গরমে ডাল-ভাতের সঙ্গে ঝিঙে পোস্ত খাওয়া আরামদায়ক মনে হতে পারে। কিন্তু ঝিঙে দিয়ে সব সময় একইরকমের রান্না করবেন কেন? ঝিঙে যতই পেট ঠান্ডা করার খাবার হিসাবে জনপ্রিয় হোক, চাইলে ওই ঝিঙেও হতে পারে মুখরোচক। এমনকি, তা দিয়ে কেতাদুরস্ত রান্নাও করা যেতে পারে।
পুর ভরা ঝিঙে সেই রকমই এক রান্না। বাদামের পুর দিয়ে ঝিঙের এই রান্নাটি এতটাই সুস্বাদু এবং দেখতে ভাল যে, অনুষ্ঠানের পাতেও সাজিয়ে দেওয়া যায়।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
৩টি ঝিঙে
১/২ চামচ জিরে
১ চামচ মৌরি
১ চামচ গোটা ধনে
২টি শুকনো লঙ্কা
১/২ কাপ চিনেবাদাম
১/৪ চা চামচ হলুদ
১/২ চা চামচ চাট মশলা
১ চা চামচ লেবুর রস
৩-৪ টেবিল চামচ তেল
প্রণালী:
ঝিঙে খোসা ছাড়িয়ে দেড় আঙুল মাপে টুকরো করে কেটে নিতে হবে। তার পরে চামচ বা ছুরি দিয়ে ভিতরের শাঁস বের করে নিতে হবে। সেই শাঁস ছুরি দিয়ে মিহি করে কুচিয়ে নিতে হবে। জিরে, মৌরি, গোটা ধনে এবং শুকনো লঙ্কা এবং চিনেবাদাম একটি শুকনো তাওয়ায় মাঝারি আঁচে নেড়ে নিয়ে ঠান্ডা করে মিক্সিতে গুঁড়িয়ে নিন। এ বার তাতে নুন, হলুদ, সামান্য চাট মশলা, লেবুর রস এবং সর্ষের তেল দিয়ে মেখে নিতে হবে।
এ বার কড়াইতে তেল দিয়ে কুচোনো শাঁস দিয়ে ভাজুন। জল বেরিয়ে শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তার পরে তার সঙ্গে বাদামের মশলাটি মিশিয়ে তৈরি করুন পুর। ওই পুর ভরতে হবে শাঁস বার করে নেওয়া ঝিঙের ভিতরে।
তার পরে কড়াইয়ে তেল দিয়ে চড়া আঁচে পুর ভরা ঝিঙে ভাজুন। ঝিঙের গায়ে বাদামি রং ধরলে তুলে নিন।
এর সঙ্গে পছন্দ মতো টম্যাটো-আদা-জিরের গ্রেভি বা যে কোনও পছন্দসই গ্রেভি বানিয়ে খেতে পারেন। বা শুকনো ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন।