সেপ্টেম্বর মাসে ৭৫ বছর পূর্ণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শত ব্যস্ততার মধ্যেও শরীর ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে কখনওই আপস করেন না প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে দেশবাসীকে বরাবর স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য উৎসাহিত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে যাঁরা খুব কাছ থেকে দেখেন, তাঁরা স্বীকার করেন যে, মোদীর মতো কর্মঠ এবং কর্মব্যস্ত মানুষ খুব কমই দেখা যায়। শুধু তা-ই নয়, মোদীর ঘনিষ্ঠেরা এ-ও বলেন যে, যতই কাজের চাপ থাকুক না-কেন, সকালে শরীরচর্চার জন্য অন্তত ঘণ্টাখানেক সময় ঠিকই বার করে নেন তিনি। এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট ডায়েটও মেনে চলেন। সঙ্গে চলে যোগাভ্যাসও।
খাওয়াদাওয়া নিয়ে খুব বেশি খুঁতখুঁতে নন মোদী। সাত্ত্বিক ভোজন করতেই তিনি পছন্দ করেন। প্রাতরাশেও খুব বেশি বিদেশি ছোঁয়া না-পসন্দ তাঁর, জলখাবারে উপমা, ধোকলার মতো হালকা খাবার খান তিনি। বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে মোদী তাঁর প্রিয় আর একটি প্রাতরাশের কথা বলেছেন। বিশেষ এক ধরনের পরোটা সপ্তাহে দু’ থেকে তিন বার খান মোদী। সজনে ডাঁটা দিয়ে তৈরি পরোটা মোদীর বেশ প্রিয়। সজনে ডাঁটা দিয়ে তৈরি এই পরোটা নাকি তাঁকে আলাদা করে শক্তি জোগায়। ভিতর থেকে চনমনে থাকতে সাহায্য করে। মাঝেমাঝেই টানা বিদেশ সফরে যান তিনি। তখন নিজেকে সুস্থ রাখতে সেখানেও তিনি নাকি ভরসা রাখেন এই পরোটায়।
সজনে ডাঁটায় রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো স্বাস্থ্যকর বিবিধ উপাদান। এই ডাঁটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করতে সজনে ডাঁটা ভিতর থেকে শক্তি জোগায়। সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। প্রধানমন্ত্রীর মতো ফিট থাকতে চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন এই পরোটা। কী ভাবে বানাবেন?
সজনে ডাঁটা সেদ্ধ করে নিয়ে তা ভাল করে চটকে শাঁস বার করে নিন। সেদ্ধ করা জল ফেলে দেবেন না। এ বার একটি বড় পাত্রে গমের আটা নিয়ে তাতে এক এক করে সজনের শাঁস, হলুদগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, গোটা ধনে, জোয়ান, কাঁচালঙ্কাকুচি, ধনেপাতাকুচি, নুন, আমচুরগুঁড়ো দিয়ে দিন। এ বার সজনে সেদ্ধ করা জল দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। তার পর আধ ঘণ্টা পর সেই মণ্ড থেকে লেচি কেটে পরোটার আকারে বেলে অল্প ঘিয়ে সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সজনে পরোটা।
বাজারে সব সময় সজনে ডাঁটা পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে ইচ্ছে করলে সজনে শাক কিংবা সজনে গুঁড়ো (মোরিঙ্গা পাউডার) দিয়েও পরোটা বানিয়ে ফেলতে পারেন।