(বাঁ দিকে) ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। সুনীতা উইলিয়ামস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মহাকাশে বন্দি হলেও সুনীতা উইলিয়ামসদের নিয়ে আপাতত ভয়ের কোনও কারণ নেই বলে জানালেন ইসরো প্রধান। তবে একই সঙ্গে তিনি এ-ও মনে করেন, কোনও মহাকাশযানে যখন নভশ্চরদের মহাকাশে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করা হয়, তখন সবার আগে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত।
নাসার মহাকাশযান ‘স্টারলাইনার’ এই প্রথম নভশ্চরদের নিয়ে পাড়ি দিয়েছিল মহাকাশে। সেই মহাকাশ অভিযানের নামও দেওয়া হয়েছিল মহাকাশযানের নামেই— ‘মিশন স্টারলাইনার’। গত ৫ জুন সুনীতা এবং তাঁর অভিযানসঙ্গী বুচ উইলমারকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হয় ‘স্টারলাইনার’। ফিরে আসার কথা ছিল ২৬ জুন। কিন্তু নাসা জানিয়ে দিয়েছে আপাতত সুনীতাদের দেশে ফেরা হচ্ছে না। তার প্রথম কারণ, ‘স্টারলাইনার’ মহাকাশযানে হিলিয়াম গ্যাস লিক-সহ অজস্র যান্ত্রিক ত্রুটি। দ্বিতীয় কারণটি হল একটি সাম্প্রতিক মহাকাশ দুর্ঘটনা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কাছেই বিস্ফোরণ হয়েছে ‘রিসার্স’ নামে রাশিয়ার একটি কৃত্রিম উপগ্রহে। তার পরে সেটি টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মহাকাশ স্টেশনের চারপাশে। ফলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য মহাকাশ স্টেশনেই বন্দি হয়ে গিয়েছেন সুনীতারা। নাসাও জানিয়ে দিয়েছে, তাঁদের ফিরতে ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে আবার ৯০ দিনেও না ফিরতে পারেন ‘স্টারলাইনারের’ দুই নভশ্চর।
সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন অত্যন্ত নিরাপদ জায়গা। সেখানে সুনীতা এবং বুচকে নিয়ে ন’জন নভশ্চর রয়েছেন। ফলে তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ অর্থহীন। তবে যেটা ভাবার, সেটা হল সুনীতাদের ফেরানোর জন্য একটি নতুন মহাকাশযান তৈরি করা। যা তাদের ফেরাটা নিশ্চিত করবে। স্টারলাইনারের মতো মহাকাশযান তৈরির সময় আগে সেটাই মাথায় রাখা দরকার।’’
পাশাপাশি, সুনীতাদের সাহসের প্রশংসাও করেছেন ইসরো প্রধান। বলেছেন, সম্পূর্ণ নতুন একটি মহাকাশযানে প্রথম বার মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার ঝুঁকি নেওয়া মুখের কথা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy