চন্দ্রযান-১। ছবি- ইসরো।
চাঁদ মুলুকে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া দু’-দু’টি মহাকাশযানকে শেষমেশ খুঁজে বের করল নাসা। বেশ কিছু দিন ধরেই সাড়াশব্দ মিলছিল না নাসার লুনার রিকনাইস্যান্স অরবিটার (এলআরও) আর চাঁদ মুলুকে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাঠানো প্রথম মহাকাশযান ‘চন্দ্রযান-১’-এর। তাদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। চাঁদের পিঠ থেকে প্রতিফলিত হওয়া আলোর উজ্জ্বলতার জন্য কোনও অপটিক্যাল টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ওই দু’টি মহাকাশযানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। নাসার তরফে এই খবর দেওয়া হয়েছে।
নাসার টেলিস্কোপে যে ভাবে ধরা পড়েছে হারিযে যাওয়া ‘চন্দ্রযান-১’-এর পথচলার ছবি। সৌজন্যে: নাসা
পাসাডেনায় নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির (জেপিএল) রাডার বিশেষজ্ঞ মারিনা ব্রোঝোভিক বলেছেন, ‘‘আমরা পৃথিবীতে বসানো টেলিস্কোপ দিয়েই ‘এলআরও’ আর ‘চন্দ্রযান-১’-কে চাঁদের কক্,পথে খুঁজে বের করতে পেরেছি। ‘এলআরও’-কে খুঁজে বের করাটা আমাদের কাছে সহজতর ছিল। কারণ, সে এখন কোন কক্ষপথে রয়েছে, সেটা আমাদের জানা ছিল। শুধু সেই কক্ষপথে তার সঠিক অবস্থানটা আমরা ঠাওর করে উঠতে পারছিলাম না। তুলনায় কিছুটা কঠিন ছিল ইসরোর ‘চন্দ্রযান-১’-কে খুঁজে বের করার কাজ। ২০০৯-এর ৯ অগস্টের পর তার সঙ্গে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের কোনও রকম যোগাযোগ ছিল না। তা ছাড়া ‘চন্দ্রযান-১’ আকারেও অনেকটাই ছোট। লম্বা, চওড়া, উচ্চতায় পাঁচ ফুট করে। একটা স্মার্ট গাড়ির চেহারার ঠিক অর্ধেক। পৃথিবী থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৩৭ হাজার মাইল দূরে থাকা ‘চন্দ্রযান-১’-কে ক্যালিফোর্নিয়ায় গোল্ডস্টোন ডিপ স্পেস কমিউনিকেশন্স কমপ্লেক্সে বসানো ৭০ মিটার লম্বা একটা অ্যান্টেনা টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজে বের করা হয়েছে। এটা একেবারেই নতুন একটি প্রযুক্তি।’’
আরও পড়ুন- চাঁদে বসেও কি চালানো যাবে অনলাইনে শপিং!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy