Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Cosmetics

কসমেটিক্সের ভয়ঙ্কর বিষ শরীরে থেকে যায় আজীবন, পরিবেশে কয়েক শতাব্দী, জানাল গবেষণা

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’-তে।

-ফাইল ছবি।

-ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২১ ১৮:৩২
Share: Save:

যে ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থে মানবদেহের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়, ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে ক্যানসারের মতো নানা ধরনের জটিল রোগ, হামেশাই ব্যবহার করা প্রসাধন সামগ্রীর(‘কসমেটিক্স’) অর্ধেকের মধ্যেই রয়েছে সেই সব সর্বনাশা ভূত। এদের জন্য মানবদেহের যে সব ক্ষয়ক্ষতি হয় তার কোনওটাই নিরাময়যোগ্য নয়।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই উদ্বেগজনক খবর দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’-তে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, সেই ভয়ঙ্কর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থগুলি যৌগিক পদার্থের যে শ্রেণিতে থাকে, তার নাম ‘পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্সেস' (পিএফএএস)। এগুলি ফ্লোরিনঘটিত যৌগ। এরা প্রসাধন সামগ্রীর মাধ্যমে এক বার ত্বকে এলে বা মানবশরীরে ঢুকে পড়লে দেহের ভিতরে থেকে যায় দীর্ঘ দিন। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তারা রয়ে গিয়েছে শরীরে। যদি কোনও ভাবে সেগুলি মানবদেহ থেকে বেরিয়েও আসে, তা হলেও সেগুলি প্রকৃতি-পরিবেশে থেকে যায় শতাব্দীর পর শতাব্দী। ওই বিষাক্ত পদার্থগুলির কোনও ক্ষয় হয় না।

গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, লিপস্টিক, গ্লসেস-সহ ঠোঁট মাখার যাবতীয় প্রসাধন সামগ্রীতে পিএফএএস গোত্রের পদার্থ থাকে কম করে ৫৫ শতাংশ। তরল লিপস্টিকে ৬২ শতাংশ। ফাউন্ডেশনগুলিতে ৬৩ শতাংশ। সব ধরনের মাস্কারায় ৪৭ শতাংশ আর ওয়াটারপুল মাস্কারায় ৮২ শতাংশ। চোখে যে প্রসাধন সামগ্রীগুলি ব্যবহৃত হয়, সেগুলিতে এই সব পদার্থ থাকে ৫৮ শতাংশ।

গবেষকরা বলেছেন, এমন কোনও পিএফএএস পদার্থ নেই, যা এই নিয়মের ব্যাতিক্রম। অথচ, বাজারে চালু প্রসাধন সামগ্রীগুলির অর্ধেকেরও বেশি ক্ষেত্রে এই সব পদার্থেরই থাকে মাত্রাধিক্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cosmetics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE