চাঁদের পৃষ্ঠে চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ করার কথা ২৩ অগস্ট। ছবি: ইসরো।
ঠিক ১৩ দিন পরে গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা চন্দ্রযান-৩-এর। তবে তার আগে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেই গন্তব্যের ছবি তুলে ফেলল চন্দ্রযান-৩। বৃহস্পতিবার ইসরো সেই ছবি টুইট করেছে। তবে তার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে আরও একখানি ছবি। সেটিও চন্দ্রযান-৩-এরই তোলা। তবে এখানে চাঁদ নয়, লেন্সবন্দি হয়েছে পৃথিবী। ছবিটি গত ১৪ জুলাই তোলা হয়েছিল। যখন মাটি ছেড়ে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছিল চন্দ্রযান-৩।
মাঝে কেটে গিয়েছে ২৮টি দিন। গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে রওনা হয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছিল ইসরোর চন্দ্রযান-৩। এখন সে চাঁদের কক্ষপথেও খানিকটা একই জায়গায়। তবে তফাত এই— এখন তার লক্ষ্য তার চোখের সামনে। যে চাঁদের মাটিতে আর ১৩ দিন পরেই ছুঁয়ে ফেলার কথা চন্দ্রযান-৩-এর। সেই চাঁদ এখন তার নাগালের কাছে। বলা যায়, তার মাধ্যমে এখন চাঁদের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ইসরো। যে ছবিটি তারা প্রকাশ করেছে, সেটি ৬ অগস্ট চাঁদের কক্ষে পৌঁছনোর পরের দিনই তুলেছিল চন্দ্রযান-৩। ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা গিরিখাত— এডিংটন, পিথাগোরাস, অ্যারিস্টারকাস, রমন। দেখা যাচ্ছে চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা ‘ওসিয়ানাস প্রোজেলেয়ারাম’। যাকে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ‘ঝড়ের সমুদ্র’ও বলে থাকেন। এই ‘সমুদ্র’ আসলে জলের সমুদ্র নয়। গাঢ় অন্ধকারে ঢাকা এই গিরিখাতকেই পৃথিবী থেকে চাঁদের কলঙ্ক হিসাবে দেখি আমরা।
এমন বহু সমুদ্রই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠে। যার মধ্যে অন্যতম বড় ‘ওসিয়ানাস প্রোজেলেয়ারাম’। প্রায় ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এটি। তারই ছবি তুলেছে চন্দ্রযান-৩-এ থাকা ল্যান্ডার হরাইজেন্টাল ভেলোসিটি ক্যামেরা (এলএইচভিসি)। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের ছবিটি এলএইচভি ক্যামেরায় তোলা হলেও পৃথিবীর ছবি তুলেছিল চন্দ্রযান-৩-এ থাকা ল্যান্ডার ইমেজার (এলআই) ক্যামেরা। তবে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের যে অংশের ছবি তুলেছে, সেখান অবতরণ করবে না। চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ করার কথা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। যে অংশটি পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। যেখানে জলীয় বরফের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy