যখন-তখন ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি। নাকে আসছে সোঁদা মাটির গন্ধ। অসহনীয় গরমের পর এ যেন এক টুকরো স্বস্তি। বৃষ্টি মানেই বাঙালির মনে উঁকি মারে খিচুড়ি। বাইরে অঝোর ধারায় বর্ষণ, ঠান্ডা হাওয়া আর গরম ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ির মেলবন্ধন যেন স্বর্গসুখ এনে দেয় ভোজনরসিক বাঙালির মনে। খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ ভাজার যুগলবন্দি পেলে আর কী বা চাই! তবে বাজারে এখন ভাল ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া। তাই বলে খিচুড়ির সঙ্গে ভাজাভুজি না থাকলে কী চলে? বর্ষার মরসুমে খিচুড়ির সঙ্গে বানিয়ে ফেলুন মুখরোচক তিন পদ। জেনে নিন জিভে জল আনা সেই সব ভাজাভুজির সহজ রেসিপি।
মৌরলা মাছের পেঁয়াজি
প্রথমে খুব ভাল করে মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এ বার একটি পাত্রে মাছগুলি নিয়ে তার সঙ্গে একে একে লঙ্কার গুঁড়ো, আদা-পেঁয়াজের রস, কাসুন্দি, লেবুর রস এবং নুন দিয়ে মাখিয়ে নিন। মশলা মাখানো মাছ ঘণ্টাখানেক মতো ফ্রিজে রেখে দিন। এ বার পেঁয়াজ লম্বা লম্বা করে কুচিয়ে নিন। আলাদা একটি পাত্রে কর্নফ্লাওয়ার, চালের গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কাকুচি এবং পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এর পর ম্যারিনেট করে রাখা মাছগুলি পেঁয়াজের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজন হলে সামান্য জল দিতে পারেন। এ বার পেঁয়াজির আকারে গড়ে নিয়ে ডুবো তেলে কড়া করে ভেজে ফেলুন। খিচুড়ির সঙ্গে জমে যাবে মৌরলা মাছের এই পদটি।
আলুর খোসার বড়া
খিচুড়ির সঙ্গে পাতে যদি থাকে আলুর খোসার বড়া, তা হলে তো কথাই নেই। একান্তই সহজে বানিয়ে নেওয়া যায় এই পদ। একটু মোটা করে আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। এ বার ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে খোসাগুলি বেটে নিন (খুব মিহি যেন না হয়)। তার পর কালোজিরে, জোয়ান, শুকনো লঙ্কার কুচি, ধনেপাতাকুচি, বেসন, চালের গুঁড়ো, নুন আর পেঁয়াজকুচি মিশিয়ে নিন। সমস্ত উপকরণ খুব ভাল করে মেখে নিয়ে কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে মিশ্রণটিকে চ্যাপ্টা চ্যাপ্টা আকারে বড়া তৈরি করে অল্প আঁচে লাল লাল করে ভেজে নিন।
লইট্যা ফ্রাই
লটে মাছগুলি ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। নুন, কাঁচালঙ্কা বাটা, মরিচগুঁড়ো, রসুন বাটা দিয়ে মাছগুলি ম্যারিনেট করে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। এ বার ডিম, কর্নফ্লাওয়ার, বেকিং পাউডার, কাঁচালঙ্কা বাটা, ধনেপাতা বাটা আর নুন দিয়ে একটা সবুজ ব্যাটার তৈরি করে তার মধ্যে ম্যারিনেট করে রাখা মাছের টুকরোগুলি ডুবিয়ে ভেজে নিতে হবে। খিচুড়ির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।