Advertisement
E-Paper

১০০ বছরের মধ্যেই পৃথিবী ছাড়তে হবে, বার্তা স্টিফেন হকিংয়ের

একটু পা চালিয়ে যেতে হবে ভাই! হাতে আর খুব বেশি সময় নেই আমাদের। খুব তাড়াতাড়ি এই পৃথিবীটা আমাদের ছেড়ে যেতেই হবে, প্রাণে বাঁচতে। আর বড়জোড় একশোটা বছর। তার মধ্যেই হইহই রইরই করে আমাদের চলে যেতে হবে অন্য কোনও গ্রহে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ১৯:১৭
স্টিফেন হকিং।

স্টিফেন হকিং।

একটু পা চালিয়ে যেতে হবে ভাই!

হাতে আর খুব বেশি সময় নেই আমাদের। খুব তাড়াতাড়ি এই পৃথিবীটা আমাদের ছেড়ে যেতেই হবে, প্রাণে বাঁচতে। আর বড়জোড় একশোটা বছর। তার মধ্যেই হইহই রইরই করে আমাদের চলে যেতে হবে অন্য কোনও গ্রহে। গিয়ে বসবাস শুরু করে দিতে হবে। কারণ, তার পর এই ধরণী আর আমাদের ধরে রাখতে পারবে না। গোটা পৃথিবীটাই কার্যত, শ্মশান হয়ে যাবে। বা, মরুভূমি। কথাটা আর কেউ বলছেন না। বলেছেন খোদ স্টিফেন হকিং। বিবিসি-র নির্মীয়মান ডকুমেন্টারি ‘এক্সপেডিশান নিউ আর্থ’-এ ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবাদপ্রতিম বিজ্ঞানী।

বাজি ধরা আর ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য বিখ্যাত হকিং কথাটা এর আগেও বলেছিলেন দু’-এক বার। এ বার বলেছেন, আরও স্পষ্ট ভাবে। আর বলতে হয় বলেই কথাটা বলেছেন, এমনটাও নয়। তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে বেশ কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছেন হকিং। দেখিয়েছেন বেশ কয়েকটি কারণ।

কেন একটু পা চালিয়ে যেতে বলেছেন হকিং?

তাঁর কথায়, ‘‘জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুত, খুব দ্রুত। আর আগামী দিনে সেই রদবদলটা হবে আরও দ্রুত হারে। আরও বেশি করে। ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে যাবে উষ্ণায়ন। বেড়ে যাবে সমুদ্রের জলস্তর। একের পর এক আছড়ে পড়তে শুরু করবে বিশাল বিশাল গ্রহাণু। শুরু হয়ে যাবে নানা রকমের মহামারী। অসম্ভব রকম বেড়ে যাবে জনসংখ্যার চাপ। এই ধরণী তখন হয়ে উঠবে আমাদের বধ্যভূমি। এই একশো বছরের মধ্যে অন্য কোনও গ্রহে আমরা আমাদের বসবাসের নতুন ঠিকানা খুঁজে নিতে পারলে আধুনিক মানুষের ‘হোমো সাপিয়েন্স সাপিয়েন্স’ প্রজাতি একেবারেই মুছে যাবে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’’

আরও পড়ুন- এ বার বাতাস থেকে জল টেনেই মেটানো যাবে তেষ্টা!

বিবিসি-র ওই নির্মীয়মান ডকুমেন্টারিতে হকিংয়ের সঙ্গে রয়েছেন আরও এক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড্যানিয়েল জর্জ। যিনি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ান ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। রয়েছেন হকিংয়ের প্রিয় ছাত্র ক্রিস্টোফে গ্যালফার্ডও। কী ভাবে অন্য সৌরমণ্ডলের ভিনগ্রহে আমাদের বসবাসের নতুন ঠিকানা খুঁজে নিতে পারা যায়, সে সম্পর্কে তাঁদের মতামতও থাকছে ওই ডকুমেন্টারিতে।

Stephen Hawking Space Earth
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy