প্রতীকী ছবি।
টিকাকরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে আগামী ১ মার্চ থেকে। ষাটোর্ধ্ব এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন পঁয়তাল্লিশ বছরের বেশি বয়সিদের এই পর্বে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, দেশে ১০ হাজার সরকারি হাসপাতালে এবং ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল এই পর্বের টিকাকরণ কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত থাকবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বুধবার জানিয়েছেন, সরকার পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে। এই পর্বে ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর উপদেষ্টা সুনীতা গর্গ জানিয়েছেন, “আমজনতার ক্ষেত্রে কাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সেটা আগে ঠিক করতে হবে। কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তি যাঁদের বয়স ৪৫ এবং যাঁদের বয়স ৬০-এর বেশি তাঁদের আগে টিকা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, তাঁদের মধ্যে যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে (ক্রনিক) ব্যধিতে আক্রান্ত টিকার ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, যাঁরা ডায়াবিটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার এবং দীর্ঘ দিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন তাঁদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই পর্বে টিকাকরণের ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলোর বড় ভূমিকা থাকবে বলেও জানিয়েছেন সুনীতা।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে। প্রথম পর্বের এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত নথিভুক্ত প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের প্রায় ৪২ শতাংশ টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য ৬০ শতাংশেরও বেশি করোনা যোদ্ধাদের টিকা দিয়েছে। তবে অনেক রাজ্য এই কর্মসূচিতে এখনও বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
২৩ ফেব্রুয়ারি অবধি ১ কোটি ২০ লক্ষ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ লক্ষ ৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৪১ লক্ষ ১ হাজার প্রথম সারির অন্য করোনা যোদ্ধা এখনও অবধি টিকা পেয়েছেন। প্রথম সারির যোদ্ধাদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করার জন্য মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব-সহ এ রকম ৫টি রাজ্যকে মঙ্গলবার চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy