চন্দ্রযান ২।
ইসরোয় উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। একই ভাবে ‘চন্দ্রযান ২’-এর অবতরণ নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-ও। ‘চন্দ্রযান ২’ সফল হলে ভারতই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরু ‘জয়’ করবে!
এর আগে চাঁদের মাটিতে সফ্ট ল্যান্ডিং করেছে রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের মহাকাশযান। সেই হিসেবে ভারত চতুর্থ স্থান পাবে। কিন্তু কোনও দেশই রহস্যাবৃত চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁতে পারেনি। ফলে ইসরোর এই যুগান্তকারী অভিযানের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন গোটা পৃথিবীর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার বিক্রম যখন উপগ্রহের মাটি ছোঁবে, নিউ ইয়র্কের ঘড়িতে তখন বিকেল ৪টে-৫টা। ওয়াশিংটনে ‘চন্দ্রযান ২’-এর অবতরণের সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় দূতবাস। নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অধীর আগ্রহে রয়েছেন তাঁরা। একটা মুহূর্তও নষ্ট করতে চান না। ‘চন্দ্রযান ২’-এর ছ’চাকার রোভার প্রজ্ঞান দক্ষিণ মেরুর যেখানে
পরীক্ষা চালাবে, সেই জায়গাটি
এত দিন অদেখাই রয়েছে। ‘জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স’-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী ব্রেট ডেনেভি বলেন, ‘‘একেবারে
নতুন একটা উপত্যকায় নামছে চন্দ্রযান ২।’’ ভারতের ১৩টি ইনস্ট্রুমেন্টের পাশাপাশি নাসার একটি ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়েও যাচ্ছে ‘চন্দ্রযান ২’। অরবিটারের ইনফ্রারেড স্পেকট্রোমিটারের ছবিগুলো নিয়েও উত্তেজিত ডেনেভি। নাসার বিজ্ঞানী ডেভ উইলিয়ামসের কথায়, ‘‘কক্ষপথ থেকে বহু ভাবে নজরদারি চালানো হয়েছে চাঁদের উপরে। কিন্তু চাঁদের মাটিতে নামার মতো আর কিছুই হয় না। অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে।’’
একটি মার্কিন দৈনিকে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরোর অন্য অভিযানগুলোর তুলনায় এটিতে খরচ একটু বেশি হয়েছে। ১৫ কোটি ডলার। কিন্তু তাতেও হলিউডের ফিল্ম ‘ইন্টারস্টেলার’-এর থেকে কম বাজেট। অন্য একটি মার্কিন সংবাদ সংস্থায় বলা হয়েছে, ‘‘মহাকাশ দখলের লড়াইয়ে ভারত যে মহাশক্তিধর, তা বুঝিয়ে দিতে চলেছে ওরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy