ভিনগ্রহ। এক নাথবতী অনাথবৎ। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
হদিশ মিলল 'অনাথ' ভিনগ্রহের। এই প্রথম। একটা-দুটো নয়। অসংখ্য। যারা সূর্যের মতো কোনও তারা বা নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে না। তাদের কোনও নক্ষত্র নেই বলে মহাকাশে তারা একেবারেই অনাথ। ভেসে আছে আপন খেয়ালে। তবে তারা হয়তো কোনও কালে ‘নাথবতী’ ছিল। তাদেরও ছিল কোনও 'অভিভাবক' নক্ষত্র। এখন তারা সকলেই ‘অনাথবৎ’।
এমনও হতে পারে, ধারণা ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। মহাকাশে থাকা নাসা-র কেপলার টেলিস্কোপের নজরে তেমন গ্রহ ধরা দিয়েছে শেষ পর্যন্ত। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘মান্থলি নোটিসেস অব দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি' (এমএনরাস)'-তে।
মহাকাশে আপন খেয়ালে ভেসে বেড়ানো এমন অন্তত চারটি ভিনগ্রহের হদিশ পেয়েছে কেপলার টেলিস্কোপ, যাদের ভর পৃথিবীর সমান। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, “এটা সাড়া জাগানো আবিষ্কার।”
আরও পড়ুন
রাজ্যে নতুন আক্রান্ত এক ধাক্কায় ন’শোর নীচে, মৃত্যু ১৮, সক্রিয় রোগী ১৮ হাজারের কম
আরও পড়ুন
মহারাষ্ট্রে মহারাজনীতি, শিবসেনার চালে কি আপাতত ‘নিরাপদ’ উদ্ধব সরকার
কেপলার টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালে। ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের ঠিকানা মিল্কিওয়ে (আকাশগঙ্গা) ছায়াপথের প্রায় কেন্দ্রে থাকা লক্ষ লক্ষ তারার উপর আধ ঘণ্টা অন্তর নজর রাখতে গিয়েই এই অনাথ ভিনগ্রহের হদিশ মেলে। সেই সব তথ্যের ভিত্তিতেই চালানো হয়েছে এই গবেষণা, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আয়ান ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, এমন অনাথ ভিনগ্রহদের মধ্যে অন্তত চারটির ভর একেবারে পৃথিবীর মতোই। এরা হয়তো কোনও কালে অন্য তারাদের প্রদক্ষিণ করত। কিন্তু সেই সব তারার অভিকর্ষ বলের টান কমে আসায় তারা সেই সব নক্ষত্রমণ্ডল থেকে বেরিয়ে যায়। তার পর থেকেই এই ভাবে তারা অনাথবৎ হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে মহাকাশে। আপন খেয়ালে। তাদের উপর আর কোনও নক্ষত্রের ‘তর্জন গর্জন’ নেই। কোনও তারার বিকিরণের ঝাপটাই আর তাদের সইতে হয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আবিষ্কারের ফলে এ বার নাসার ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এসা)-র ইউক্লিড মিশন নজর রাখা শুরু করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy