কুজি পানিয়ারাম।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি, ডিম ভাজা, পেঁয়াজি, এ সব তো খেয়েই থাকে বাঙালি। বলা ভাল, এ সব রান্না না হলে মন ভরে না। কিছু করা না হয়ে উঠলে অন্তত পাঁপড় ভাজা তো চাই-ই। কিন্তু বর্ষার আনন্দের ছাপ কি শুধু বাঙালি হেঁশেলেই পড়ে?
তা কিন্তু একেবারেই নয়। নানা প্রদেশে রকমারি রান্না হয় এ সময়ে। বৃষ্টি পড়লেই কোথাও পকোড়া ভাজা হয়, তো কোথাও তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী দিয়ে গরম গরম স্যুপ।
বর্ষার দিনে সাধারণত সকলেই একটু মশলাদার ঝালঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন। ফলে ভাজা হোক বা স্ট্যু জাতীয় কিছু, সবেতেই একটু ঝাল-মশলা দেওয়ার চল। বিভিন্ন প্রদেশের লোকেই গরমের হালকা খাবার ছেড়ে একটু মুখরোচক কিছু খেতে চান। ছত্তীসগঢ়ের মানুষজন যেমন বানান টক-ঝাল দেওয়া স্ট্যু, নাম ‘গোন্দি করিল’। মহারাষ্ট্রে আবার বানানো হয় বোম্বিল মাছের ঝাল।
এমনই কয়েকটি প্রদেশের খাবার দিব্যি বানিয়ে নিতে পারেন কোনও এক বৃষ্টির দিনে। রইল হদিস।
পারিপ্পু বড়া।
১) পারিপ্পু বড়া: কেরলের এই মুচমুচে বড়া তৈরি হয় মটর ডাল দিয়ে। মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে মেশানো হয় আরও কোনও একটি ডাল। তার সঙ্গে থাকে আদা, পেঁয়াজ কুচি আর লঙ্কা। সঙ্গে ইচ্ছা মতো মশলা।
২) কুজি পানিয়ারাম: তামিলনাড়ুর খাবার। বৃষ্টি পড়লেই চাল বাটা আর ডাল বাটা মিশিয়ে রেখে দেওয়া হয়। খানিকটা ফেঁপে উঠলে তা দিয়ে বানানো হয় এই বড়ার মতো খাবার। অনেকে কুজি পানিয়ারমাকে আবার পাড্ডুও বলেন। দোসার মতোই লোহার তাওয়ায় ভাজা হয়। খাওয়া হয় মশলাদার চাটনির সঙ্গে।
৩) চারোলিয়া: জম্মুতে বানানো হয় এই খাবার। বর্ষা উলক্ষে তৈরি হয় জালের মতো দেখতে রুটি। বেশি জল দিয়ে ময়দা গুলে ছেড়ে দেওয়া হয় তাওয়ায়। অনেকটা বাঙালিদের গোলা রুটির মতো। কিন্তু জিলিপির মতো প্যাঁচ থাকে। তাই বলে দেখতে ঠিক সাধারণ রুটির মতো নয়। জিলিপির মতো আকার আনার জন্য একটি বিশেষ মাটির পাত্রে ভরা হয় ময়দা গোলা। সেই পাত্রে অনেকগুলি ফুটো থাকে। একসঙ্গে সব ক’টি দিয়ে তাওয়ায় তা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঢালা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy