ভয় পেয়ো না, বন্ধু
জানালার পাশেই খাট। আর ও পাশে ছোট্ট বাগান। পাতার খসখসানি আওয়াজে পরদাটা একটু ফাঁক করে দেখি একপাল হনুমান এসেছে। দুপুরবেলা শীতের রোদে ওদের মায়েরা মনে হয় পার্কে বেড়াতে নিয়ে এসেছে। একটা ছোট্ট ছানাকে কোলে নিয়ে ওর মা সামনের টগর গাছটার নিচু ডালে বসে কান খুটে দিচ্ছিল। ও পাশে মা হনুমানরা তাদের বাচ্চাগুলোকে ছেড়ে দিয়েছে তারা বাগানে রঙ্গন গাছের সারির দু’পাশে লম্বা জায়গা ধরে এ-পাশ থেকে ও-পাশে ছুটছে। অনেক ক্ষণ চুপ করে দেখছিলাম আর থাকতে না পেরে পরদা সরিয়ে জানালার উপর উঠে হাততালি দিয়ে যেই হেসে উঠেছি।
অমনি টগর গাছে মায়ের কোলে থাকা ছানাটা টলমল পায়ে আমার দিকে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে দেখে আমিও জানলার দিকে একটু এগিয়ে আসি। আর এটা দেখেই ওর মা ছানাটিকে দু’হাত দিয়ে কোলে টেনে নিল। আর অন্য বাচ্চাগুলোও ছুট্টে ওদের মায়েদের কাছে চলে গেল। কিন্তু আমি কী করেছি যে, ওরা ভয় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল? আমি তো শুধু ওদের বন্ধু হতে চেয়েছিলাম।
স্বস্তিক চক্রবর্তী। ষষ্ঠ শ্রেণি, ফিউচার ক্যাম্পাস স্কুল, সোনারপুর
টার্কির মিষ্টি দুষ্টুমি
বাবা দশটা টার্কির বাচ্চা কিনে এনেছিলেন। ওরা তখন খুবই ছোট ছিল। তাই তাদের তখন একটা বাস্কেটের ভেতর রেখেছিলাম। এখন আর ওরা বাস্কেটের মধ্যে থাকতে চায় না। কারণ, ওরা বড় হয়েছে। ওদের এখন ছাদে খাঁচার ভেতর রেখে দিই। ওরা খুব দুষ্টুমি করে।
ওরা একটু সুযোগ পেলেই বাইরে বেরিয়ে আসে, আর দৌড়াদৌড়ি করে। এক দিন আমার বাবা ছাদে ছেড়ে দিয়েছিল, তখন দেখি একটা টার্কি মুখে করে একটা পিঁপড়েকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই দেখে আর একটা টার্কি তার মুখ থেকে সেই পিঁপড়েটা নিয়ে নেয়। তার পর দু’জন দু’জনকে তাড়া করতে থাকে। ওদের এই মিষ্টি দুষ্টুমিটা দেখতে আমার খুব ভাল লাগছিল।
দেবাঞ্জলী মুখোপাধ্যায়। ষষ্ঠ শ্রেণি,
কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বনগাঁ
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের।
খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১