চড়ুইয়ের অভিমান
আমাদের পাশের বাড়ির দেওয়ালের মোটা মোটা পাইপের সংযোগস্থলে চড়ুইয়ের বাসা অনেক দিনের। বাসাটি ঝুলন্ত বারান্দার নীচে বলে ঝড়-বৃষ্টিতে ওরা আরামেই থাকত। আমার পড়ার ঘরের জানলা দিয়ে প্রতি দিনই ওদের লক্ষ করতাম, ওরা দলে চার জন ছিল। আমি প্রতি দিন সকালে-বিকালে পড়ার ঘরের জানলার বাইরে সিমেন্টের মেঝেতে দালিয়া ছিটিয়ে দিতাম ওরা এসে খুঁটে খুঁটে খেত আবার ফুড়ুৎ করে উড়ে যেত।
কয়েক দিন বাড়িতে ছিলাম না, এসে দেখি পাশের বাড়ি রং হয়েছে আর বাসাটা নেই দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমি প্রতিদিনের মতো সে দিনও দালিয়া ছিটিয়ে দিলাম ওরা এসে খেয়ে আবার ফুড়ুৎ। ওরা যেখানে দালিয়া খায় তার পাশে আমি অনেক ছোট ছোট কাঠ-কুটো রাখলাম, যাতে ওরা আবার বাসা বানায় আগের জায়গাতেই। কিন্তু অবাক হলাম যে, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ওরা চার জন কাঠ-কুটোগুলো মুখে নিয়ে গিয়ে আমাদের ঘরের দেওয়ালের পাইপের ফাঁকে বাসা বাঁধল। যেখানে বাসা বাঁধল সেটা আমাদের জানলার নীচে। ওদের বুদ্ধি ও অভিমান দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। ওরা চার জন এখন আমাদের বাড়িতে সুখে শান্তিতে আছে।
অর্ণব চোংদার। ষষ্ঠ শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়
মা ও ছানা কাঠবেড়ালি
আমাদের বাড়ির সামনের বড় বাগানটাতে দুটো শালগাছ আছে। মাঝে মাঝেই দেখতে পাই দু’একটা কাঠবিড়ালি গাছে উঠছে এবং নিমেষের মধ্যেই সুড়ুৎ করে গাছ থেকে নেমে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। এক দিন পড়ার ফাঁকে জানলা দিয়ে তাকাতেই দেখতে পেলাম একটা কাঠবেড়ালি তার সামনের দু’খানি পা দিয়ে ধরে একটা চিনেবাদাম কুট কুট করে খাচ্ছে, দেখতে ভারী মজা লাগছিল। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই দেখি একটা ছানা কাঠবেড়ালি তার কাছে আসতেই সে তার অর্ধেক খাওয়া চিনেবাদামটা তাকে দিল এবং সেও মনের সুখে তা খেতে লাগল।
মৈনাক আদিত্য। তৃতীয় শ্রেণি, এ বি এল স্কুল
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের।
খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১