গত কাল সিকিমে এক লুকোনো ইভিএম কারখানা পাওয়া গেছে। বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনী গত পরশু রাতে সিকিমের রাবাংলায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এটি আবিষ্কার করে। বিশেষজ্ঞের দল জানিয়েছেন, এখানে তৈরি মেশিনগুলিতে, যে বোতামই টেপা হোক, একটা জায়গাতেই ভোট পড়ে। নির্বাচন কমিশন প্রধান জানিয়েছেন, ‘ভারতের কোনও রাজনৈতিক দল এই কারখানার সঙ্গে যুক্ত কি না, কী ভাবেই বা ওই নকল ইভিএমগুলি আসল ইভিএমের সঙ্গে মিলেমিশে যেত, কত দিন ধরে ওগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জল মিশিয়ে যাচ্ছে, সব তদন্ত করা হবে।’ দেশের শাসক দল ও বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঝগড়া লেগে গেছে। কেউ বলছেন এটাই গত লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারের পালে ‘বিশেষ হাওয়া’র কারণ। কেউ বলছেন, ওটা নেপাল সরকারের প্রভাবযুক্ত এলাকা, তাই এর সঙ্গে এ দেশের গণতন্ত্রের কোনও সম্পর্কই নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বক্তব্য: এ হল ভিনদেশের ষড়যন্ত্র। দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে, দেশের অর্থনীতিতে ধস নামাতে চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী গোষ্ঠীদের বক্তব্য: এটা এ রাজ্যের সরকারের গোপন কারখানা। গত বিধানসভায় নির্বাচন কমিশনের ‘লৌহনীতি’র বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিগত ঝাল মেটানোর স্বার্থে’, নির্বাচন কমিশনকে বদনাম করতে, কারখানা তৈরি করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে মানবাধিকার কমিশনগুলি দেশব্যাপী ধর্মঘটের ঘোষণা করেছে ও আগামী কাল সব মানুষকে রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়েছে। সাধারণ মানুষ ফুঁসছেন, তাঁরা আজ সকলেই অফিস-কলেজ-বাড়ি ছেড়ে মিছিলে যোগ দেবেন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এই পরিকল্পনা মুলতুবি রাখতে অনুরোধ করেছেন। কারণ, গোয়েন্দাদের অনুমান, দেশ জুড়ে আইএস চররা এই রকম সুযোগই খুঁজছে। অনেক মানুষ এক জায়গায় জড়ো হলেই সন্ত্রাস চালাবে।
সৌরভ দাস, বাঁকুড়া বঙ্গবিদ্যালয়
লিখে পাঠাতে চান ভবিষ্যতের রিপোর্ট? ঠিকানা:
টাইম মেশিন, রবিবাসরীয়, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০০১।
অথবা pdf করে পাঠান এই মেল-ঠিকানায়: robi@abp.in