তা হলে ফিরিয়ে আনা যাবে সেই দৈত্যাকার ডাইনোসরদের? ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে ‘জুরাসিক পার্ক’-এর সেই দিনগুলো? পৃথিবীতে ফের দাপিয়ে বেড়াবে সেই ভয়ঙ্কর মাংসাশী টিরানোসরারা?
সেই সম্ভাবনা বা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে হালের দু’-একটি আবিষ্কারে। জুরাসিক যুগের একটি গাছের কোটরে থাকা হলদেটে-বাদামি রঙের অ্যাম্বারের মধ্যে মিলেছে মশার জীবাশ্ম (ফসিল)। যার মধ্যে পাওয়া গিয়েছে প্রাণ-সৃষ্টির প্রধান বীজ ডিএনএ। শুধু তাই নয়, ডাইনোসরের জীবাশ্মে অন্যত্র হদিশ মিলেছে রক্তনালী ও কোলাজেন নামে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিনের। ফলে, সেই সব থেকে কোটি কোটি বছর আগে অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া ডাইনোসরদের ফিরিয়ে আনা যাবে কি না, সেই কৌতূহলেরও জন্ম হয়েছে।
একেবারেই তা অসম্ভব, বিজ্ঞানীরা কিন্তু সে কথা বলছেন না। ‘আজগুবি’ বলে উড়িয়েও দিচ্ছেন না সেই সম্ভাবনা বা আশঙ্কা। কারণ, বিবর্তনের নিয়মেই ডাইনোসররা হারিয়ে গিয়েছে। তার পর বিবর্তনের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই উন্নততর প্রাণের জন্ম ও বিকাশ হয়েছে পৃথিবীতে। তবে সেই বিবর্তনের রথের চাকার কোনও নির্দিষ্ট দিক নেই। এমন বলা যায় না তা শুধু ডাইনোসর যুগ থেকে মানবসভ্যতার দিকে বা তার চেয়ে উন্নততর কোনও প্রাণীর দিকে এগিয়ে চলেছে।