Advertisement
E-Paper

স্বাধীনতা তুমি...

ট্রেনের একটা দরজা। অনেকগুলো মুখ! এক জনের মুখে অজস্র বলিরেখার আঁকিবুকি! সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। লোকটা নিশ্চয়ই বেশ বুড়ো। কিন্তু মুখে কোনও দাড়িগোঁফ নেই।

সঞ্জয় দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

• (গত সংখ্যার পর) •

ট্রেনের একটা দরজা। অনেকগুলো মুখ! এক জনের মুখে অজস্র বলিরেখার আঁকিবুকি! সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। লোকটা নিশ্চয়ই বেশ বুড়ো। কিন্তু মুখে কোনও দাড়িগোঁফ নেই। দাড়িগোঁফ কামানো হলে সে ছোট্ট ছোট্ট দানার মতো খোঁচা খোঁচা রেখা দেখতে পেত! এত কাছ থেকে সে দেখতে পাচ্ছে মুখটাকে। এ লোকটার তো গোঁফ-দাড়ি ওঠেইনি মনে হচ্ছে! শালা মাকুন্দ নাকি? মাথার চুল কাঁচাপাকা। একেবারে ছোট ছোট করে ছাঁটা। ট্রেনটা এত আস্তে আস্তে এগোচ্ছে যে লোকটাকে ট্র্যাক করতে তার কোনও অসুবিধে হচ্ছে না। আর একটু নামাল বুধুয়া। এটা পকেট। পকেটের থেকে উঁকি মারছে চকচকে ওটা কী? খইনির ডিবে নিশ্চয়ই! একটাই পকেট লোকটার জামায়, ডান দিকে। বাঁ দিকে কোনও পকেট নেই। এখন শুধু লোকটার জামার চেক-কাটা কাপড়টা দেখছে বুধুয়া। হলদে জমির উপর কালো রঙের ছিট। ছোট ছোট উড়ন্ত পাখির ডিজাইন।

হঠাৎ ঠাকুমার কথা মনে পড়ল তার। ঠাকুমার কাছে শোনা পাণ্ডব-কৌরবদের অস্ত্রপরীক্ষার গল্প। সবাইকে ডালে বসা পাখির দিকে তাক করতে বলছেন অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য। একে একে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কী দেখছ?’ কেউ বলছে আকাশ, গাছ আর পাখি। কেউ বলছে গাছের পাতা, ডাল আর পাখি। মাথা নেড়ে পরের জনের কাছে যাচ্ছেন অস্ত্রগুরু। অর্জুনই একমাত্র বলল, ‘আমি শুধু পাখির মাথাটা দেখতে পাচ্ছি! আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না।’ খুশি হয়ে তির ছোড়ার অনুমতি দিলেন দ্রোণাচার্য! নিপুণ হাতে লক্ষ্যভেদ করলেন অর্জুন। শুধু পাখির মাথাটা খসে পড়ল।

সে কি অর্জুন? ডায়ালটা আর একটু ঘোরাল বুধুয়া। একটা পাখি শুধু বড় হয়ে ভেসে উঠল তার চোখের সামনে। পাখিটার ঠিক মাঝখান চিরে চলে গেছে যোগ চিহ্নটা। আড়াআড়ি একটা রেখা। অন্যটা উপর থেকে নীচে। ঠিক যেন যোগ চিহ্নটার উপর উড়ে এসে বসেছে ছোট্ট কালো পাখিটা!

নিজেকে মহাভারতের দিগ্বিজয়ী বীরের মতো লাগছে বুধুয়ার। অর্জুন ঠিক এই ভাবেই পাখিটা দেখেছিলেন! ঠাকুমা বলেছে! নিজের অজান্তেই ট্রিগারে চলে গেছে তার ডান হাতের আঙুল। গুলি নেই, জানে বুধুয়া। তাও ট্রিগারে চাপ দিল সে।

আর ঠিক তখনই অনুভব করল ধাক্কাটা! বিকট একটা ধাক্কা। বন্দুকটা যেন একটা লাথি মারল তাকে! এক মুহূর্তের জন্য এলোমেলো করে দিল।

বিস্ময়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও এক বার ট্রিগার টিপে দিয়েছে বুধুয়া। ঘটনাটা কী হচ্ছে ভাল করে বোঝার জন্য। প্রথম ধাক্কাটা কি তার মনের ভুল? না, এ বারেও ঠিক প্রথম বারের মতোই একটা ধাক্কা। জোরে। সেই অবস্থাতেই সে দেখতে পেল, ট্রেনটাতেও ঠিক সেই মুহূর্তেই স্বাভাবিক গতির সঞ্চার হল। কিন্তু সে দিকে তখন মন দেওয়ার অবস্থা নেই বুধুয়ার!

ভাগ্যিস তার বন্দুক নাড়াচাড়া করার অভ্যেস আছে! বন্দুক হাতে নিয়ে কী ভাবে দু’পা ফাঁক করে ব্যালেন্স করে দাঁড়াতে হয়, বুধুয়া জানে। সব সময় সে ওই ভাবেই ব্যালেন্স করে দাঁড়ায়, শরীরের ভারটা পিছনের পায়ের উপর রেখে। আজও সেই ভাবেই দাঁড়িয়েছিল। না হলে আজ চরণ আর নান্টুর সামনে প্রেস্টিজ পাংচার!

কিন্তু ঠিকমত দাঁড়ানোর প্রশ্নটা তো আসে বন্দুকে টোটা ভরা থাকলে! আজ ব্যাপারটা কী হল? টোটা ভরা বন্দুকের ‘কিক’ থাকে, সে জানে! কিন্তু এই বন্দুকটাতে তো গুলি ভরা নেই। বন্দুকের গুলি ছুটলে তো বিকট আওয়াজ হবে! ডানা ঝাপটিয়ে আশেপাশের গাছ থেকে সব পাখি উড়ে যাবে! কোনও আওয়াজ তো হয়নি! শুধু খট করে একটা শব্দ! দু’বারই, প্রথম বার স্পষ্ট করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে দ্বিতীয় বার ট্রিগার টিপে দিয়েছে! ভেবেছে প্রথম বার হয়তো মনের ভুল! কিন্তু পর পর দু’বার তো ভুল হতে পারে না!

বন্দুকটা নামিয়ে অবাক হয়ে সেটার দিকে তাকিয়ে আছে বুধুয়া। অন্যরাও বুঝতে পেরেছে, কিছু একটা গোলমাল হল! কিন্তু কী গোলমাল কেউ জানে না!

‘কী হল রে?’ চরণ আর নান্টু ভিড় করে এলো।

চটকা ভাঙল বুধুয়ার।

‘কিছু না! অনেক হল। এ বার চল তো। মালটা তো আবার জায়গামত ফিরিয়ে দিতে হবে। বাবা টের পেয়ে গেলে তো আর ছাল-চামড়া আস্ত থাকবে না।’

বন্দুকটা আবার চাদরের তলায় নিয়ে নিল বুধুয়া। চার জনেই পা বাড়াল বাড়ির দিকে।

‘চরণদা দেখো, ট্রেনটা আবার থেমে গেছে।’

তারা অনেকটা নেমে এসেছে টিলার গা বেয়ে। আর একটু নামলেই ধানখেত। চরণ আর ছোটন কয়েক পা এগিয়ে গিয়েছিল। ছোটনের কথা শুনে তারা তিন জনেই আবার তাকাল ট্রেনটার দিকে। সত্যিই ট্রেনটা থেমে গেছে। ট্রেনের হুইস্‌ল শোনা গেল। কুক-কু-উ-উ-উ-উ।

দূর থেকে মনে হচ্ছে কয়েক জন নেমেও পড়েছে লাইনে। মাঝপথে ট্রেন থামলেই কেউ না কেউ লাইনে নেমে পড়ে। ট্রেন আবার চলতে শুরু করলেই কোনও রকমে হুড়মুড় করে উঠে যায় কামরায়। আগেও দেখেছে বুধুয়া।

‘আবার সিগন্যাল ডাউন,’ অন্যমনস্ক ভাবেই বলল বুধুয়া। তার ভাল লাগছে না। কেমন যেন ঘেঁটে যাচ্ছে সব কিছু! বন্দুকটা কেন ধাক্কা দিল? প্রথম ধাক্কাটা খাওয়ার মুহূর্তে টেলিস্কোপের মধ্য দিয়ে এক বার বুড়োর মুখটা লক্ষ করেছিল বুধুয়া। তার মতো লোকটাও যেন একটা ধাক্কা খেল। শরীরটা যেন একটা ঝটকা দিল বুড়োটার! মাথাটা কেমন ছিটকে উঠল। আধবোজা চোখদুটো এক মুহূর্তের জন্য বিস্ফারিত হয়ে উঠল। হঠাৎ যেন খুব ভয় পেয়েছে, বা ব্যথা পেয়েছে লোকটা। তার পরেই বুধুয়া দ্বিতীয় বার ট্রিগার টিপে দেয়! কিন্তু এ বার কিছু লক্ষ
করে টেপেনি! দেখতেও তো পায়নি তেমন কিছু।

বিলাসজ্যাঠা তো বলেছিল, যেটা করতে সবচেয়ে ভাল লাগে সেটা করতে পারার নামই স্বাধীনতা। বন্দুক নিয়ে খেলতে তো খুব ভাল লাগে বুধুয়ার, ভাল লাগে তীক্ষ্ণ নিশানায় লক্ষ্যভেদ করতে। এটাই কি তা হলে স্বাধীনতা? কিন্তু তা হলে এত খারাপ লাগছে কেন তার? কেমন যেন ভয় করছে! ওই বুড়োটার কী হল হঠাৎ?

পাড়ার কাছাকাছি এসে গেছে ওরা চার জন। চরণ, নান্টু, ছোটন নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে এসেছে সারাটা পথ। বুধুয়া কেবল অন্যমনস্ক ভাবে হুঁ-হাঁ দিয়ে গেছে।

বুড়োটার বিস্ফারিত চোখদুটো কিছুতেই বুধুয়ার সঙ্গ ছাড়ছে না! পিজি কলোনিতে প্রায় পৌঁছে গেছে তারা। আর একটু এগোলেই গুলশানদের বাড়ি। পাশ দিয়ে ঢুকে গেছে কলোনির সরু গলি। বাড়িতে ঢুকে, কেউ দেখার আগেই বন্দুকটা আবার যথাস্থানে রেখে দিতে হবে। আজকের মতো তার স্বাধীনতা শেষ। বাড়ির দিকে দ্রুত পা চালাল বুধুয়া।

আর ঠিক তখনই বুড়োর মুখটা মনে পড়ল আবার। বৃদ্ধর চোখদুটো ও রকম ভয় আর ব্যথায় থইথই করে উঠল কেন?

স্বাধীনতার তো ষাট বছর হবে এ বার। আচ্ছা, ওই বুড়ো লোকটার মুখের মতোই কি হবে, স্বাধীনতার মুখ?

অর্ধেক মানব তুমি, অর্ধেক পুলিশ

‘শালা এতখানি বয়স হল, স্বাধীনতার মুখ দেখলাম না এক দিনের জন্যেও, শালার স্বাধীনতা দিবস। হোক ষাট বছর। আমার শালা কী?’ বাক্যটার সব তালব্য-শ, দন্ত্য-স, মূর্ধন্য-ষ’গুলো উচ্চারিত হল ইংরিজি ‘এস’-এর মতো করে।

‘কেন লাহিড়ীদা, আপনার স্বাধীনতায় টান পড়েছে?’ সোমেশের গলায় ঈষৎ ব্যঙ্গের সুর।

‘শালা আমার মতো বউ তোমার থাকলে, তোমারও স্বাধীনতায় টান পড়ত!’

‘কিন্তু লাহিড়ীদা, আপনি ব্যক্তিস্বাধীনতার সঙ্গে দেশের স্বাধীনতাকে গুলিয়ে ফেলে কি ভাল করছেন?’

শ্যামলের প্রশ্নটা শুনে ঘরে একটা হাসির হররা উঠল। চিড়বিড় করে উঠলেন অলকেশ লাহিড়ী।

‘ও সব বড় বড় বাতেলা রাখো তো ভায়া। বলি স্বাধীনতা ধুয়ে আমরা কী জলটা খাব? চার দিকে তাকিয়ে দেখো না! এই যে রেল। আমাদের বাপ-ঠাকুরদার আমলে রেল যা ছিল, এখন কি তা-ই আছে? পুলিশ? তোমার ঠাকুরদা তো বেঁচে আছেন! তাঁকে জিজ্ঞেস করে দেখো তো, পুলিশকে ঘুষ দেওয়া যেত তখন? একটা খুন হলে, খুনি ধরা পড়ত, তার বিচার হত!’

‘আপনি কী বলতে চাইছেন লাহিড়ীদা? পরাধীন হয়েই ভাল ছিলাম? স্বাধীন দেশে জন্মে এটা আপনি বলতে পারলেন?’

সুলেখা মিত্রর সোজাসাপটা প্রশ্নটা মুহূর্তের জন্য সবাইকে নির্বাক করে দিল।

ঘরটা বিরাট, কিন্তু এতগুলো চেয়ার টেবিল আলমারির সহাবস্থান এখানে যে কক্ষটির আয়তন ঠিক যেন চোখে ধরা পড়ে না। প্রতিটি টেবিলে ফাইলের স্তূপ, হলদে হয়ে যাওয়া, মলিন ক্ষয়াটে কাগজ, কোনাগুলো দুমড়ে গেছে, উপরে নীচে পুরু ধুলোর আস্তরণ। পাতার ধারগুলিতে আবছা হয়ে আসা হাতের লেখা, বহু বিস্মৃত ফাইল নোটেশনের আঁকিবুঁকি। ডাঁই করে রাখা কাগজের স্তূপ টেবিলের বেশির ভাগ অংশ দখল করে রেখেছে। যেটুকু বাকি আছে সেখানে চায়ের কাপের দাগ, অবিন্যস্ত আরও কিছু খোলা কাগজ, দু’-একটা সস্তার কলম, আধখাওয়া জলের গেলাস। যে কোনও সরকারি দফতরের চিরাচরিত চেহারা চিত্তরঞ্জন স্টেশনের এই জিআরপি পোস্টের।

পোস্ট অবশ্য নামেই। ওসি, অলকেশ লাহিড়ীর সাথে এক জন সাব-ইন্সপেক্টর আর সাত জন কনস্টেবল। এই হচ্ছে চিত্তরঞ্জন জংশনের জিআরপি। তার মধ্যে আবার ছুটিছাটার ব্যাপার আছে। বছরের যে কোনও সময়ে দেখা যায়, জনা দুয়েক স্টাফ ছুটিতে। বাকিদের দিয়ে কাজ চালাতে হয়। এঁরা ছাড়া অফিসে যাঁরা বসেন তাঁরা ক্লারিক্যাল স্টাফ, যদিও তাঁরাও পুলিশকর্মী। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সব রাজ্যেই রেল পুলিশ আসলে রাজ্য পুলিশের আওতায় পড়ে। আর সেখানেই হয়েছে সমস্যা। এমনিতেই চিত্তরঞ্জনের মতো জংশন স্টেশনে জিআরপি থানার উপর চাপ কম নয়, কিছু না কিছু লেগেই আছে। এই তো সে দিন হায়দরাবাদ-রক্সৌল এক্সপ্রেসে এক পকেটমার ধরা পড়ে। ধানবাদ থেকে উঠেছিল। কারও একটা পকেট থেকে মানিব্যাগ সরাবার সময় একেবারে হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলেন কোনও এক যাত্রী। ক্ষিপ্ত জনতা মারধর করে ছেলেটিকে, তার পর টানতে টানতে থানায় নিয়ে আসে। যে ভদ্রলোকের পকেটে হাত দিতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় যুবকটি, তিনি এফআইআর করেন। এ সব ক্ষেত্রে সচরাচর যেটা হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। একটা ছোটখাটো ভিড় জমে যায় থানার সামনে। উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে ক্রমশ। প্রথমে দু’-একটা বক্রোক্তি। তার পর ভিড়ের এ-কোনা সে-কোনা থেকে উত্তেজিত মন্তব্য, কটূক্তি। অলকেশ জানেন, এ সব ক্ষেত্রে উত্তেজিত জনতার ক্রোধের মাত্রা বাড়তেই থাকে এবং একটা পর্যায়ে রাগটা গিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। অবস্থা হাতের বাইরে বেরিয়ে গেলে প্ল্যাটফর্মে ভাঙচুর শুরু হওয়াও বিচিত্র নয়। এ দিকে একটা দূরপাল্লার ট্রেন আটকে আছে। ছেলেটিকে লক-আপে পুরে দিয়েছিলেন অলকেশ, সাতপাঁচ না ভেবেই। পরে দেখা গেল ছেলেটি স্থানীয় যুবক। পকেট কাটাকে সে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু তা ছাড়াও তার আর একটা পরিচয় আছে। সে একটি রাজনৈতিক দলের বেশ সক্রিয় কর্মী। সে দিনই সন্ধ্যাবেলা ছেলেটির এক রাজনৈতিক দাদা তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে এসে থানার উপরে চড়াও হয়। এ দিকে ছেলেটির নামে একটি এফআইআর হয়েছে, তাকে আটক করা হয়েছে, ফলে তাকে আদালতে পেশ করতেই হবে পরের দিন। বিনা বাক্যব্যয়ে তাকে এখন ছেড়ে দিলেও নানা প্রশ্ন উঠতে পারে। সামাল দিতে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল অলকেশের।

এ সবের উপর জুটেছে এক নতুন উৎপাত। পনেরোই অগস্টের আর এক মাসও বাকি নেই। স্বাধীনতার ষাট বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তাই এ বছর ভারতীয় রেলের প্রতিটি জংশন স্টেশনে বেশ জাঁকজমক করে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান করতে হবে। আর ট্রেন চলাচল কোনও ভাবে বিঘ্নিত না করে যাতে সে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করা যায়, তার মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশকে। অর্থাৎ জিআরপি। অর্থাৎ অলকেশ লাহিড়ী। অন্যান্য বছর পনেরোই অগস্টের এই অনুষ্ঠানটির সব হ্যাপা সামলাতে হয় স্টেশন মাস্টারকে। পতাকা উত্তোলনের সময় আরপিএফ বা রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স-এর চিত্তরঞ্জন ইউনিটের সাথে তাল মিলিয়ে একটা আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ করেই জিআরপি’র দায়িত্ব শেষ।

এ বছর অনুষ্ঠানের দায়িত্ব অলকেশের ঘাড়ে। শুধু তাই নয়, নমো নমো করে একটা ফ্ল্যাগ-হয়েস্টিং করে দিলে চলবে না। বেশ বড় করে অনুষ্ঠান করতে হবে। সামনের সপ্তাহে ডিআইজি সাহেব নিজে আসছেন কলকাতা থেকে। এখানেই মিটিং হবে। সেখানেই জানতে পারবেন অলকেশ, ঘাড়ে ঠিক কতটা দায়িত্ব পড়তে চলেছে। সেই মিটিঙে আরপিএফ-এর কমান্ডান্ট সুখদেব বর্মারও থাকার কথা।

• (ক্রমশ) •

Mystery Novels
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy