ছবি: সংগৃহীত।
নিরামিষ খিচুড়ি কিংবা পরোটার সঙ্গে একটু আচার হলে মন্দ হয় না। আবার সাধারণ ডাল-ভাতের সঙ্গেও আচার যোগ করলে তার স্বাদ অন্য রকম হয়ে যায়। যখন যেটা বেশি পাওয়া যায়, সেই মরসুমে তা দিয়ে আচার বানিয়ে রাখা রেওয়াজ রয়েছে অনেক বাড়িতেই। তবে, আচার দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করে রাখতে গেলে একটু যত্নআত্তি করতে হয়। আগে ঠাকুমা-দিদিমারা নিয়ম করে আচারের বয়াম রোদে দিতেন। আবার, ঠান্ডা হলে শিশির মুখ বন্ধ করে তুলেও রাখতেন। এখন এত ঝক্কি পোহানোর সময়ও নেই। তবে সেই সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব, যদি কয়েকটি কৌশল মেনে চলা যায়।
১) বর্ষায় আচার ভর্তি বয়ামের ঢাকনাটা মাঝেমাঝেই খুলে রোদে দিন। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় আচার সারা ক্ষণ বয়ামবন্দি করে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আচার খারাপও হয়ে যেতে পারে। অবশ্য এই মরসুমে রোদের দেখা পাওয়া মুশকিল। তবে রোদ উঠবে মনে করে আচারের বয়ামটি বারান্দায় রাখতে ভুলবেন না।
২) আচার ভাল রাখার জন্য তাতে বেশি করে তেল ব্যবহার করুন। আচারের উপর তেলের আস্তরণ যেন থাকে। তেল আচারে বাতাস ঢুকতে বাধা দেয়। এতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাক্টেরিয়া টিকতে পারে না।
৩) আচার ভাল রাখতে ব্যবহার করতে পারেন ভিনিগার। তবে পরিমাণ মতো নুনও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই দু’টিই আচারের স্বাদ এবং গন্ধ নষ্ট হতে দেয় না। নুন হোক কিংবা ভিনিগার, অল্প পরিমাণে আচারের উপর ছড়িয়ে দিলে ভাল থাকবে দীর্ঘ দিন।
৪) আচার কি প্লাস্টিকের পাত্রে রেখেছেন? তা হলে এখনই বদলে কাচের বয়ামে রাখুন আচার। প্লাস্টিকের পাত্রে রাখলে বর্ষায় আচার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাচের পাত্রে ঢেলে রাখার আগে বয়ামটি ভাল করে ফুটন্ত গরম জলে ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে নিন।
৫) আচারের কৌটো ফ্রিজে রাখতে পারেন। তবে খাওয়ার সময় বার করলেও বেশি ক্ষণ বাইরে ফেলে রাখবেন না। তাতে আবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়ায় রাখলে নানা ব্যাক্টিরিয়া বাসা বাঁধতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy