৫ টোটকা মানলেই মুচমুচে হবে ভাজাভুজি? ছবি: শাটারস্টক
রান্নার প্রতি সদ্য ঝোঁক বেড়েছে। ইদানীং নেট ঘেঁটে বিরিয়ানি থেকে চিলি চিকেন সবটাই বানিয়ে ফেলছেন। প্রশংসাও পাচ্ছেন প্রিয়জনের থেকে। তবে ভাজাভুজির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক জমছে না। চালের গুঁড়ো থেকে শুরু করে কর্নফ্লাওয়ার, সবই ব্যবহার করছেন অথচ কিছুতেই কুড়মুড়ে হচ্ছে না ভাজাভুজি।
চিকেন পকোড়া হোক ফিশ ফ্রাই, কায়দা না জানলে দোকানের মতো কুড়মুড়ে ভাব আসা মুশকিল! ভাজার সময় মুচমুচে থাকলেও কিছু ক্ষণ পরে নরম হয়ে যায় ভাজাভুজি। রান্নার সময় কয়েকটি টোটকা মানলেই ভাজাভুজি কুড়মুড়ে হয়, রইল তার হদিস।
১) বিভিন্ন তেলের ধূমাঙ্ক (স্মোকিং পয়েন্ট) বিভিন্ন হয়। ভাজাভুজি কুড়মুড়ে করতে হলে তেল ভাল করে গরম করতে হবে। সাদা তেল, যেমন বাদাম তেল বা সূর্যমুখী তেলের ধূমাঙ্ক বেশি। তাই ওই তেলে কিছু ভাজলে তা বেশি কুড়মুড়ে হয়।
২) বাড়িতে শত চেষ্টা করেও দোকানের মতো কুড়কুড়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হয় না। আলুতে স্টার্চ থাকে আর ভাজার আগে সেই স্টার্চ আলুর গায়ে লেগে থাকলে ভাজার সময় কুড়মুড়ে হয় না। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করার সময় আলুগুলি নির্দিষ্ট মাপে কেটে ঠান্ডা বরফ জলে আধ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। তার পর জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন। তবেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মুচমুচে হবে।
৩) কিছু ভাজার সময়ে তেল সঠিক মাত্রায় গরম না হলে মুশকিল। ঠান্ডা তেলে কখনওই পকোড়া বা কাটলেট দিলে তা কুড়মুড়ে হবে না। অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে আবার সেগুলি পুড়ে যাবে। তাই তেল ভাল করে গরম করে নিয়ে যখন ধোঁয়া উঠতে শুরু করবে, তখন গ্যাসের আঁচ খানিকটা কমিয়ে নিয়ে ভেজে ফেলুন পছন্দের স্ন্যাকস।
৪) খুব বেশি জিনিস একসঙ্গে তেলে ছেড়ে দিলে তা কখনওই মুচমুচে হবে না। তাই যে পাত্রে ভাজছেন, তার আকার বুঝে অল্প অল্প করেই ভাজা শ্রেয়।
৫) হাতে একটু সময় থাকলে ডবল ফ্রায়িং পন্থা বেশ ভাল! এ ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও ভাজাভুজি তেলে ছেড়ে আধভাজা করে তুলে রাখুন। খাওয়ার আগে ফের আর এক বার তেলে দিয়ে ভেজে নিন। এতে কুড়মুড়ে হবে আপনার স্ন্যাকস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy