Advertisement
E-Paper

ভারতে বিজ্ঞান প্রচারের জন্ম কলকাতায়

বাঙালি ও বাংলার প্রতি কুর্নিশ জানাতে বিজ্ঞান প্রসার-এর কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রকের আর্থিক সাহায্যপুষ্ট কিন্তু স্বশাসিত ওই সংস্থাটি স্থির করেছে, ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় বিজ্ঞান প্রচার ও প্রসার আন্দোলনকে তুলে ধরবে।

পথিক গুহ

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১৬
বিজ্ঞান গবেষণা শুধু নয়, প্রচারের ক্ষেত্রেও বাঙালির ভূমিকা প্রশংসিত হল বারবার। নিজস্ব চিত্র।

বিজ্ঞান গবেষণা শুধু নয়, প্রচারের ক্ষেত্রেও বাঙালির ভূমিকা প্রশংসিত হল বারবার। নিজস্ব চিত্র।

বিজ্ঞান গবেষণা শুধু নয়, প্রচারের ক্ষেত্রেও বাঙালির ভূমিকা প্রশংসিত হল বারবার। উঠে এল আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও মেঘনাদ সাহাদের নাম। দিল্লির বিজ্ঞান প্রসার আয়োজিত ‘সায়েন্স কমিউনিকেশন, পপুলারাইজ়েশন অ্যান্ড এক্সটেনশন ইন বেঙ্গলি: দ্য রোড আহেড’ শীর্ষক এক আলোচনা চক্রে বিজ্ঞানীরা বারবার কৃতজ্ঞতা জানালেন ওঁদের। সঙ্গে সঙ্গে কুর্নিশও জানালেন প্রাক-স্বাধীনতা যুগের ওই সব বিজ্ঞান তপস্বীদের।

বাঙালি ও বাংলার প্রতি কুর্নিশ জানাতে বিজ্ঞান প্রসার-এর কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রকের আর্থিক সাহায্যপুষ্ট কিন্তু স্বশাসিত ওই সংস্থাটি স্থির করেছে, ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় বিজ্ঞান প্রচার ও প্রসার আন্দোলনকে তুলে ধরবে। প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়েছে তিনটি ভাষা। বাংলা, মরাঠি ও তামিল। যাত্রা শুরু বাংলা দিয়ে। কলকাতায় এই উপলক্ষে সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (সিজিসিআরআই) দু’দিনব্যাপী আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী এবং বিজ্ঞান লেখকেরাও।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রসার-এর অধিকর্তা নকুল পরাশর বিজ্ঞান প্রসার ও প্রচার আন্দোলনে কলকাতার ভূয়ষী প্রশংসা করলেন। বোস ইনস্টিটিউট-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর শিবাজী রাহা তাঁর বক্তৃতায় জানালেন, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠাকালে শুধু গবেষণার কথাই বলেননি, ব্যাখা করেছিলেন গবেষণার খবরকে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারের গুরুত্বও। বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মীদের কাজটার গুরুত্ব বুঝিয়ে শিবাজী বললেন, আমাদের মনে রাখা উচিত ২০১৩ সালে প্রবর্তিত জাতীয় বিজ্ঞান নীতি অনুসারে গবেষণার খবরাখবর প্রচার কিন্তু বিজ্ঞানীদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

দিল্লির বিজ্ঞান ভারতী সংস্থার কার্যকরী সম্পাদক জয়ন্ত সহস্রবুদ্ধে বললেন, দেশে ইংরেজি কথা বুঝতে পারেন মাত্র ১০% লোক, বলতে পারেন ২%। হিন্দি মাতৃভাষা হল ৫২ কোটি লোকের। এর পরেই বাংলা, বাঙালি আছেন ৯ কোটি ৭২ লক্ষ। এতেই বোঝা যায় আঞ্চলিক ভাষায় বিজ্ঞান প্রচারের গুরুত্ব কতখানি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বোস ইনস্টিটিউটের বর্তমান ডিরেক্টর উদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সিজিসিআরআই-এর কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর বি বি ঝা, জগদীশ বোস মেধাবৃত্তি অনুসন্ধানের প্রধানা মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিমল রায়, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজ়িয়ামের প্রধান অরিজিৎ দত্ত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রকের দেবপ্রিয় দত্ত এবং ইন্ডিয়ান সায়েন্স নিউজ় অ্যাসোসিয়েশনের অমিতকৃষ্ণ দে।

সারা দিন ব্যাপী আয়োজনের আরও একটি অংশে ভাষণ দিয়ে কিঞ্চিৎ বেসুরো কথা বললেন কল্যাণীতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর অধ্যাপক সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান প্রচার অন্দোলনে অংশ নেন নিতান্ত স্ব-উদ্যোগে। এ ব্যাপারটা তাঁদের কাজের মধ্যে পড়ে না। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বিজ্ঞানীদের কাজের মূল্যায়নের মধ্যে এই বিজ্ঞান প্রচারটাকেও রাখা। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বিজ্ঞান প্রসার-এর সৌরভ সেন, রিন্টু নাথ, কিঙ্কিনি দাশগুপ্ত, অর্চিতা দত্ত, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, মনোজ চক্রবর্তী, সীতেন্দু মণ্ডল, শ্যামল চক্রবর্তী, তপন সাহা, ভূপতি চক্রবর্তী, মানস চক্রবর্তী এবং ধনঞ্জয় ঘোষাল।

Science Science Seminar Bengali Scientists
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy