—ফাইল চিত্র ।
প্রায় ৫৪ বছর আগে চাঁদে পৌঁছে ইতিহাস তৈরি করেছিল মানুষ। চাঁদের মাটিতে প্রথম পা পড়েছিল আমেরিকার মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রংয়ের। চাঁদে প্রথম কথা বলেও তিনি নজির তৈরি করেছিলেন। চাঁদে পা দেওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন আর্মস্ট্রংয়ের সহযাত্রী এডউইন অলড্রিন। তিনিও অনেক রেকর্ড গড়েছিলেন চাঁদের বুকে। তিনিই ছিলেন চাঁদের মাটিতে ‘প্রস্রাব করা’ প্রথম মহাকাশচারী! তবে প্রকৃত অর্থে ‘প্রস্রাব করা’ বলতে যা বোঝায়, চাঁদে দাঁড়িয়ে তা করেননি অলড্রিন। বিপত্তি ঘটেছিল, তাঁর মূত্র জমিয়ে রাখা ব্যাগ ফেটে যাওয়ায়। অ্যাপোলো-১১ যানের ল্যান্ডারের সিঁড়িতে ওঠার সময় অলড্রিনের প্রস্রাব থাকা ব্যাগটি ফুটো হয়ে যায়। কয়েক ফোঁটা প্রস্রাব তাঁর বুটে পড়ে। অলড্রিন তার আত্মজীবনী ‘নো ড্রিম ইজ টু হাই’ বইয়ে এই মজার কথা লিখেছেন।
কিন্তু চাঁদে প্রস্রাব করলে কী হতে পারে, তা অনেকেরই অজানা। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস মেসেঞ্জার জানিয়েছেন, চাঁদ এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আলাদা। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ছয় ভাগের এক ভাগ। ফলে চাঁদে প্রস্রাব করলে তা পৃথিবীর তুলনায় আড়াই গুণ বেশি দূরে গিয়ে পড়বে। কিন্তু কেউ যদি স্পেসস্যুটের বাইরে সরাসরি প্রস্রাব করেন, তা হলে চাঁদে অত্যন্ত নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় চাপের প্রভাবে প্রস্রাব ফুটতে শুরু করবে। আর সেই বাষ্প তখন চাঁদের দুর্বল মাধ্যাকর্ষণের কারণে মেঝেতে পড়ে যাবে। কারণ, বাষ্প বহন করার মতো কোনও বায়ুমণ্ডল সেখানে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy