মরুভূমির জাহাজ
জয়সলমীরে থর মরুভূমিতে উটের পিঠে উঠে যখন ঘুরছি তখন উটকে ভাল করে লক্ষ করেছি। উটের চোখ, নাসারন্ধ্র, দাঁত, পা, গলা বেশ বড় আর লেজ-কান দেহের তুলনায় ছোট। গায়ের রং হলদেটে বাদামি বা হলদেটে ধূসর। উট যখন বসে, তখন সামনের পা আগে ভাঁজ করে, তার পর পিছনের পা। যখন ওঠে, তখন ঠিক এর উলটোটা করে থাকে। বসা অবস্থায় যখন পিঠে উঠলাম আর উট যখন উঠে চলতে শুরু করল, অমনি সামনের দিকে ঝুঁকে গেলাম। তাই উটের পিঠের উপর সুন্দর চাদর দিয়ে কাঠের পাটাতন পাতা থাকে। কুঁজোর জন্য পাটাতনের মাঝখানটা গোল করা উঁচু। পাটাতনের দু’দিকেই ধরার জায়গা আছে। উটের পায়ের নরম মাংসপেশি দেখলাম, যার জন্য উট বালিতে অনায়াসে দ্রুত চলাফেরা করতে পারে। নাসারন্ধ্রের কাছে লোহার গোঁজ, তার মধ্যে দড়ি বাঁধা। সেই লম্বা দড়ি চালকের হাতে থাকে। মুখটা দড়ির মুখোশে ঢাকা। উট বালির মধ্যে দিয়ে এত সুন্দর ভাবে মানুষকে বহন করে নিয়ে যায় বলেই উটকে ‘মরুভূমির জাহাজ’ বলে।
অর্ণব চোংদার। ষষ্ঠ শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম
টুনটুনির বাচ্চা
বাড়ির দোতলায় বারান্দার দড়িতে একটি টুনটুনি পাখি বাসা বেঁধেছে। প্রতি দিন আমি পাখিটাকে বাসায় ঢুকতে বের হতে দেখতাম। এক দিন মা আবিষ্কার করল বাসার মধ্যে দুটো ছোট্ট ছোট্ট ডিম। সে দিন থেকে সময় পেলেই চেয়ারে উঠে ডিম দুটো দেখে আসতাম। হঠাৎ এক দিন চোখে পড়ল, কমলা রঙের দুটো টুনটুনির ছানা রয়েছে বাসার মধ্যে। আনন্দে আমার মন ভরে উঠল। একটু বড় হতেই দেখি, ছাই-ছাই রঙের বাচ্চা দুটো মিটমিট করে চেয়ে থাকে আর মা বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেই কিচকিচ করে ডাকে। আরও কিছু দিন যাওয়ার পর দেখি ছানা দুটোর গায়ে পালক বেরিয়েছে। এর পর এক দিন বিকেলে হঠাৎ দেখি ছানা দুটো বাসায় নেই। ওদের কী হল ভেবে মনখারাপ হয়ে গেল। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় কিচকিচ আওয়াজ শুনে মুখ তুলে দেখি, পাশের বাড়ির ছাদে ছানা দুটো বসে আছে আর ওদের মা মুখে করে কী খাইয়ে দিচ্ছে। ওরা উড়তে শিখেছে।
রাজর্ষি দে। তৃতীয় শ্রেণি, সরস্বতী শিশু মন্দির, অরবিন্দপল্লি, সিউড়ি
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬, প্রফুল্ল সরকার িস্ট্রট, কলকাতা ৭০০০০১