Advertisement
E-Paper

পৃথিবী, মঙ্গলে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রাস্তা বানাতে নামছেন এলন মাস্ক!

এ বার মাটি খুঁড়ে লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানাতে নামছেন এলন মাস্ক। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর বা দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ। মেট্রো রেলের সাবওয়ের মতো। মাস্কের কাজটাই হবে শুধু মাটি খোঁড়া আর লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানানো! মঙ্গলে বা অন্য কোনও গ্রহে। আমাদের বাসযোগ্য গ্রহেও।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৫:২৭
এলন মাস্ক।

এলন মাস্ক।

এ বার মাটি খুঁড়ে লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানাতে নামছেন এলন মাস্ক। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর বা দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ। মেট্রো রেলের সাবওয়ের মতো। মাস্কের কাজটাই হবে শুধু মাটি খোঁড়া আর লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানানো! মঙ্গলে বা অন্য কোনও গ্রহে। আমাদের বাসযোগ্য গ্রহেও।

মূলত মঙ্গল আর মহাকাশ নিয়েই যাঁর চিন্তাভাবনা এত দিন আলোড়িত করেছে গোটা বিশ্বকে, সেই ‘স্পেস-এক্স’-এর কর্ণধার সিইও এবং সিটিও এলন মাস্ক এ বার কোমর বেঁধে নেমে পড়তে চলেছেন মহাকাশে অন্য অন্য গ্রহ-উপগ্রহের মাটি খুঁড়ে লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানানোর কর্মযজ্ঞে। ভূপৃষ্ঠে যে ভাবে উত্তরোত্তর দুদ্দাড়িয়ে বেড়ে চলেছে গাড়িঘোড়া আর জনসংখ্যা তাতে রীতিমতো হাঁসফাঁস করছেন মাস্ক। মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ বানাবেন মাস্ক আমাদের গ্রহেও। আর কোনও ‘মুখোশ’ না রেখেই মাস্ক একেবারে টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর আগামী পরিকল্পনার কথা। এও বলেছেন, তাঁর সেই নতুন সংস্থার নাম হবে- ‘বোরিং কোম্পানি’। যার কাজ হবে শুধুই গ্রহ-গ্রহান্তরের মাটি খুঁড়ে চলা। আর তার পর ঝপাঝপ লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানিয়ে ফেলা। যাতে ধ্বংস বা বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠার আগেই মানবসভ্যতা সেখানে গিয়ে তার ‘নতুন ডেরা’ খুঁজে নিতে পারে। বেঁচে-বর্তে থাকতে পারে অনেকটা পার্থিব অভ্যাসেই!

আরও পড়ুন- ব্রহ্মাণ্ডকে ধ্বংস করার ‘অস্ত্র’ এই প্রথম খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা

এক লহমায় হুশ্ করে পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যাওয়ার গবেষণায় মগ্ন-প্রাণ মাস্ক কী ভাবেই বা পারেন ভূপৃষ্ঠে গাড়িঘোড়া আর জনসংখ্যার চাপের ধকল সইতে? পারেননি মাস্ক। তাই সরাসরি টুইট করেই জানিয়ে গিয়েছেন তাঁর আগামী দিনের কর্মযজ্ঞের কথা। আর তিনি যেহেতু এলন মাস্ক, তাই বলছেন যখন, ঘোষণা করে দিয়েছেন যখন, তখন ধরে নেওয়াই যায়, মহাকাশের দিকে দিকে গ্রহে-গ্রহান্তরে এ বার লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গ বানানোর কাজ শুরু হল বলে! যিনি দু’-তিন বছর আগেই একেবারে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই তিনি মানুষ (মহাকাশচারী) পাঠিয়ে দেবেন ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে। নাসা কবে মঙ্গলে মহাকাশচারী পাঠাল কি পাঠাতে পারল না, তার ধারও ধরতে চান না এলন মাস্ক। তিনি চলেন ‘যেই ভাবা, সেই কাজ’ মন্ত্রে!

আরও পড়ুন- মঙ্গলে আবার মিলল প্রাচীন সভ্যতার স্তম্ভ? নাসা কী বলছে?

গত ১৭ ডিসেম্বর পর পর পাঁচটি টুইটে মাস্ক লিখেছেন, ‘‘এই পৃথিবীতে গাড়িঘোড়া আর জনসংখ্যার চাপে আমি হাঁপিয়ে উঠেছি। আর পারা যাচ্ছে না! এ বার আমি একটা খুব বড়সড় টানেল বোরিং মেশিন বা মাটি খোঁড়ার যন্ত্র বানাতে চলেছি। শিগগিরই শুরু করতে চলেছি মাটি খোঁড়ার কাজ। গ্রহে-গ্রহান্তরে...আমার সংস্থাটির নাম হবে- ‘দ্য বোরিং কোম্পানি’।

এলন মাস্কের সেই টুইট

ভাবছেন কি এ সব খুবই ‘বোরিং’? ভাবছেন, মজা-মস্করা করছেন এলন মাস্ক?


এলন মাস্কের সেই টুইট

একেবারেই তা নয়। এমনটা যাতে কেউ না ভাবেন, তাই আলাদা একটা টুইটে মাস্ক লিখেছেন, ‘‘আমি সত্যি-সত্যিই এই কাজটা এ বার শুরু করতে চলেছি।’’


এলন মাস্কের সেই টুইট

প্রবাদপ্রতিম বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মতো মাস্ক অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন, যেতে হবে অনেক দূরে, প্রাণে বাঁচতে, টিঁকে থাকতে। পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে গোটা মানবসভ্যতাকে আমাদের এই বাসযোগ্য গ্রহটি ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্য কোনও ‘নিশ্চিত, নিরাপদ ঠিকানা’র অন্য কোনও গ্রহে-উপগ্রহে। তাই, টুইটে মাস্ক লিখেছেন, ‘সুড়ঙ্গ, হ্যাঁ, আমি লম্বা লম্বা সুড়ঙ্গই বানাতে চলেছি...’’

এই পৃথিবীকে আরও গতিশীল করে তোলার জন্য কী ভেবেছেন মাস্ক?

২০১৩ সালেই মাস্ক একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার নাম- ‘হাইপারলুপ’। ইতিমধ্যেই তার প্রযুক্তি-প্রকৌশলের উদ্ভাবন হয়েছে। তার ফলে বিমানে জার্মানির হেলসিঙ্কি থেকে স্টকহলম যাওয়া যাবে মাত্র আধ ঘণ্টায়। যে দূরত্ব পেরতে এখন সময় লাগে কম করে সাড়ে তিন ঘণ্টা।

ভাগ্যিস, অস্থির-চিত্ত হয়ে উঠেছেন এলন মাস্ক! কিছু একটা করবেনই করবেন বলে!

মাস্কের দিকে চেয়ে থাকল গোটা মানবসভ্যতা!

Elon Mask Planning of Elon Mask Elon Musk wants to dig tunnels
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy