Advertisement
E-Paper

ইসকুলে মুশকিল

উত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্রউত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্র

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২৪

আমার অনেক সমস্যা। ১) ক্যাপ্টেন আমার টিফিন খেয়ে নেয়, ২) ভ্যানে বসা নিয়ে মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, ৩) স্কুলে দুষ্টুমি করলে দাদামণিরা বেশি বকেন, আর ৪) স্কুলে গেলে বাবা-মায়ের জন্য মন কেমন করে।

বর্ণালী সাহা। তৃতীয় শ্রেণি, সারদা শিশু তীর্থ, মাথাভাঙা, কোচবিহার

বর্ণালী, স্কুলে গেলে একটু-আধটু সমস্যা হয়, তাতে ভেঙে পড়বে না।

তোমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছি। ১) ক্যাপ্টেন সম্বন্ধে তোমার টিচারদের বলতে হবে, যাতে টিচাররা তাকে বারণ করেন। অথবা তুমি টিফিন নিয়ে একটু নিরালায় গিয়ে খেতে পারো কি না, দেখো। ২) তোমার বাবা-মা ভ্যান-চালকের সঙ্গে কথা বলে তোমাদের ভ্যানে সকলের বসার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করার অনুরোধ করতে পারেন। প্রত্যেকে নিজের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বসলে তো আর ঝগড়া হবে না। আর একটু-আধটু ঝগড়া হলে এমন কী ক্ষতি! তুমি না হয় ঝগড়া না করে অন্য জায়গায় গিয়ে বসলে। বেশি দূর নিশ্চয় নয়। খানিকটা পথ মিলেমিশে চলে গেলে, ৩) স্কুলে একটু দুষ্টুমি করা ভাল। তাতে কিছু অসুবিধে নেই। বেশি দুষ্টুমি কোরো না। যাতে কারো ক্ষতি হয়, এমন কাজ কোরো না, স্কুলে একটা শৃঙ্খলা রাখতে হবে, তাই দাদামণিরা বকেন। তার জন্য মনখারাপ কোরো না। দাদামণিরা তোমাদের ভালওবাসেন। শুধু খেয়াল রেখো, বেশি দুষ্টুমি কোরো না। ৪) তুমি তো এখন বড় হয়ে গেছ। এখন বাবা-মায়ের জন্য এত মন কেমন করে কেন? মন খারাপ লাগলে নিজেকে বোলো যে, স্কুলে কত বন্ধু আছে, কত লেখাপড়া শিখছ, কত কী জানতে পারছ। এটার জন্য তো বাবা-মাকে ছেড়ে আসতেই হবে। আর ছুটির পর তো আবার মায়ের কাছে ফিরে যাবে। বড় হওয়ার জন্য, বিদ্যা-শিক্ষার জন্য এটুকু কষ্ট করতে হবে। তাতে বাবা-মাও খুশি হবেন।

শীতকালে আমার খুব ঠোঁট ফাটে। আমার এক বন্ধুর পরামর্শে বোরোলিন খুব গরম করে ঠোঁট ও ঠোঁটের চার পাশে লাগাবার পর, ফাটা তো কমেইনি বরং ঠোঁট ও ঠোঁটের চার পাশ পুড়ে কালো হয়ে গেছে। এখন সবাই আমাকে ‘মুখপোড়া বাঁদর’ বলে খ্যাপায়। কী করব?

ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগী। সপ্তম শ্রেণি, রামকৃষ্ণ মিশন বালকাশ্রম, রহড়া

ভাস্কর, তোমার এই দাগ কিছু দিন পরে মিলিয়ে যাবে। একটু হয়তো সময় লাগবে। বাবা-মাকে বলে কোনও ত্বক-বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে তাঁর পরামর্শ মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করো। ঠিক হয়ে যাবে। আর লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজ করতে থাকো। ওদের কথা বলা আপনিই বন্ধ হয়ে যাবে।

খামে ভরো মুশকিল

পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের। চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:

ইসকুলে মুশকিল,

রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,

কলকাতা ৭০০০০১

pushpa mishra school
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy