খেতে ভালবাসলেও অফিসের তাড়ায় এঁচোড় রান্না এখনকার হেঁশেলে কমই হয়। ছবি: শুভেন্দু চাকী
নববর্ষের দিন বন্ধুদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছেন। আপনি ভাল রান্না জানেন বলে তাঁদের আবদার এমন কিছু করে খাওয়াতে হবে, যা আগে কখনও তাঁরা চেখে দেখেননি। মাছ-মাংসের পদ না হয় অনেক হল। কিন্তু নিরামিষ পদে কী রাখবেন ভেবেই নাজেহাল?
রোজের রান্নায় থোড়, মোচা, এঁচোড়ের চল কম। খেতে ভালবাসলেও অফিসের তাড়ায় সেই সব রান্না এখনকার হেঁশেলে কমই হয়। তবে বর্ষবরণের দিনে একটু ‘স্পেশাল’ রান্না না হলে কী জমে? শনিবারের ভূরিভোজ জমে উঠুক চাল-এঁচোড়ের ঘণ্ট দিয়ে। রইল রেসিপির হদিস।
উপকরণ:
এঁচোড়: ৫০০ গ্রাম
গোবিন্দভোগ চাল: ৪ টেবিল চামচ
আলু: ১টি (ডুমো করে কাটা)
টক দই: ৪ টেবিল চামচ
টম্যাটো কুচি: আধ কাপ
গোটা কাঁচা লঙ্কা: ৫-৬টি
হলুদ: আধ টেবিল চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: আধ টেবিল চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
আদা বাটা: ২ টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো: ৩ টেবিল চামচ,
গোটা জিরে: আধ টেবিল চামচ
গোটা গরমমশলা: ১ চা চামচ
তেজপাতা: ২টি
ঘি: ৫ টেবিল চামচ,
দুধ: ৩ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
নুন ও চিনি: স্বাদ মতো
প্রণালী:
এঁচোড় ডুমো ডুমো করে নুন ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। আলু ছোট ছোট করে কেটে তেলে লালচে করে ভেজে তুলে রাখুন। এ বার কড়াইয়ে ঘি গরম করে গোবিন্দভোগ চাল ভেজে তুলে রাখুন। ওখানেই আর একটু ঘি দিয়ে তাতে গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, জিরে ফোড়ন দিয়ে মিনিট খানেক নাড়াচাড়া করুন। এ বার কড়াইতে আদা বাটা, টম্যাটো কুচি, জিরে গুঁড়ো, নুন, হলুদ গুঁড়ো, চিনি, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, দই দিয়ে ভাল করে কষতে থাকুন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে এঁচোড় ও আলু দিয়ে দিন। আবার কষিয়ে নিন। এর পর কড়াতে দুধ, পরিমাণ মতো জল এবং চাল দিয়ে ঢাকা দিন। চাল সিদ্ধ হয়ে গেলে উপর থেকে ঘি ও গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy