E-Paper

মহাকাশে ৩৫৫ দিন, রেকর্ড গড়লেন ফ্র্যাঙ্ক

সেপ্টেম্বর মাসটিকে আমেরিকায় ‘হিস্পানিক হেরিটেজ’ মাস হিসেবে পালন করা হয়। এই মাসেই তিনি যে পৃথিবী ছেড়েছিলেন তা তাঁর ল্যাটিনো হেরিটেজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন রুবিয়ো।

মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪২
Fran Rubio

আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে ফ্রাঙ্ক রুবিয়ো। ছবি: নাসা।

১৪ সেপ্টেম্বর: হিউস্টন থেকে ভিডিয়ো কল গেল আন্তর্জাতিক মহাকাশ
কেন্দ্রে। ফোনের এ প্রান্তে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা দুই কর্তা বিল নেলসন ও প্যাম মেলরয়। আর অন্য প্রান্তে মহাকাশচারী ফ্র্যাঙ্ক রুবিয়ো, ৩৫৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে যিনি নতুন রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে আমেরিকান মহাকাশচারীদের মধ্যে টানা সব থেকে বেশি দিন মহাকাশে কাটানোর রেকর্ড ছিল ভ্যান্ডে হাইয়ের ঝুলিতে। তিনি মহাকাশে ছিলেন ৩৫৫ দিন (রুশ মহাকাশচারী ভালেরি পোলিয়াকোভ ছিলেন ৪৩৭ দিন)। এ মাসের শেষে রুবিয়ো যখন পৃথিবীতে ফিরবেন, তাঁর মহাকাশে বসবাস করা হবে ৩৭১ দিন।

পেশায় চিকিৎসক রুবিয়ো আগে ছিলেন আমেরিকান বায়ুসেনার ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার চালক। অংশ নিয়েছেন বসনিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে। ২০১৭ সালে নাসায় ‘অ্যাস্ট্রনট ক্যান্ডিডেট ক্লাসে’ যোগদান করেছিলেন। ২০২২-এর ২১শে সেপ্টেম্বর তিনি তাঁর প্রথম মহাকাশযাত্রায় যান। রুবিয়োর সঙ্গে নাসা কর্তাদের গতকালের সেই ভিডিয়ো কল নাসা তাদের ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করেছে। সাক্ষাৎকারে রুবিয়ো জানিয়েছেন, নানা ধরনের কাজের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছেন মহাকাশে একটি টোম্যাটো গাছ ফলিয়ে। তাতে টোম্যাটোও হয়েছে, হাসিমুখে জানান রুবিয়ো।

সেপ্টেম্বর মাসটিকে আমেরিকায় ‘হিস্পানিক হেরিটেজ’ মাস হিসেবে পালন করা হয়। এই মাসেই তিনি যে পৃথিবী ছেড়েছিলেন তা তাঁর ল্যাটিনো হেরিটেজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন রুবিয়ো। এ-ও বলেন যে, মহাকাশচর্চায় যত বেশি ধরনের মানুষ আসবেন, তত ব্যাপ্তি বাড়বে মহাকাশ গবেষণার। এই ৩৫৫ দিন রুবিয়ো কাটিয়েছেন ইটালিয়ান, জাপানি, আরব ও রুশ মহাকাশচারীদের সঙ্গে। আগামী প্রজন্মের জন্য তাঁর বার্তা— ‘মানুষ ব্যাক্তিগত ভাবে তেমন যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে না। ‘টিম ওয়ার্ক’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভাল টিম মেম্বারদের পাশে রাখা আর পাশে থাকা সাফল্যের চাবি কাঠি।’

রুবিয়োকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই এক বছরে সবচেয়ে কঠিন কাজ তিনি কী করেছেন। উত্তরে মহাকাশচারী জানান, প্রায় এক বছর চার সন্তান-সহ পরিবারকে ছেড়ে থাকাই তাঁর পক্ষে সবচেয়ে কঠিন কাজ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

NASA Space

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy