশ কিছুটা উগ্র গন্ধের তরল। আঁচ করল, নিশ্চয়ই বিষ। জলে মিশিয়ে সে আর বাকি মেয়েরা গলায় ঢেলে দিল। কিন্তু এমনই ভাগ্য যে অসুস্থ হয়ে পড়লেও কেউ মরল না। ভেজাল বিষও বিট্রে করল।

এগারো বছরের জামার কিন্তু মরতে পেরেছিল। গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে বাথরুমে গিয়ে কোনও মতে ঝুলে পড়েছিল। অবশ্য তার আগে কয়েক জন জঙ্গি তাকে বেশ করে ভোগ করে নিয়েছিল। তাদের পয়সা পুরোটা জলে যায়নি। ওয়াফা নামের এক তরুণী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-কে জানিয়েছে, সে আর তার বোন এক দিন রাতে দুজনে গলায় ওড়না জড়িয়ে একে অন্যের ওড়না ধরে টানছিল। জীবনের শেষ শক্তি জড়ো করে। কিন্তু ঘরের অন্য মেয়েরা ঘুম থেকে উঠে পড়ায় তাদের আর মরা হয়নি। এর পর মাসখানেক দুই বোনই আর কথা বলতে পারেনি।

জয়নাব অবশ্য পালিয়ে বেঁচেছিল। বাঁচার আগে সাত বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। তিন বার হাতের শিরা কেটে, আর বেশ কয়েক বার গলার ফাঁস দিয়ে। পারেনি। প্রত্যেক বার বাঁচিয়ে নিয়েছিল ওর প্রভুরা। আর তার পর মার কাকে বলে! কালশিটের রং দেখে বোধ হয় কালশিটে নিজেও লজ্জা পেয়েছিল। প্রথম বার পালানোর পর, প্রভু বেচে দিয়েছিল এক জন লেবাননের লোককে। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল বলে ফের ফেরত এসেছিল ইরাকে। আবার পালাতে গিয়েছিল, তখন দু’দিন অন্ধকার ঘরে বন্দি ছিল। শেষরক্ষা হয়নি। এর পর স্নান শুরু হয় বার বার, বার বার। তবু পালাতে গিয়েছিল। তখন ওকে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছিল ধু-ধু মরুভূমির মধ্যে একটা ট্রেলারে। সেখানে গিয়ে জয়নাব দেখে, আরও সাত জন মেয়ে রয়েছে। তারাও যৌন ক্রীতদাসী। কিন্তু কাজ করতে হয় সবই। কাপড়-জামা কাচা, ট্রেলার পরিষ্কার রাখা, খাবার তৈরি করা। আর ‘উঃ’ বললেই পেটানি খাওয়া— সেটাও একটা নিত্য কাজ।

এক দিন রাতে পালাতে গিয়েছিল জয়নাব। এমন মার জুটেছিল যে কথা বলতে পারেনি সাত দিন। কিন্তু তক্কে তক্কে ছিল। এক রাতে যখন জয়নাবের সঙ্গীদের দুজনকে নিয়ে ব্যস্ত ছিল কমান্ডাররা, তখন ট্রেলার থেকে নিঃশব্দে একটা ফালি দিয়ে স্লিপ করে নেমে যায় বাকি ছ’জন। হাঁটতে থাকে মরুভূমি ধরে। কোন দিকে, কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না। চার-পাঁচ দিন খাবার ছাড়া, জল ছাড়া হাঁটার পর, একটা শহরে এসে একটা দরজায় ধাক্কা দেয় জয়নাব। আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি গৃহকর্তা। কিন্তু তার চালাক ছেলে রাজি ছিল, এই মওকায় কিছু যদি কামিয়ে নেওয়া যায়। পেরেওছিল। ছ’টা মেয়ের বাড়ির লোকের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে তবে ছেড়েছিল মেয়েগুলোকে। তারা এখন বিভিন্ন ক্যাম্পে। জয়নাব অনেক পরে জানতে পেরেছিল, বাকি দুটো মেয়ে, সে দিন যারা ট্রেলারে জঙ্গিদের ভোগের বস্তু ছিল, পরের রাতে চেষ্টা করেছিল পালাবার। দুজনকেই মাথায় গুলি করে মেরে দেয় ওই বীরপুঙ্গবরা।

এখনও আইএস জঙ্গিদের কাছে প্রায় হাজার তিনেক ইয়েজিদি আর খ্রিস্টান মেয়ে রয়েছে। সে সংখ্যা আরও বাড়বে। মেয়েদের এই দশা দেখে যদি কেউ ভাবেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু কী করা যাবে, যে কোনও বড় আগ্রাসনের কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ তো আছেই’, তা হলে তিনি ভুল করছেন। এ শুধু অসহায় মেয়েদের বাগে পেয়ে যৌন আনন্দ ভোগ করার ব্যাপার নয়, এখানে আছে একটা গোটা বাজার চালাবার আস্ত ব্লুপ্রিন্ট! ব্যবসা বজায় রাখতে গেলে ক্রমাগত সাপ্লাই থাকতে হবে। সে জন্য মেয়েদের তুলে আনতে হবে রোজ রোজ। তার পর, কত জন পালাতে পারে, কাকে পিটিয়ে শিক্ষা দিতে হবে আর কাকে একদম মেরে ফেলতে হবে, ডিমান্ড অনুযায়ী কাকে কোন দামে বেচা হবে— তারও পরিষ্কার আইডিয়া থাকতে হবে। গোছালো ভাবে ব্যবসা না ফাঁদলে, লাভ কমে যাবে। পয়সা জোগানে টান পড়লে জেহাদি পুষবে কী করে, আর যুদ্ধই বা করবে কী করে? ‌তাই মেয়েরা এখানে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কাঁচামাল। পুঁজি।

গ্যাস চেম্বার, আবু ঘ্রাইব, কঙ্গো-রেপ, দারফুর-রেপ দেখেছে বিশ্ব। এ বার এটা একটা নতুন মডেল। এরা খেল দেখাক। আর আমরা— দুর্বল, পিতপিতে, সভ্য মানুষ— নতজানু হয়ে ক্ষমা, শান্তি আর মহানুভবতার কাছে গিড়গিড়াই।

abpnewsletters rate chart women terrorist sex rape news michelle obama sanchari mukhopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy