চটজলদি আমিষ বললে ডিমের কথাই সবার আগে মনে পড়ে। রাতে যাঁরা রুটি কিংবা পরোটা খেতে ভালবাসেন, তাঁরা সচরাচর রুটির সঙ্গে মাছ খান না। ফলে পাশ-পাতে আমিষ খাবার হিসাবে বিকল্প থাকে দু’টি— মাংস অথবা ডিম। এর মধ্যে গরমের দিনে হালকা অথচ সুস্বাদু খাবার বানাতে চাইলে নৈশভোজের মেনুতে রাখতে মরিচ ডিম। এতে অতিরিক্ত তেল মশলা পড়ে না। বানানোর তেমন ঝক্কি নেই। মিনিট কুড়ির মধ্যেই গোটা রান্না হয়ে যেতে পারে সব গোছানো থাকলে। শিখে নিন কী ভাবে বানাবেন।

উপকরণ:
৪টে ডিম সেদ্ধ
২টি পেঁয়াজ
১ গাঁট আদা
৩টি ছোট এলাচ
১টি বড় এলাচ
২টি লবঙ্গ
৭-৮টি কাজুবাদাম জলে ভেজানো
৩টি কাঁচালঙ্কা
১টি তেজপাতা
৫-৬টি কারিপাতা
১ চা চামচ গোটা গোলমরিচ
২ চা চামচ থেঁতো করা গোলমরিচ
২ টেবিল চামচ সাদা তেল
২ টেবিল চামচ টক দই
আধ চা চামচ গরমমশলা
স্বাদমতো নুন
এবং সামান্য চিনি

প্রণালী:
সেদ্ধ করা ডিম ছুরি দিয়ে হালকা চিরে দিয়ে নুন আর ১ চা চামচ থেঁতো করা গোলমরিচ মাখিয়ে রেখে দিন মিনিট দশেক। এ বার একটি মিক্সির জারে দেড়খানা পেঁয়াজ, ভেজানো কাজু, আদা, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, লবঙ্গ, কাঁচালঙ্কা দিয়ে সামান্য জল দিয়ে ভাল ভাবে বেটে নিন। বাকি অর্ধেক পেঁয়াজ সরু সরু করে কেটে রাখুন।
প্যানে তেল গরম করে প্রথমে ম্যারিনেট করা ডিম মাঝারি আঁচে ভেজে তুলে নিন। তার পরে বাকি তেলে দিন তেজপাতা, কারিপাতা এবং গোটা গোলমরিচ ফোড়ন। সুগন্ধ বেরোলে ওর মধ্যে দিয়ে দিন পেঁয়াজ মশলা বাটা। মশলার কাঁচা গন্ধ চলে গিয়ে তেল ছেড়ে এলে ভাজা ডিম দিয়ে কষান। আধ চা চামচ থেঁতো করা গোলমরিচ দিয়ে দই ভাল ভাবে ফেটিয়ে নিয়ে আঁচ কমিয়ে প্যানে দিয়ে ভাল ভাবে নাড়তে থাকুন। যাতে দই ফেটে না যায়।
মশলা ভাল ভাবে কষানো হয়ে গেলে প্রয়োজনমতো নুন দিয়ে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিন। হালকা নাড়াচাড়া করে ২-৩ টেবিল চামচ জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন পাঁচ মিনিট। একেবারে শেষে অল্প কয়েক দানা চিনি, বাকি আধ চা চামচ থেঁতো করা গোলমরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে উপরে গরমমশলা ছড়িয়ে আঁচ বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে রাখুন আরও পাঁচ মিনিট।
রুটি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।