কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত তো আমি শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাতেই ইন্ডিয়ার একটা ম্যাচ ছাড়িনি তো সেমিফাইনাল বাদ যাবে কেন! কোনও হোটেল বা ক্লাবে না, বাড়িতেই চূর্ণী আর উজানের সঙ্গে বসে দেখব। আসলে বাড়িতে যে ভাবে উত্তেজিত হয়ে খেলা দেখি, সেটা তো আর অন্য জায়গায় হবে না। কোথায় ম্যাচ দেখতে দেখতে কোনও প্লেয়ারকে হয়তো গালাগালি দিয়ে ফেললাম আর সে কথাটা কেউ তুলে দিল সেই প্লেয়ারের কানে— সেটা চাই না। তাই বাড়িতেই খাবারদাবার সাজিয়ে নিয়ে বসে যাব। কোন স্পেশাল ডিশ থাকবে, সেটা এখনও ঠিক করিনি। কিন্তু ম্যাচের আগেই ওটা ফাইনাল করে ফেলব।
আগে এই সব ম্যাচে ভারতকে জেতাতে অনেক তুকতাক করেছি। কোনও ম্যাচে সোফায় পা তুলে রেখেছি... কখনও চায়ের কাপ থেকে চামচ তুলিনি— বছর কয়েক হল সে সব আর করি না। যা হওয়ার হবে। শুধু নিজের নার্ভকে শান্ত রাখতে একটা টোটকা ব্যবহার করি। মনে মনে ভেবে নেই ইন্ডিয়া হেরে গিয়েছে। এর থেকে তো খারাপ আর কিছু হতে পারে না। এ ভাবে ভাবলে চাপটা বেশ কমে। তবে এ বারে ভয় কম। অস্ট্রেলিয়াকে যতই চ্যাম্পিয়নের মতো দেখাক না কেন, চ্যাম্পিয়নের মতো খেলাটা কিন্তু ইন্ডিয়াই খেলছে। সেমিফাইনালেও যেন সেটাই হয়। ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা নেই, ওটা কেউ না কেউ প্রতি দিন সামলে দিচ্ছে। শুধু বোলাররা যেন একটু ভাল করে বলটা করে। বিরাটের উপর আমার বিরাট ভরসা। অনুষ্কাও তো এখন বক্সঅফিসে ভাল ইনিংস খেলছে, মনে হয় না বিরাটও কম যাবে। অস্ট্রেলিয়াকে ধসিয়ে ভারতই ফাইনালে যাবে। আর কাপটাও নিয়ে আসবে— এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy